1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
ফুতুহুল গাইব
গাউসুল আযম আব্দুল কাদির জিলানী (র.)
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১

[ফুতুহুল গাইব শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (র.) এর ৮০টি বক্তব্যের সংকলন। এগুলোর বিষয়বস্তু আল্লাহপ্রাপ্তির উপায়, পার্থিব জীবনের হাকীকত, শরীআত অনুযায়ী জীবনযাপনের গুরুত্ব, আল্লাহর ফয়সালায় আত্মসমর্পণ করা, তাওয়াক্কুল, খাওফ, রিদার মর্মার্থ, নফস ও প্রবৃত্তির মোকাবিলাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দিকে বিস্তৃত। তাঁর পুত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি যে ওসীয়ত করেছিলেন, তাও এতে স্থান পেয়েছে। এ বইটি কায়রোর মুসতাফা আল বাবি আল হালবী থেকে ১৩৯২ হিজরীতে প্রকাশিত হয়েছে।]
বইয়ের বাচনভঙ্গিতে বোঝা যায়, এটি তাঁর কোন ছাত্রের সংকলন। কালাইদুল জাওয়াহির প্রণেতার মতে, শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (র.) এর একজন মুরীদ শাইখ যাইনুদ্দীন মারসফী আস সাইয়াদ এ গ্রন্থটির মূল সংকলক। এজন্য বইটি খুললেই প্রতিটি আলোচনার শুরুতে ‘শাইখ (র.) মাদরাসায় বলেছেন অথবা খানকায় বলেছেন…’ বাক্যটি পাওয়া যায়।
আব্দুল মজিদ দরিয়াবাদীর মতে, সাড়ে তিনশ বছর আগেও উপমহাদেশে এ বইটির তেমন চর্চা ছিল না। শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) মক্কায় হজ্জ করতে গিয়ে শাইখ আলী মুত্তাকীর কাছে বইটি দেখতে পান। এরপর তিনি একটি কপি সাথে করে নিয়ে আসেন। উপমহাদেশে আসলে তখন থেকেই অত্যন্ত উপকারী এ গ্রন্থটি বিপুল জনপ্রিয়। বইয়ের ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি শাইখের একটি বক্তব্য আমরা তুলে ধরছি।- অনুবাদক]
পরিচ্ছেদ-১: আল্লাহর নির্দেশ পালন ও সর্বাবস্থায় সন্তুষ্ট থাকা প্রসঙ্গে
একজন মুমিনকে সর্বাবস্থায় অবশ্যই তিনটি বিষয়ের মধ্যে থাকতে হবে:
দ্বসে কোন আদেশ অনুসরণ করবে
দ্বকোন নিষিদ্ধ বস্তু থেকে বিরত থাকবে
এবং
দ্বআল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকবে।
সর্বনি¤œ অবস্থাতেও মুমিনের মধ্যে এগুলোর একটি না একটি থাকবে। তাই মুমিনের কর্তব্য এগুলোকে হৃদয়ে বদ্ধমূল রাখা, নিজের সাথে এগুলো নিয়ে কথা বলা এবং নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে এসবে সর্বাবস্থায় নিয়োজিত রাখা।”

পরিচ্ছেদ-২: একে অপরকে সদুপদেশ দেওয়া প্রসঙ্গে
[রাসূলুল্লাহ ব এর] অনুসরণ করো, বিদআতী হইও না; আনুগত্য করো, ধর্মচ্যুত হইও না; তাওহীদবাদী হও, শিরক করো না; [শিরকী ধ্যানধারণা থেকে] আল্লাহকে পবিত্র রাখো, তাঁকে অপবাদ দিও না; সত্যায়ন করো, সন্দেহে পতিত হয়ো না; ধৈর্য ধরো, অস্থির হইও না; দৃঢ়পদ হও, পালিয়ে যেও না; তাঁর কাছে প্রার্থনা করো, বিতৃষ্ণ হইও না; অপেক্ষা করো, তীক্ষè দৃষ্টিতে লক্ষ্য করো, হতাশ হইও না; নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখো, শত্রুতাপূর্ণ হইও না; [আল্লাহর] আনুগত্যে একত্রিত হও, বিভক্ত হয়ে যেও না; পরস্পরকে ভালোবাসো, ঘৃণা করো না; সমস্ত গুনাহ থেকে পবিত্র থাকো, সেসবে কলুষিত আর মিশ্রিত হইও না; বরং তোমাদের রবের আনুগত্যে নিজেদেরকে ভূষিত করো। তোমাদের মাওলার দরজা থেকে ফিরে যেও না; তাঁর অভিমুখী হওয়া থেকে মুখ ফিরিও না; তাওবা করতে গড়িমসি করো না; গভীর রাতে এবং দিনের প্রান্তগুলোতে২ তোমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে ঢিলেমি করো না। [এগুলো করলে] হয়তো তোমরা রহমত আর সৌভাগ্য লাভ করবে, জাহান্নাম থেকে তোমাদের দূরে রাখা হবে, জান্নাতে আনন্দিত হবে, আল্লাহর কাছে পৌঁছবে, নিআমতরাজি আর কুমারীদের সাহচর্যে ব্যস্ত থাকবে আর এগুলো সবই তোমাদের হবে চিরকালের জন্য। [এগুলো করলে হয়তো] সর্বোত্তম ঘোড়ায় চড়বে, আনতনয়না হুর, নানা ধরনের সুগন্ধি, গায়িকাদের কণ্ঠধ্বনি আর অন্যান্য নিআমতে আনন্দ করবে এবং নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সালিহদের সাথে তোমাকেও [জান্নাতের উচ্চস্থানে] উঠানো হবে।

 

অনুবাদ: আব্দুল্লাহ যোবায়ের

ফেইসবুকে আমরা...