Logo
সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিধান
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

আমি একটি এনজিওতে (মাইক্রোক্রেডিট) কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করি। আমার কাজ হচ্ছে, কেবলমাত্র কম্পিউটারে চিটি পত্র লেখাসহ যাবতীয় কম্পিউটার টাইপিং এর কাজ। ঋণ দেওয়া-নেওয়া কিংবা সুদের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু ঋণের লেন দেনের লভ্যাংশ থেকে আমার বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। উক্ত বেতন-ভাতা আমার জন্য শরীআতের দৃষ্টিতে বৈধ হচ্ছে কি না, জানতে চাই।

প্রশ্নকারী: আব্দুল্লাহ মঞ্জুর 
দক্ষিণ সুরমা, সিলেট

জবাব : উক্ত এনজিওতে যেহেতু সুদভিত্তিক ঋণের আদান প্রদান হয় এবং আপনার বেতন এরই লভ্যাংশ থেকে আসে, তাই উক্ত রোজগার আপনার জন্য হালাল নয়। আপনার কাজ সুদের প্রত্যক্ষ লেনদেন কার্যক্রম থেকে আলাদা হলেও একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির কারণে পরোক্ষভাবে আপনিও সুদসহ তাদের সকল অপকর্মের সহযোগী হিসেবে পরিগণিত হবেন। সুতরাং হালালভাবে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ইহা ছেড়ে সুদমুক্ত যে কোনো হালাল রোজগারের পথ অন্বেষণের চেষ্টা করা উচিত। পবিত্র কুরআন মাজীদে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‎وتعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الإثم والعدوان واتقوا الله إن الله شديد العقاب -আর তোমরা পরস্পর নেকী ও খোদাভীরুতামূলক বিষয়ে সহযোগিতা করো, গোনাহ ও সীমালঙ্গনে সহযোগিতা করো না, আর আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয় তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (সূরা মায়িদা, আয়াত-০২)

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...