1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
আমল সহজ, সাওয়াব বেশি
মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী
  • ১৮ জুলাই, ২০২২

সকল মুমিনের একান্ত চাওয়া হলো জান্নাত। কারণ জান্নাতে গেলেই কাঙ্খিত সকল নিআমত পাওয়া যাবে। পাওয়া যাবে আল্লাহর দীদার, নবীর সঙ্গে প্রিয়জনের দেখা। তাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য সকল মুমিনই কমবেশি আমলের আগ্রহ ও চেষ্টা করেন। দুনিয়ার মধ্যে এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলো মানুষের কাছে হালকা, সহজ ও অল্প মনে হলেও আল্লাহর কাছে তা অনেক বড় ও মাহাত্ম্যপূর্ণ, আর এজন্য তিনি এসব অল্প আমলেও অনেক বেশি সাওয়াব প্রদান করে থাকেন।
সেসব বেশি সাওয়াবের সহজ আমলগুলোর প্রধান কয়েকটি হলো-

আত-তাওহীদ তথা একত্ববাদ
আখিরাতে নাজাত পাওয়ার জন্য সমগ্র দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যবর্তী সবকিছু আল্লাহর পথে বিলীন করার চেয়েও উত্তম হলো- কেবল আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করা। এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস ইবন মালিক (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা জাহান্নামীদের সবচেয়ে হালকা আযাবের ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন বলবেন, দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা আছে সব যদি তোমার হয়, তবে কি তুমি তা মুক্তিপণ হিসেবে দিবে? সে লোকটি বলবে, হ্যাঁ। অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি তোমার কাছে এর চেয়েও কম চেয়েছিলাম যখন তুমি আদমের ঔরসে ছিলে, (আর তা হলো) আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। (বুখারী: ৩৩৩৪ মুসলিম: ২৮০৫)
অপর এক হাদীসে এসেছে, হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ওয়াজিবকারী (অবশ্যম্ভাবী) দুটো বিষয় কী? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক না করে যে ব্যক্তি মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরীক করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জাহান্নামে যাবে (মুসলিম:১৫১ , আহমদ: ১৪৭১১)। তাই তাওহীদের উপর টিকে থাকার নিরন্তর প্রচেষ্টা করতে হয়। এজন্য সূফীগণ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর যিকরকে নিয়মিত ওয়াযীফা বানিয়েছেন।

আযান
আমাদের সমাজে অনেকেই আযান দেওয়াকে ছোট মনে করেন, লজ্জাজনক মনে করেন এবং অনেকেই মুয়াযযিনকেও ছোট মনে করেন, ছোট হিসেবে দেখেন; অথচ কিয়ামতের ময়দানে মুয়াযযিনের মাথাই হবে সবচেয়ে উঁচু। এ মর্মে আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন মানুষদের মধ্যে মুয়াযযিনগণের ঘাড় হবে সবচেয়ে উঁচু। (মুসলিম: ৩৮৭, আহমদ: ১৬৮৬১)

যথাযথভাবে উযূ, তৎপরবর্তী দুআ ও নামায আদায় করা
আমরা নামায আদায় বা অন্যান্য কারণে নিয়মিত উযূ করি। উযূ করা একটি ছোট আমল হলেও কেউ যদি যথাযথভাবে ভালো করে উযূ করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। যেমন হযরত আমর ইবন আবাসা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উযূ সম্পর্কে আমাকে বলে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তির কাছে যখন উযূর পানি পেশ করা হয়, এরপর সে কুলি করে এবং নাকে পানি দেয় ও তা পরিষ্কার করে; তখন তার মুখমন্ডল, মুখগহব্বর ও নাকের সকল গুনাহ ঝরে যায়। অতঃপর যখন সে আল্লাহ পাকের নির্দেশ অনুসারে মুখমন্ডল ধৌত করে, তখন মুখমন্ডলের চারদিক থেকে সকল গুনাহ পানির সাথে ঝরে যায়। এরপর যখন দুহাত ধৌত করে কুনুই পর্যন্ত, তখন তার উভয় হাতের গুনাহসমূহ আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। তারপর উভয় পা গোড়ালী পর্যন্ত ধৌত করলে উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর যদি সে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে আল্লাহর হামদ ও ছানা বর্ণনা করে এবং যথাযথভাবে তাঁর অন্তরকে আল্লাহর জন্য মুক্ত করে নেয়; তাহলে সে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে সেদিনের মত, যেদিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিলেন। (মুসলিম: ২৯৪, আহমদ: ১৭০১৯, নাসাঈ: ১৪৭)
অপর আরেক হাদীসে এসেছে, উসমান ইবন আফফান (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি সুন্দরভাবে উযূ করলেন, অতঃপর তিনি বললেন, যে লোক এ উযূর মতো উযূ করবে, তারপর মসজিদে এসে দু’রাকআত নামায আদায় করে সেখানে বসবে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (বুখারী: ৬৪৩৩)

জামাআতে নামায আদায়
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা যেসব সহজ কাজের বিনিময়ে বেশি সাওয়াব প্রদান করেন, সেসব কাজের অন্যতম আরেকটি হলো জামাআতের সাথে নামায আদায় করা (এবং জামাআতে নামাযের প্রতি যত্নশীল হওয়া)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জামাআতে ইশার নামায আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত নামায আদায় করল। আর যে ব্যক্তি জামাআতে ফজরের নামায আদায় করল সে যেন সারা রাত নামায আদায় করল। (মুসলিম: ২৬০-(৬৫৬), আহমদ: ৪৯১, আবু দাউদ: ৫৫৫, তিরমিযী: ২২১, ইবন হাব্বান ২০৬০)
হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন জানাবাতের গোসলের ন্যায় ভালোভাবে গোসল করে জুমুআর নামাযের জন্য মসজিদে আসবে, সে যেন একটি উট কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আসবে, সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। এরপর যে তৃতীয় পর্যায়ে আসবে, সে যেন একটি ছাগল কুরবানী করল। তারপর চতুর্থ পর্যায়ে যে আসবে, সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুতবাহ দেওয়ার জন্য বের হন তখন ফিরিশতারা যিকর শ্রবণের জন্য উপস্থিত হন। (বুখারী: ৮৮১, মুসলিম: ১০-(৮৫০), আহমদ ৯৯২৬, আবূ দাউদ: ৩৫১)

জামাআতের সাথে নামায আদায়ের জন্য বের হওয়া
হযরত আবূ উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ঘর থেকে পবিত্রতা (উযূ) অর্জন করে কোনো ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হয়, তাহলে তার সাওয়াব হবে একজন ইহরামরত হাজীর ন্যায়। এক নামায থেকে আরেক নামায হচ্ছে ইল্লীয়ীনে অবস্থানের কারণ, যদি দুুই নামাযের মধ্যে কোনো অহেতুক কথা ও কাজ না করা হয়। (আহমদ: ২২৩০৪)

ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত
ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে হযরত আয়িশা (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যবর্তী সবকিছুর চেয়েও বেশি উত্তম হলো ফজরের দুই রাকআত (সুন্নাত) নামায। (মুসলিম: ৯৬-(৭২৫), আহমদ: ২৬২৮৬, তিরমিযী: ৪১৬, নাসাঈ: ১৭৫৯)
নামাযে ইমাম সাহেবের সাথে ‘আমীন’ বলা
জামাআতের সাথে নামাযে ইমামের সাথে ‘আমীন’ বললে তা যদি ফিরিশতার ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে যায়, তাহলে সে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাযে ইমাম যখন ‘আমীন’ বলেন, তখন তোমরাও ‘আমীন’ বলো। কেননা, যার ‘আমীন’ বলা ফিরিশতার ‘আমীন’ বলার সাথে মিলে যায়, তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় (বুখারী: ৭৮০, মুসলিম: ৭২-(৪১০), আহমদ: ৭২৪৪, আবূ দাউদ: ৯৩৫)। আর নামাযে ‘আমীন’ বলার ক্ষেত্রে আমাদের ইমামগণ চুপিসারে (আস্তে আস্তে) ‘আমীন’ বলতেন।

সবকিছুর জন্য সংক্ষেপ ও সহজ দুআ
আল্লাহর হাবীব ব আমাদেরকে এমন একটি দুআ শিক্ষা দিয়েছেন, যা সহজ ও সংক্ষিপ্ত হলেও দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কিছুকে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়। হযরত আবূ মালিক আল আশআরী (রা.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন এক লোক রাসূল ব এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা.)! আমি আল্লাহর কাছে কীভাবে চাইবো? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলো-

اللهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي

-‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে রহম করুন, আমাকে মুক্তি দিন এবং আমাকে রিযক দান করুন।’ রাসূল ব তাঁর বুড়ো আঙ্গুল ব্যতিত সব আঙ্গুলকে একত্রিত করে বললেন, আর নিশ্চয়ই ঐগুলো (ঐ দুআটি) তোমার দুনিয়া ও আখিরাতের সব কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে (মুসলিম: ৩৬-(২৬৯৭), আহমদ: ২৭২৫৫, বুখারী: ৬৫১)। এখানে অতি সংক্ষিপ্ত দুআর মধ্যে আমরা অনেক বড় ফযীলত পাওয়ার সুযোগ লাভ করি।

অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য দুআ করা
কোনো মুসলমান যদি অপর কোনো অনুপস্থিত মুসলমান ভাইয়ের জন্য দুআ করে, ফিরিশতারা ঐ দুআকারীর জন্যও অনুরূপ দুআ করেন এবং আল্লাহ তাআলা তা দিয়ে দেন। হযরত আবূ দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো মুসলিম যখন অপর এক মুসলিম ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করে, তখন ফিরিশতারা বলেন, তোমার জন্যও অনুরূপ (আল্লাহ দান করুন)। (মুসলিম: ৮৬-(২৭৩২), আহমদ: ২১৭০৭, আবূ দাউদ: ১৫৩৪)
অপর এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত উবাদা ইবন সামিত (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে প্রত্যেক মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীর ক্ষমা প্রার্থনার বিনিময়ে একটি করে নেকি লিখে দিবেন। (তাবারী: ২১৫৫)

সকালের তাসবীহের ফযীলত
হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন একশতবার বলবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর’; তাকে এর প্রতিদানস্বরূপ দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব দেওয়া হবে। তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং তার একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুয থাকবে। কোনো লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়েও (ঐ দুআটির) আমল বেশি পরিমাণ করবে। (বুখারী: ৩২৯৩, মুসলিম: ২৮)

দুরূদ শরীফের ফযীলত
আল্লাহর হাবীব সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর মাত্র একবার দুরুদ পাঠ করলে পাওয়া যায় ১০টি রহমত, ১০টি গুনাহ থেকে মাফ এবং ১০টি দরজা বুলন্দি। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ব বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তাঁর জন্য দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে। (আবূ দাউদ: ১৩০০)

ভালো কাজের সূচনাকারীর ফযীলত
ইসলামে কোনো ব্যক্তি যখন ভালোকাজের সূচনা করে এবং পরবর্তীতে তা অনুযায়ী অন্যরা আমল করে, তাহলে আমলকারীদের ন্যায় সূচনাকারী ব্যক্তিও প্রতিদান পাবে। এক্ষেত্রে কারো প্রতিদান থেকে কমানো হবে না। যেমন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইসলামে ভালো কাজের সূচনা করবে, অতঃপর পরবর্তীতে তা আমল করা হবে; তাহলে আমলকারীর ন্যায় সূচনাকারী ব্যক্তিকেও প্রতিদান দেওয়া হবে। আর এক্ষেত্রে আমলকারী ব্যক্তির সাওয়াব থেকে কমানো হবে না। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি ইসলামে মন্দ কিছুর সূচনা করবে এবং পরবর্তীতে সে মন্দ কাজ যদি কারো দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাহলে সে সম্পাদনকারীর ন্যায় সূচনাকারীর আমলনামায়ও গুনাহ লেখা হবে। আর সেক্ষেত্রে সেই মন্দ কাজ সম্পাদনকারীর কোনো গুনাহ কমানো হবে না। (মুসলিম: ১৫-(১০১৭), আহমদ: ১৯১৭৪, তিরমিযী: ২৬৭৫)

[লেখাটি হাইকোর্ট মাযার জামে মসজিদে মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী প্রদত্ত জুমুআর খুতবা পূর্ব আলোচনার আলোকে মহসিন আহমদ কর্তৃক অনুলিখন।]

ফেইসবুকে আমরা...