1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
অসুস্থ লোকে নামায আদায়ের বিধান
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

শারীরিক ও মানসিক (অক্ষম) রোগীর জন্য একাকী ও জামাআতের সহিত নামায আদায়ের বিধান কি?

 প্রশ্নকারী:  আকবর হোসেন
জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ

জবাব: শারীরিক রোগগ্রস্ত ব্যক্তি তার সর্বোচ্চ সাধ্য অনুযায়ী নামায আদায় করবে। মসজিদে যাবার সক্ষমতা থাকলে মসজিদের জামাআতে শামিল হবে, নতুবা ঘরে জামাআতে কিংবা একাকী নামায পড়বে। আর দাঁড়িয়ে নামায আদায়ের ক্ষেত্রে অক্ষম হলে বসে রুকু-সিজদা আদায় করে নামায পড়বে। রুকু-সিজদা আদায়ে অক্ষম হলে ইশারায় রুকু-সিজদা করবে। সিজদায় রুকুর চেয়ে অধিক পরিমাণে মাথা নত করবে। আর যদি বসেও পড়তে না পারে তাহলে কাত হয়ে শুয়ে চেহারা কিবলার দিকে করে নামায পড়বে। যদি কাত হয়ে শুয়ে সম্ভব না হয়, তা হলে চিৎ হয়ে শুয়ে কিবলার দিকে পা দিয়ে নামায পড়বে। এটাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব সেভাবেই পড়বে।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) কে লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তুমি দাঁড়িয়ে নামায পড়ো, যদি না পার তাহলে বসে, যদি না পার তাহলে শুয়ে।” (সহীহ বুখারী)

আর মানসিক রোগী যতক্ষণ হুঁশ জ্ঞান থাকবে ততক্ষণ নামাযের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবে না। অবশ্য অজ্ঞান কিংবা বেহুঁশ রোগী যদি লাগাতার একদিন ও এক রাত কিংবা তার চেয়ে বেশী বেহুঁশ থাকে তাহলে উক্ত সময়ের নামাযের কাযা করতে হবে না। আর যদি এর চেয়ে কম সময় বেহুঁশ থাকে কিংবা কিছুক্ষন বেহুঁশ থাকার পর আবার কিছু সময়ের জন্য হুঁশ ফিরে পায়, তাহলে ছুটে যাওয়া নামাযের কাযা করা আবশ্যক। উল্লেখ্য যে, মানসিক রোগীর জন্য জামাআতে নামায আদায়ের বাধ্যবাধকতা নেই।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

ফেইসবুকে আমরা...