রাহীন মনে মনে আজ ভীষণ খুশি। বাবার সাথে মেলায় যাবে সে। সপ্তাহে প্রতি রবিবার নদীর পারে মেলা বসে। খেলনা, খাবার, মোরগ, পাখি কিছুই বাদ নেই, সবই পাওয়া যায় এখানে। রাহীনের অনেক আগের বায়না সে কবুতর কিনবে। এবার পরীক্ষার আগে বাবা বলেছিলেন ক্লাসে প্রথম হলেই তবে কবুতর কিনে দিবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে রাহীন। এবার কবুতর কেনার পালা। আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে বাবার সাথে মেলায় গেল সে। হৈ-হুল্লোড় আর ভিড়ের মাঝখান থেকে পছন্দমতো একটা কবুতর কেনা হলো। কী যে ভারী খুশি! বাবা কবুতরকে রাখার জন্য দারুণ একটা ঘর বানিয়ে দিলেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এখন রাহীনের খেলার সাথী সফেদ কবুতরটি। স্কুলে যাওয়ার আগে খাবার দেওয়া আবার স্কুল থেকে ফিরেই কবুতরের সাথে খেলায় মেতে ওঠা, গোসল করানো সবকিছুই ঠিক মতো করে সে। রাহীনের মাঝে মাঝে অনেক রাগ হয়। সে তার কবুতরকে যখন খাবার দেয়, তখন আরো কিছু পাখি কোত্থেকে উড়ে আসে, আর খাবারে ভাগ বসায়। রাহীন তাদের ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। একদিন মা বললেন- সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টিকেই ভালোবাসতে হয়। ওরা একটু খাবার পেলে খুব খুশি হবে। সেই থেকে রাহীন তার কবুতরের সাথে আশপাশের পাখিদেরও খাবার দেয়। পাখিদের সাথে আনন্দে আনন্দে কেটে যায় তার পুরোটা দিন।