উমর কাযা নামাযের ওয়াক্তের সংখ্যা যদি মনে না থাকে তাহলে তার করণীয় কি?
প্রশ্নকারী: রায়হান হোসেন
জবাব: কারো দায়িত্বের ফরয কোনো নামায অনাদায় থাকলে বা ছুটে গেলে চাই সেটা নতুন কিংবা পুরাতন হোক, সংখ্যায় কম বা বেশি যাই হোক সে নামাযকে ‘ফাওয়াইত’ নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এর কাযা করা শরীআতের বিধানানুযায়ী ফরয। এরকম নামাযের সংখ্যা কারো অজানা থাকলে কাযা আদায়ের ক্ষেত্রে এতটুকু বেশি পরিমাণে আদায় করে নেওয়া বাঞ্চনীয়। যাতে অনাদায় রয়েছে বলে কোনো সন্দেহ না থাকে। উল্লেখ্য যে, ছুটে যাওয়া নামাযের সংখ্যা ছয় বা ততোধিক হলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আবশ্যক নয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আগের ছুটে যাওয়া নামায আগে আদায় করা জরুরি নয়। আর সংখ্যায় পাঁচ কিংবা তার চেয়ে কম সংখ্যক হলে কাযার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা অপরিহার্য, যতক্ষণ না সময়ের অভাবে নির্দিষ্ট ওয়াক্তের নামায অনাদায় থাকার আশঙ্কা দেখা না দেয়।
আর উমর কাযা বলতে ফকীহগণ যা বুঝিয়েছেন তা হচ্ছে অতীত জীবনের আদায়কৃত সকল ফরয ও ওয়াজিব নামায মনোযোগ ও অধিক যতœ সহকারে পুনরায় পড়া, চাই সে সকল নামাযে ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা সন্দেহ থাকুক কিংবা না থাকুক। তাই উমর কাযার ক্ষেত্রে নামাযের সংখ্যার হিসাব করা হবে কোনো ব্যক্তির বালেগ হওয়ার সম্ভাব্য বয়স থেকে গণনা করে। উল্লেখ্য যে, উমর কাযা ফকীহগণের কারো কারো মতে মুস্তাহাব।
(কানযুদ্দাকাইক: ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮১, আদ দুররুল মুখতার: ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯৭, আল বাহরুর রাইক: ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, আল জাওহারাতুন নায়্যিরাহ: ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৭)
জবাবদাতা:
প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র