1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
বিভিন্ন শব্দে দুরূদ শরীফ ও দালাইলুল খাইরাত
মুফতী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী
  • ৫ মার্চ, ২০২১

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ ও সালাম পাঠ করা মকবূল আমলসমূহের অন্যতম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইশক ও মহব্বত লাভ করার জন্য সালাত ও সালামের গুরুত্ব অপরিসীম। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিভিন্ন দুরূদ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। তদ্রুপ সাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈন, আইম্মায়ে কিরাম থেকেও বিভিন্ন শব্দে দুরূদ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। ইমাম জাযূলী এ সকল দুরূদ শরীফকে একত্রিত করে দালাইলুল খাইরাত কিতাবে সন্নিবেশিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি নিজেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসায় বলিষ্ঠ শব্দ যোগে অনেক দুরূদ লিখেছেন। দালাইলুল খাইরাত কিতাবকে দুরূদ শরীফের মকবূল ওযীফা হিসেবে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সকল আলিম গ্রহণ করেছেন। এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন তরীকায় এ কিতাবকে গুরুত্বপূর্ণ ওযীফা হিসেবে পাঠ করা হয়।

দেওবন্দী আকাবিরগণও এটাকে তাদের ওযীফা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। আশিকে ইলাহী মিরাঠী তার ‘তাযকিরাতে রশিদ’ গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩০৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী সনদসহ দালাইলুল খায়রাতের ইজাযত প্রদান করতেন শায়খ মাখদুম বখ্শ রামপুরী থেকে, তিনি শায়খুদ দালাইল আবদুর রাহমান আল মাদানী থেকে। এভাবে সনদের শেষ পর্যন্ত উল্লেখ করতেন।’
তাছাড়া মাওলানা আশরাফ আলী থানবী তার ‘ইমদাদুল ফতওয়া’র ৪র্থ খণ্ডের ৫৫৩ পৃষ্ঠায় ‘দালাইলুল খাইরাত’ ওযীফা হিসেবে পাঠ করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘এটি অনুমতি নিয়ে পাঠ করা উত্তম। ’

মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী তার ‘আশ-শিহাবুস সাকিব’ কিতাবের ৮৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘দালাইলুল খাইরাত আমাদের বুযুর্গদের ওযীফা।’
উল্লেখ্য, থানবী সাহেব দুরূদ শরীফের ফযীলতের উপর ‘যা-দুস সাঈদ’ নামে একটি কিতাব লিখেছেন। তাতে তিনি ৪০ টি দুরূদ বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে ২৫ টি দুরূদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। আর বাকী ১৫ টি সাহাবায়ে কিরাম থেকে বর্ণিত। তাছাড়া থানবী সাহেব বুযুর্গানে কিরাম থেকে বিভিন্ন প্রকার দুরূদ বর্ণিত থাকার প্রমাণ হিসেবে ‘দালাইলুল খাইরাত’ কিতাবের নামও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, মাশায়িখে কিরাম থেকে শত শত (দুরূদের) শব্দাবলি বর্ণিত আছে। ‘দালাইলুল খাইরাত’ তার একটি নমুনা। কিন্তু এখানে কেবল মাত্র সালাত ও সালামের যে সকল শব্দ হাকীকী অথবা হুকমীভাবে মারফু হাদীসে বর্ণিত রয়েছে এর মধ্য হতে ৪০টি (ভিন্ন ভিন্ন) শব্দ উল্লেখ করা হলো। তন্মধ্যে ২৫টি শব্দ সালাতের ও ১৫টি সালাম  প্রসঙ্গে। (যা-দুস সাঈদ, পৃষ্ঠা: ২৬)   [বিস্তারিত ‘যা-দুস সাঈদ’ কিতাবের ২৬-৪৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য]

দেওবন্দী বিশিষ্ট দুজন আলিমের উপরোক্ত বক্তব্য থেকেও প্রমাণিত হয় যে, দালাইলুল খাইরাত ওযীফাসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ওযীফা। এর থেকে পরিপূর্ণরূপে বরকত লাভ করতে হলে নিজের বুযুুর্গের কাছ থেকে ইজাযত নিয়ে পড়তে হয়। এমনকি অন্যান্য ইলমের ন্যায় এরও সনদ গ্রহণ করে পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, নামাযের মধ্যে পঠিত সর্বোত্তম দুরূদ হলো দুরূদে ইবরাহীমী। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দুরূদ পড়ার জন্য দুরূদের ভিন্ন ভিন্ন সীগাহ আছে, যেগুলো সাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈন, সালফে সালিহীন থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আশিক উম্মতরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসা ও মর্যাদাসূচক শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে দুরূদ পাঠ করেন তখন সালাফী নামধারী লা-মাযহাবীরা সেটাকে বিদআত বলে ফতওয়া দেন। অথচ এমন দুরূদ পাঠ করা জায়িয হওয়ার জন্য দলীল হিসেবে সাহাবায়ে কিরাম থেকে বর্ণিত দুরূদগুলোই যথেষ্ট। এ প্রসঙ্গে আরব-আযমে সুপ্রসিদ্ধ হাদীসের ইমাম হাফিয ইবনে হাজার আসকালানী (র.) তাঁর লিখিত বুখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘ফতহুল বারী’ কিতাবের ‘বাবুস সালাত আলান নাবী’ পরিচ্ছেদে লিখেন-

والأفضل أن يستعمل أكمله وأبلغه واستدل علٰى ذلك بأختلاف النقل عن الصحابة فذكر ما نقل عن علي وهو حديث موقوف طويل أخرجه سعيد بن منصور والطبري والطبراني وابن فارس وأوله اللهم داحي المدحوات إلى ان قال اجعل شرائف صلواتك ونوامي بركاتك ورأفة تحيتك على محمد عبدك ورسولك.

-দুরূদ শরীফ পরিপূর্ণ ও অধিক বলিষ্ট শব্দের দ্বারা পাঠ করা উত্তম। এর দলীল হলো, সাহাবায়ে কিরাম থেকে বিভিন্ন শব্দের দ্বারা দুরূদ বর্ণিত হওয়া। এক্ষেত্রে হযরত আলী (রা.) থেকে এক দীর্ঘ হাদীস রয়েছে, যা সাঈদ ইবনে মানসুর, তাবারী ও তাবারানী এবং ইবনে ফারিস বর্ণনা করেছেন। যার শুরুটা এ রকম- اَللّٰهُمَّ دَاحِيَ الْمَدْحُوَّاتْ  আর শেষে রয়েছে- اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ شَرَائِفَ صَلَوَتِكَ وَنَوَامِىَ بَرَكَاتِكَ وَرَأْفَةَ تَحِيَّتِكَ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ (ফতহুল বারী, খ- ১১, পৃষ্ঠা: ১৩৪)
ইবনে হাজার আসকালানী (র.)-এর বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হলো দুরূদ শরীফ অধিকতর পরিপূর্ণ ও বলিষ্ট শব্দাবলির মাধ্যমে পড়াই উত্তম। তিনি সাহাবায়ে কিরাম থেকে বিভিন্ন শব্দে দুরূদ পড়ার বর্ণনা থেকে এর দলীল গ্রহণ করেছেন।

সালাফী নামধারী ওয়াহাবীরা দুরূদে ইবরাহিমী (নামাযের দুরূদ) ছাড়া অন্য সকল দুরূদকে নাজায়িয বলে থাকেন। তাই তারা দালাইলুল খাইরাত পড়াকে গর্হিত কাজ মনে করেন। তাদের এ মূর্খতা দূর করার জন্য বুখারী শরীফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল বারী’র ‘বাবুসু সালাত আলান নাবী’ পাঠ করা উচিত। সেখানে হাফিয ইবনে হাজার আসকালানী (র.) সনদসহ দুরূদ এর অনেক সীগাহ বা শব্দ উল্লেখ করেছেন, যা থেকে বিভিন্ন শব্দে দুরূদ পড়া জায়িয হওয়ার দলীল পাওয়া যায়। বিষয়টি আরো বিস্তারিতভাবে জানতে হলে ইবনে হাজার আসকালানীর ছাত্র ইমাম হাফিয শামসুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আব্দুর রহমান আস-সাখাবী’র (৮৩১-৯০২ হিজরী) ‘আল কাউলুল বাদী’ কিতাবের في الأمر بالصلوة على رسول الله صلى الله عليه وسلم অধ্যায়ের ৪৩ পৃষ্ঠা থেকে ৬২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাঠ করুন। দেখবেন সাহাবা ও তাবিঈন থেকে দুরূদের অসংখ্য সীগাহ (শব্দরূপ) বর্ণিত আছে।

সালাফী নামধারী লা-মাযহাবীরা দুরূদ শরীফের বিভিন্ন সীগাহকে নাজায়িয মনে করেন। অথচ তাদের আলিমগণই তাদের বিভিন্ন কিতাবাদির ভূমিকায় ভিন্ন ভিন্ন সীগার মাধ্যমে হামদ ও সানার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরূদ লিখেছেন। এ সকল লেখকদের দরূদের সীগাহ সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা এবং নিজ থেকে তৈরি করা। প্রত্যেকে নিজ থেকেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লকব ও সিফাতসমূহ উল্লেখ করে দুরূদ লিখেছেন। উদাহরণস্বরূপ লা-মাযহাবীদের ইমামগণসহ অন্যান্য সুন্নী মুহাদ্দিস ও মুফাসসিরগণ তাঁদের কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ শরীফ উল্লেখ করেছেন তার কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

হাফিয ইবনু কায়্যিম আল জাওযিয়্যাহ
হাফিয ইবনুল কায়্যিম ‘ই’লামুল মুওয়াক্কিঈন’ কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

فَصَلَّى اللهُ وَمَلَائِكَتُهُ وَأَنْبِيَاؤُهُ وَرُسُلُهُ وَالصَّالِحُونَ مِنْ عِبَادِهِ عَلَيْهِ وَآلِهِ كَمَا وَحَّدَ اللهَ وَعَرَّفَ بِهِ وَدَعَا إلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا.

আল্লামা শাওকানী
লা-মাযহাবীরা আল্লামা শাওকানীকে তাদের ধারার প্রসিদ্ধ আলিম মনে করে থাকেন। আল্লামা শাওকানী ‘নাইলুল আওতার’ কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى الْمُنْتَقٰى مِنْ عَالَمِ الْكَوْنِ وَالْفَسَادِ. الْمُصْطَفَى لِحَمْلِ أَعْبَاءِ أَسْرَارِ الرِّسَالَةِ الْإِلَهِيَّةِ مِنْ بَيْنِ الْعِبَادِ. الْمَخْصُوصِ بِالشَّفَاعَةِ الْعُظْمَى فِي يَوْمٍ يَقُولُ فِيهِ كُلُّ رَسُولٍ: نَفْسِي نَفْسِي، وَيَقُولُ: ” أَنَا لَهَا أَنَا لَهَا “.الْقَائِلِ: ” بُعِثْتُ إلَى الْأَحْمَرِ وَالْأَسْوَدِ ” أَكْرِمْ بِهَا مَقَالَةً مَا قَالَهَا نَبِيٌّ قَبْلَهُ وَلَا نَالَهَا. وَعَلَى آلِهِ الْمُطَهَّرِينَ مِنْ جَمِيعِ الْأَدْنَاسِ وَالْأَرْجَاسِ. الْحَافِظِينَ لِمَعَالِمِ الدِّينِ عَنْ الِانْدِرَاسِ وَالِانْطِمَاسِ وَعَلىٰ أَصْحَابِهِ الْجَالِينَ بِأَشِعَّةِ بَرِيقِ صَوَارِمِهِمْ دَيَاجِرَ الْكُفْرَانِ. الْخَائِضِينَ بِخَيْلِهِمْ وَرَجْلِهِمْ لِنُصْرَةِ دِينِ اللهِ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ كُلَّ مَعْرَكَةٍ تَتَقَاعَسُ عَنْهَا الشُّجْعَانُ.

ইমাম ইবনে হিব্বান
ইমাম ইবনে হিব্বান (র.) ‘আল ইহসান’ কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

والصَّلاة والسَّلام الأتمام الأكملان علىٰ سيد ولد عدنان المبعوث بأكمل الأديان، المنعوت في التوراة والإنجيل والفرقان، وعلىٰ آله وأصحابه والتابعين لهم بإحسان، صلاة دائمة ما كرَّ الجديدان وعُبِدَ الرحمنُ.

আল্লামা ইবনে জারীর তাবারী
আল্লামা ইবনে জরীর তাবারী ‘তাফসীরে তাবারী’ কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

وصلى الله وسلم وبارك على سيدنا ومولانا محمدٍ، رسول الله وخيرته من خلقه، خاتم النبيين، وأشرف المرسلين. وعلى آله وأصحابه ومن تبعهم بإِحسانٍ إلى يوم الدين. فصلَّى الله على نبيِّنا كلَّما ذكره الذاكرون، وغَفَل عن ذكره الغافلون. وصلى الله عليه في الأوَّلين والآخرين. أفضلَ وأكثرَ وأزكى ما صلَّى على أحدٍ من خلقه. وزكَّانا وإياكم بالصلاة عليه، أفضلَ ما زكَّى أحدًا من أمته بصلاته عليه، والسلام عليه ورحمة الله وبركاته- (تفسير الطبري)

ইমাম বায়যাবী
ইমাম বায়যাবী তাফসীরে বায়যাবীর শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

صَلِّ عليه صلاة توازي غناءه، وتجازي غناءه، وعلى من أعانه وقرر تبيانه تقريرا، وأفضْ علينا من بركاتهم واسلك بنا مسالك كراماتهم، وسلِّم عليهم وعلينا تسليما كثيرا. (تفسير البيضاوي)

আবুস সাউদ আল ইমাদী
আবুস সাউদ আল ইমাদী ‘তাফসীরে আবিস সাউদ’ কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

صلى الله عليه وعلى آله الأخيار وصحبه الأبرار ما تناوبت الأنواء وتعاقبت الظلم والأضواء وعلى من تبعهم بإحسان مدى الدهور والأزمان. (تفسير أبي السعود، أبو السعود العمادي محمد بن محمد بن مصطفى (المتوفى: ৯৮২هـ)

নাসির উদ্দীন আলবানী
লা-মাযহাবীদের ইমাম নাসির উদ্দীন আলবানী ‘সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ’ কিতাবের শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

والصلاة والسلام على رسولنا محمد الذي بحديثه وسننه الصحيحة اهتدينا، المخاطب بقوله تعالى في القرآن الكريم: وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ، وعلىٰ آله وصحبه الغر الميامين، الذين أثنى الله عليهم بقوله: وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ، وعلى من اقتدى بهم وسار علىٰ منهجهم إلى يوم الدين.

আল্লামা আলুসী
আল্লামা আলুসী (র.) তাফসীরে রুহুল মাআনী’র শুরুতে যে দুরূদ লিখেছেন তা নিম্নরূপ:

وصلاةً وسلامًا على أول ذرة أضاءت من الكنز المخفي في ظلمة عماء القدم فأبصرتها عين الوجود وعلة إيجاد كل ذرة برأتها يد الحكيم إذ تردت في هوة العدم فعادت ترفل بأردية كرم وجود مهبط الوحي الشفاهي الذي أرتفع رأس الروح الأمين بالهبوط إلى موطيء أقدامه ومعدن السر الألهي الذي أنقطع فكر الملأ الأعلى دون ذكر الوصول إلى أدنى مقامه فهو النبي الذي أبرزه مولاه من ظهور الكمون إلى حواشي متون الظهور ليكون شرحا لكتاب صفاته وتقريرا ورفعه بتخصيصه من بين العموم بمظهرية سره المستور وأنزل عليه قرآنا عربيا غير ذي عوج ليكون للعالمين نذيرا وشق له من أسمه ليجله فذو العرش محمود وهذا محمد وعلى آله وأصحابه مطالع أنوار التنزيل ومغارب أسرار التأويل الذين دخلوا عكاظ الحقائق بالوساطة المحمدية فما برحوا حتى ربحوا فباعوا نفوسا وشروا نفيسا وقطعوا أسباب العلائق بالهمم الحقيقية فما عرجوا حتى عرجوا فلقوا عزيزا وألقوا خسيسا فهم النجوم المشرقة بنور الهدى والرجوم المحرقة لشياطين الردى رضي الله عنهم وأرضاهم وإلى متبعيهم وأولاهم ما سرحت روح المعاني في رياض القرآن وسبحت أشباح المباني في حياض العرفان-

উল্লিখিত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, বিভিন্ন শব্দে দুরূদ শরীফ পাঠ করা জায়িয। সাহাবায়ে কিরামের আমলের মধ্যে এর দলীল রয়েছে। এমনকি লা-মাযহাবী আলিমগণও নিজস্ব শব্দে দুরূদ শরীফ লিখেছেন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মর্যাদাজ্ঞাপক ভিন্ন ভিন্ন শব্দে দুরূদ শরীফ লেখা ও পাঠ করাতে কোনো অসুবিধা নেই।

ফেইসবুকে আমরা...