1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
প্রশ্ন: নামাযের হারাম ওয়াক্ত কয়টি এবং এগুলোর স্থায়ত্বিকাল কত সময়?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবু নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২

জবাব: শরীআতের বিধানানুযায়ী র্সবমোট তিনটি সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ (মাকরূহে তাহরীমী)। যথা:
১. র্সূযােদয়ের পর থেকে ইশরাকের র্পূব র্পযন্ত সময়-
র্সূয উঠা থেকে শুরু করে এর হলুদ আলো পুরোপুরি দূর না হওয়া র্পযন্ত এবং কিরণ এমন তীব্র না হওয়া র্পযন্ত যে স্বাভাবকি চোখে এর দিকে তাকিয়ে থাকা কষ্টকর অনুভূত হয়, ততক্ষণ র্পযন্ত সময়টুকুতে সব ধরনের নামায পড়া নিষেধ। ফকিহবিদগণের গবষেণা অনুযায়ী র্সূয উঠার পর হলুদ আলো দূর হতে ন্যূনতম ১৫ মিনিট সময় লাগে। তাই র্সূয উদয় থেকে শুরু করে তৎপরবর্তী ১৫ মিনিট নামায আদায় নিষিদ্ধ।
২. দ্বিপ্রহরের সময়: র্সূয যখন ঠিক মাথার ওপরে থাকে অর্থাৎ দ্বিপ্রহর, তখনও সব ধরনের নামায এবং সিজদা করা নিষেধ। যখন র্সূয একটু হেলে পড়বে তখন সে নিষিদ্ধতা দূর হবে এবং যুহরের ওয়াক্ত শুরু হবে। র্সূয মাথার ওপর থেকে হেলে পড়তে বেশি সময় লাগে না। তাই এক্ষেত্রে ফকিহবিদগণ সর্তকতাবশত দিক দ্বিপ্রহরের আগে ৫ মিনিট ও পরে ৫ মিনিট নিষিদ্ধ সময়ের আওতাভুক্ত বলে গণ্য করেছেন। তাই এসময়ে সব ধরনের নামায আদায় থেকে বিরত থাকা উচিত।
৩. সূর্যাস্তের সময়: সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে ডুবতে শুরু করে তারপর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের নামায পড়া নিষেধ। তবে সূর্যাস্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত কেবল ঐ দিনের আসরের ফরয আদায় করার বৈধতা রয়েছে।

ফকীহগণের অধিকাংশ এক্ষেত্রে  সূর্যের প্রখরতা ও রং পরিবর্তনকে বিবেচ্য বলে রায় দিয়েছেন। যদিও কেউ কেউ একটি তীর পরিমাণ উপরে উঠা কিংবা উপরে থাকা ধর্তব্য বলে বিবেচনায় নিয়েছেন।
এ বিষয়ে দুররুল মুখতার কিতাবে আছে,

وتأخير (عصر) صيفا وشتاء توسعة للنوافل (ما لم يتغير ذكاء) بأن لا تحار العين فيها

(১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৩)

রাদ্দুল মুহতার কিতাবে আরোও আছে,

قوله: في الأصح صححه في الهداية وغيرها. وفي الظهيرية إن أمكنه إطالة النظر فقد تغيرت وعليه الفتوى

(১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৬৭)

প্রশ্নকারী: শরাফত আলী
মিরপুর, ঢাকা

ফেইসবুকে আমরা...