জবাব: হ্যাঁ, জায়িয হবে। আর এর দুটি পন্থা রয়েছে। যথা: ১) উমরাহ আদায়কারী তা নিজের পক্ষ থেকে আদায় করে ঐ ব্যক্তিকে এর সাওয়াব দান করব।

২) উক্ত উমরার ইহরাম সরাসরি সে ব্যক্তির পক্ষ থেকে আদায়ের নিয়ত করে বাঁধবে এবং (তালবীয়াহসহ) সকল কিছু তার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হয়ে আদায় করব।
‘আল বাহরুর রাইক’ কিতাবে লিখেছেন:

والأصل فيه أن الإنسان له أن يجعل ثواب عمله لغيره صلاة أو صوما أو صدقة أو قراءة قرآن أو ذكرا أو طوافا أو حجا أو عمرة أو غير ذلك عند أصحابنا للكتاب والسنة

এ বিষয়ে মূলনীতি হচ্ছে আমাদের ইমামগণের মতে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে কোন ব্যক্তি নিজের যেকোন আমলের তথা নামায, রোযা, সাদাকাহ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকর, তাওয়াফ, হজ্জ, উমরাহ ইত্যাদির সাওয়াব অন্যকে দিতে পারবে। (৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৬৩)
আদ দুররুল মুখতার কিতাবে লিখেছেন-

أن كل من أتى بعبادة ما له جعل ثوابها لغيره وإن نواها عند الفعل لنفسه لظاهر الادلة.

-প্রকাশ্য দলীলের ভিত্তিতে ইহা বোধগম্য যে, কোন ব্যক্তি কোন আমল নিজের জন্য করলে তার সাওয়াব অন্যকে দিতে পারবে যদিও আমল করার সময় সে তা নিজের জন্য করার নিয়ত করে থাকে।
(১ম খন্ড, পৃষ্টা ১৭২)
রদ্দুল মুহতার কিতাবে এর ব্যাখ্যায় লিখেছেন:

(قوله بعبادة ما) أي سواء كانت صلاة أو صوما أو صدقة أو قراءة أو ذكرا أو طوافا أو حجا أو عمرة، أو غير ذلك من زيارة قبور الأنبياء عليهم الصلاة والسلام والشهداء والأولياء والصالحين، وتكفين الموتى، وجميع أنواع البر كما في الهندية

লিখকের উক্তি যে কোন ইবাদত বলতে নামায, রোযা, সাদাকাহ, তিলাওয়াত, যিকর, তাওয়াফ, হজ্জ, উমরা বা অন্যান্য যেকোন বিষয় যেমন- নবী, শহীদ, ওলী ও নেককারগণের কবর যিয়ারত, মৃতদের কাফন-দাফন এবং সকল নেকীর কাজ (সে অন্যকে দিতে পারবে)। (২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৫৯৫)
‘রদ্দুল মুহতার’ কিতাবে আরো লিখেছেন:

والظاهر أنه لا فرق بين أن ينوي به عند الفعل للغير أو يفعله لنفسه ثم بعد ذلك يجعل ثوابه لغيره، لإطلاق كلامهم، وأنه لا فرق بين الفرض والنفل.

(২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৪৩)

আমান কুরেশি
মিশিগান, আমেরিকা