Logo
নামাযে মধ্যখানে ছোট একটি সূরা বাদ পড়া মাকরূহ
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

নামাযে প্রথম রাকআতে সূরা ফীল পড়ে দ্বিতীয় রাকআতে সূরা মাউন পড়লে কি নামায মাকরূহ হবে? কোন ধরনের সূরা একটি পড়ে পরের রাকআতে মধ্যখানে একটি বাদ দিয়ে পড়লে মাকরূহ হবে?

 প্রশ্নকারী: মো. লালন আহমদ রাজু
নরসিংপুর, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ

 

জবাব: পাশাপাশি দুই রাকআত নামায পড়ার ক্ষেত্রে মধ্যখানে ছোট একটি সূরা বাদ দিয়ে অন্য দুই সূরা পড়া মাকরূহ। এ সম্পর্কে আদ দুররুল মুখতার কিতাবে লিখেছেন, ‎ويكره الفصل بسورة قصيرة (রদ্দুল মুহতার, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৪৬; আদ দুররুল মুখতার, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৭৫)

সুতরাং প্রথম রাকআতে সূরা ফীল পড়ে দ্বিতীয় রাকআতে সূরা মাউন পড়লে মধ্যখানে সূরা কুরাইশ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইহা ছোট সূরা সমূহের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নামায মাকরূহ হবে।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...