1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
আরবদের নরমালাইজেশন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে ফিলিস্তিনের মুজাহিদরা কি সফল হয়েছেন?
হামিদ মাশহুর
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ও মজলুমরা পুরোপুরি সফল। তারা তাদের সন্তান, স্বজনকে কুরবানী দিয়ে ফিলিস্তিনের আজাদীর স্বপ্ন এখনো জাগ্রত রেখেছেন। বেঈমান আরবরা চক্ষুলজ্জায় পড়ে এখন আর ইজরাইলের সাথে সম্পর্ক নরমালাইজেশনের আলাপ অন্তত আগাচ্ছে না। এই রক্তের নজরানা আমাদের মতো সাধারণ মুসলমানকে, বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষকে আবারো ফিলিস্তিন ইস্যুতে একতাবদ্ধ করেছে। একই সাথে এই রক্তের নজরানা মোহাম্মদ বিন সালমান আর নেতানিয়াহুর প্রকাশ্য সখ্যতাকে কিছুটা হলেও বিলম্বিত করেছে। এই রক্তের দজলা না বইলে ২০২৪ সালেই আপনারা রিয়াদ টু তেল আবিব ফ্লাইটের উঠানামা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যেতেন। “সৌদি আরব স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি করে না” অতি সম্প্রতি ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের যে প্রতিবাদ সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে সেটাও আসলে সম্ভব হয়েছে মুজাহিদ আর মজলুমদের এই রক্তের নজরানার জন্যই। নাইলে এরা প্রকাশ্যেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি থেকে সরে আসতো।

 

গাযা যদি ইজরাইল দখলই করে নেয় তাহলে নরমালাইজেশন বাধাগ্রস্থ করে আর অল্প দিনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যকে গ্লোবাল ব্যাটল গ্রাউন্ড হিসাবে টিকিয়ে রেখে হামাসের কি লাভ হলো?

০৩.

এই জায়গাতে এসেই আসলে এক্সিস অব রেজিস্ট্যান্সের মুজাহিদীনরা হেরে গিয়েছেন। আসলে ফিলিস্তিনের মুজাহিদীনরা হারেন নি, আমরাই তাদের হারিয়ে দিয়েছি। আপনাকে এটা বিশ্বাস করতে হবে যে, এই উম্মাহর সবচেয়ে তাজা ঈমানের অধিকারী বলেই ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের আল্লাহ আল আক্বসার আজাদির জিহাদের জন্য কবুল করেছেন। যেহেতু তারা মুমীন তাই আমরা যে হাদীস শুধু কিতাবে পড়ি তারা সে হাদীস বিশ্বাস করেন। তারা বিশ্বাস করেন আল মু’মিনু কাল জাসাদি… অর্থাৎ মু’মিনরা একক একটি দেহের ন্যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদীস থেকেই তারা বিশ্বাস করেছিলেন নিজেদের রক্ত, নিজের সন্তান-স্বজনের রক্ত আল আক্বসার জন্য কুরবানী দিতে থাকলে কোন না কোন সময় উম্মাহর যে অংশের ঈমান এখনো মরে যায়নি তারা তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবে, এই জিহাদকে নিজেদের জিহাদ হিসাবে গ্রহণ করবে। বিশেষতঃ তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন এই যুদ্ধকে দীর্ঘমেয়াদি করতে পারলে ধীরে ধীরে আরবদের থেকেও সাড়া পাওয়া যাবে। কিন্তু আমরা তাদেরকে হারিয়ে দিয়েছি, আরবরাও মুসলিম ভ্রাতৃত্বের দায় অনুভব করেনি। ফলে এখন ফিলিস্তিনের মুজাহিদরা একাই মার খাচ্ছে, আমরা কেবল মিছিল মিটিং করছি আর আরবরা নতুন নতুন সিনেমা বানাচ্ছে, ২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ফেইসবুকে আমরা...