প্রশ্ন: শরীআতের আলোকে নারী ও পুরুষের বিবাহের সঠিক বয়স কত? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্নকারী: গয়াছ আলী সিরাজপুরী
দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ
জবাব: নারী-পুরুষের বিবাহের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমা শরীআত নির্ধারণ করেনি। শরীআতের দৃষ্টিতে পিতা-মাতা কিংবা বৈধ অভিভাবক যদি নাবালক নর-নারীকেও বিবাহ করান তাহলে তা বৈধ। এ সম্পর্কে বিদায়াতুল মুতাদী গ্রন্থে লিখেছেন,
ويجوز نكاح الصغير والصغيرة إذا زوجهما الولي بكرا كانت الصغيرة أو ثيبا والولي هو العصبة فإن زوجهما الأب أو الجد فلا خيار لهما بعد بلوغهما وإن زوجهما غير الأب والجد فلكل واحد منهما الخيار إذا بلغ إن شاء أقام على النكاح وإن شاء فسخ
-অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে মেয়ের বিবাহ বৈধ হবে যদি অভিভাবক কর্তৃক সম্পন্ন করা হয়। উক্ত ছেলে মেয়ে কুমার-কুমারী হোক কিংবা না হোক। পিতা কিংবা দাদা বিবাহ করালে বালেগ হওয়ার পর তাদের বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার কোনো এখতিয়ার থাকবেনা। অন্যান্যরা বিবাহ করালে বালিগ হওয়ার পর ইহা বহাল রাখার কিংবা ছিন্ন করার এখতিয়ার রাখবে। (বিদায়াতুল মুবতাদী, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬০; আল হিদায়াহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯৩; আল মাবসূত, ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১২)
উল্লেখ্য যে, বিবাহের জন্য কেবল বালেগ হওয়াই যথেষ্ট নয় বরং ভরন পোষণের ব্যয়ভার সংকুলানে সক্ষম হওয়া প্রয়োজন। পবিত্র কুরআন মাজীদে এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, وليستعفف الذين لا يجدون نكاحا حتى يغنيهم الله من فضله -যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। (সূরা নূর, আয়াত-৩৩)
জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র