1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
জিহাদ ফরজ হওয়ার শর্ত
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

জিহাদ কখন ফরয হয়? জিহাদের শর্তগুলো কি কি?

প্রশ্নকারী:  জুলহাস আহমদ চৌধুরী
জকিগঞ্জ, সিলেট

জবাব: জিহাদ সাধারণত ফরযে কিফায়াহ (সমষ্টিগত ফরয) যা কতিপয় মুসলমানের দ্বারা আদায় হলে অন্যান্যের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। তবে বিশেষ তিন অবস্থায় তা ‘ফরযে আইন’ তথা ব্যক্তিগত ফরয। অর্থাৎ প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির উপর জিহাদ করা ফরয হয়ে পড়ে। যথা-

এক. যদি কাফির ও মুসলিমদের মাঝে যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে যুদ্ধে সক্ষম প্রতিটি ব্যক্তির উপর জিহাদ করা ফরযে আইন। এই যুদ্ধ থেকে পলায়ন করা কবীরা গুনাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

‎يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوهُمُ الْأَدْبَارَ – وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَاءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللهِ وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ

-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফিরদের সাথে মুখোমুখী হবে (যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে) তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন কল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হলো জাহান্নাম। বস্তুত: সেটা হলো নিকৃষ্ট অবস্থান। (সূরা আনফাল, আয়াত-১৫ ও ১৬)

দুই. যদি কাফিররা মুসলিম দেশকে ঘিরে ফেলে, তাহলে প্রতিটি সক্ষম ব্যক্তির উপর দেশ ও মুসলিমদের ইজ্জত-আব্রু হিফাযতের স্বার্থে জিহাদ করা ফরয।

এ রকম যুদ্ধ সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করবে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান। যতক্ষণ উলিল আমর হিসেবে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান থাকবে ততক্ষণ সে তা নির্বাহ করবে। এটাকে বলা হয়, প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ।

তিন. মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান যদি দেশের নাগরিক ও প্রজা সাধারণকে জিহাদের জন্য আহ্বান জানান (বাইরের কোনো অপশক্তির বিরূদ্ধে লড়াই করার জন্যে) তাহলে প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির উপর জিহাদে অংশগ্রহণ করা ফরযে আইন হয়ে যায়। এ মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‎وَإِذَا اسْتُنْفِرْتُمْ فَانْفِرُوا -যখন তোমাদেরকে জিহাদে বের হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা (জিহাদের উদ্দেশে) বের হয়ে যাও। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭২৩)

যারা এই আহ্বান পাওয়ার পরও তাতে সাড়া দেয় না, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তিরস্কার করে বলেন,

‎يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انفِرُوا فِي سَبِيلِ اللهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ ۚ أَرَضِيتُم بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ ۚ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ

-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে (জিহাদে) বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধরো, তোমরা কি আখিরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। (সূরা তাওবা, আয়াত-৩৮)

তাই মুসলমানের ইমাম তথা রাষ্ট্রপ্রধান যখন জিহাদের জন্য আহ্বান জানাবেন এবং অন্যান্য মুসলিমগণ জিহাদে যাবেন তখন সক্ষমতা থাকাবস্থায় অবশ্যই তাতে সাড়া দেওয়া ফরয।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

ফেইসবুকে আমরা...