1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
প্রশ্ন: কনুইয়ের উপরে জামার হাতা রেখে, কিংবা খাটো হাতাওয়ালা কাপড় যেমন গেঞ্জি পরিধান করে তথা কনুই অনাবৃত রেখে নামায আদায় করার বিধান কী? জানতে চাই।
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবু নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২

জবাব:  কনুইয়ের উপরে জামার হাতা রেখে কিংবা হাফ হাতা গেঞ্জি, টি-শার্ট, হাফ শার্ট বা  জামার হাতা উল্টিয়ে কনুই খোলা রেখে নামায আদায় করলে নামায হয়ে যাবে। তবে এটা মাকরূহ তথা অপছন্দনীয় কাজ। আর কারো নিকট এমন পোষাক ছাড়া অন্য পোষাক না থাকলে তার জন্যে তা পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহ হবে না। তবে নামায আদায়ের জন্যে পূর্ণহাতা বিশিষ্ট এমন পোষাক নিজ সংগ্রহে রাখা জরুরি যা দ্বারা মাকরূহ ব্যতীত নামায আদায় হয়। কেননা নামাযে বান্দা তার মহান প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার সন্মুখে দাঁড়ায়। তাই আল্লাহর সামনে নিজেকে সর্বোচ্চ বিনয়ী হিসেবে পেশ করা জরুরী। আর হাফ হাতা পোষাক নামাযের আদব পরিপন্থি হওয়াতে মাকরূহ বলে পরিগণিত। তাই কনুই খোলা অবস্থায় নামায আদায় মাকরূহ। এ সর্ম্পকে রাদ্দুল মুহতার কিতাবে লিখেছেন,

وقيد الكراهة في الخلاصة والمنية بأن يكون رافعا كميه إلى المرفقين. وظاهره أنه لا يكره إلى ما دونهما.

-খোলাসাহ ও মুনিয়াহ কিতাব কনুই র্পযন্ত অনাবৃত থাকা মাকরূহ হওয়ার ক্ষেত্রে র্শত করা হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, কনুই থেকে কম অনাবৃত থাকলে মাকরূহ হবে না। (১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪০)

এ সর্ম্পকে ‘আল ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যাহ কিতাবে লিখেছেন:

‎ولو صلى رافعا كميه إلى المرفقين كره

-যদি কেউ কনুই র্পযন্ত হাত অনাবৃত রেখে নামায আদায় করে, তাহলে সেটা মাকরূহ হবে। (১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৬)
আবার মাকরূহ হবে বলে উক্ত পোশাক পরিধানে অভ্যস্ত ব্যক্তি নামাযই ছেড়ে দিবে এটাও যেন না হয়।

হোসাইন আহমদ
রবিরবাজার, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার

ফেইসবুকে আমরা...