জবাব: ঈদ, জুমুআ কিংবা অন্যান্য নামাযের জামাআতে অত্যধিক লোকের উপস্থিতির কারণে যেথায় সাহু সিজদাহ দিলে মুসল্লিদের মধ্যে ফিতনার আশংকা প্রবল সে রকম পরিস্থিতিতে সাহু সিজদাহ না দেওয়া উত্তম। অন্যথায় ঈদ, জুমুআ ও অন্যান্য সকল নামাযে সাহু সিজদার হুকুম অভিন্ন। এ সম্পর্কে আদ্দুররুল মুখতার কিতাবে লিখেছেন-
والسهو في صلاة العيد والجمعة والمكتوبة والتطوع سواء
-ঈদ, জুমুআ, ফরয ও নফল সকল নামাযে সাহু সিজদার বিধান সমানভাবে প্রযোজ্য। (১ম খ-, পৃষ্ঠা ১০০)
এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা মারাকিল ফালাহ ও হাশিয়াতুত তাহতাবী কিতাবে উল্লেখপূর্বক আছে-
الأصل “ولا يأتي الإمام بسجود. السهو في الجمعة والعيدين” دفعا للفتنة بكثرة الجماعة
-মূলনীতি হচ্ছে, জুমুআ ও ঈদের নামাজে অত্যধিক লোকের উপস্থিতির কারণে সাহু সিজদাহ দিলে ফিৎনার আশংকা থাকলে ইমাম সাহু সিজদা দিবেন না। (মারাকিল ফালাহ ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৭৯; তাহতাবী ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৪৬৫)
সারকথা হলো, জামাতে অত্যধিক লোকের উপস্থিতির শর্ত যা ফিতনার সাথে সম্পর্কিত হয়েছে। সুতরাং সেরূপ লোকের উপস্থিতি না হলে ফিতনার আশংকামুক্ত হওয়াতে সাহু সিজদা করা বাহ্যত করনীয় হিসেবে বিবেচিত হবে। (হাশিয়াতু তাহতাবী: ১/৪৬৬)
এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে শামী কিতাবে বর্ণনার সারকথা হলো, ঈদ ও জুমুআর নামাযে ফিতনার আশংকায় সাহু সিজদা না করার মর্মার্থ এটা নয় যে, সাহু সিজদা নাজায়িয। বরং না করা উত্তম এজন্য যে, যাতে লোকেরা ফিতনার সম্মুখীন না হয়। আর অত্যধিক লোকের উপস্থিতি না ঘটলে সাহু সিজদা ছেড়ে দেওয়া যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী:২য় খ-, পৃষ্ঠা ৯২)