1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
আহলুল বাইতের মর্যাদা সংক্রান্ত কিছু হাদীস
সংকলনে- মাওলানা মো. নজমুদ্দীন চৌধুরী
  • ১৪ আগস্ট, ২০২১

হাদীস নং ১

عن عامر بن سعد بن أبي وقاص رضى الله عنه عن ابيه قال أمر معاويةُ بنُ أبي سفيانَ سعدًا فقال ما منعك أن تَسُبَّ أبا ترابٍ قال أَما ما ذَكَرْتُ ثلاثًا قالهن رسولُ اللهِ ﷺ فلن أَسُبَّهُ لَأَن تكونَ لي واحدةٌ منهن أَحَبَّ إليَّ من حُمْرِ النَّعَمِ سَمِعْتُ رسولَ اللهِ ﷺ يقول لعليٍّ وخَلَّفَه في بعضِ مَغازِيهِ فقال له عليٌّ يا رسولَ اللهِ تُخَلِّفُنِي مع النساءِ والصِّبيانِ فقال له رسولُ اللهِ ﷺ أَما تَرْضى أن تكونَ مِنِّي بمنزلةِ هارونَ من موسى إلا أنه لا نُبُوَّةَ بعدي وسَمِعتُه يقول يومَ خَيْبَرَ لَأُعْطِيَنَّ الرايةَ رجلًا يحبُّ اللهَ ورسولَه ويحبُّه اللهُ ورسولُه قال فتَطاوَلْنا لها فقال ادْعُوا لي عليًّا قال فأتاه وبه رَمَدٌ فبَصَق في عينِهِ فدفع الرايةَ إليه ففتح اللهُ عليه وأُنْزِلَت هذه الآيةُ {نَدْعُ أَبْناءَنا وَأَبْناءَكُمْ وَنِساءَنا وَنِساءَكُمْ} الآية دعا رسولُ اللهِ ﷺ عليًّا وفاطمةَ وحَسَنًا وحُسَيْنًا فقال اللهم هؤلاء أهلي

-আমির বিন সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, মুআবিয়া বিন আবি সুফিয়ান (রা.) হযরত সাদ (রা.) কে আমীর নিযুক্ত করলেন। অতঃপর বললেন, কী বিষয় আপনাকে বাধা দেয় আবূ তুরাবকে মন্দ বলতে (আবূ তুরাব আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রা. এর একটি কুনিয়াত)। তিনি বললেন, তিনটি কথা, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন। আমি কখনও হযরত আলীকে গালি দেব না। যদি এমন ফদীলতের মধ্যে একটি ফদীলত আমার জন্য হতো তাহলে তা আমার কাছে লাল উট থেকে (দুনিয়ার অতি উত্তম নিআমত থেকে) অধিক প্রিয় হতো।

১. আমি শুনেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলীকে বলেছেন যখন কোনো এক যুদ্ধে আলী (রা.) কে পিছনে রেখে গিয়েছিলেন, হযরত আলী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি আমাকে বাচ্চাদের এবং মহিলাদের সাথে রেখে যাচ্ছেন? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন হে আলী! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে তুমি আমার জন্য এমন যেমন হযরত মূসা (আ.) এর জন্য হারূন (আ.) ছিলেন। তবে নিশ্চয়ই আমার পরে নবুওয়াত নেই।

২. আমি খাইবার যুদ্ধের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় আমি এমন একজন মানুষকে ঝাণ্ডা দেব যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলও তাঁকে ভালোবাসেন। আমরা তখন মাথা উঁচু করে প্রতিক্ষা করছিলাম (ঝাণ্ডা পাওয়ার আশায়)। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আলীকে আমার কাছে ডাকো। বর্ণনাকারী বলেন, আলী আসলেন। (এ সময়) আলীর চোখে অসুখ ছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলীর চোখে লালা মুবারক লাগিয়ে দিলেন অতঃপর আলীকে ঝাণ্ডা দিলেন। আল্লাহ পাক হযরত আলী (রা.) এর হাতে বিজয় দিলেন।

৩. যখন আয়াত নাযিল হলো, نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ (মুবাহালার আয়াত)। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলী (রা.), ফাতিমা (রা.), হাসান (রা.) এবং হুসাইন (রা.) কে ডেকে আনলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! তারা আমার আহলুল বাইত। (তিরমিযী, আবওয়াবুল মানাকিব)

হাদীস নং ২

عن عائشة رضى الله تعالى عنها إنّا كُنّا أزْواجَ النبيِّ صَلّى اللهُ عليه وسلَّمَ عِنْدَهُ جَمِيعًا، لَمْ تُغادَرْ مِنّا واحِدَةٌ، فأقْبَلَتْ فاطِمَةُ عَلَيْها السَّلامُ تَمْشِي، لا واللهِ ما تَخْفى مِشْيَتُها مِن مِشْيَةِ رَسولِ اللهِ صَلّى اللهُ عليه وسلَّمَ، فَلَمّا رَآها رَحَّبَ قالَ: مَرْحَبًا بابْنَتي ثُمَّ أجْلَسَها عن يَمِينِهِ أوْ عن شِمالِهِ، ثُمَّ سارَّها، فَبَكَتْ بُكاءً شَدِيدًا، فَلَمّا رَأى حُزْنَها سارَّها الثّانِيَةَ، فَإِذا هي تَضْحَكُ، فَقُلتُ لَها أنا مِن بَيْنِ نِسائِهِ: خَصَّكِ رَسولُ اللهِ صَلّى اللهُ عليه وسلَّمَ بالسِّرِّ مِن بَيْنِنا، ثُمَّ أنْتِ تَبْكِينَ، فَلَمّا قامَ رَسولُ اللهِ صَلّى اللهُ عليه وسلَّمَ سَأَلْتُها: عَمّا سارَّكِ؟ قالَتْ: ما كُنْتُ لِأُفْشِيَ على رَسولِ اللهِ صَلّى اللهُ عليه وسلَّمَ سِرَّهُ، فَلَمّا تُوُفِّيَ، قُلتُ لَها: عَزَمْتُ عَلَيْكِ بما لي عَلَيْكِ مِنَ الحَقِّ لَمّا أخْبَرْتِنِي، قالَتْ: أمّا الآنَ فَنَعَمْ، فأخْبَرَتْنِي، قالَتْ: أمّا حِينَ سارَّنِي في الأمْرِ الأوَّلِ، فإنَّه أخْبَرَنِي: أنَّ جِبْرِيلَ كانَ يُعارِضُهُ بالقُرْآنِ كُلَّ سَنَةٍ مَرَّةً، وإنَّه قدْ عارَضَنِي به العامَ مَرَّتَيْنِ، ولا أرى الأجَلَ إلّا قَدِ اقْتَرَبَ، فاتَّقِي اللهَ واصْبِرِي، فإنِّي نِعْمَ السَّلَفُ أنا لَكِ قالَتْ: فَبَكَيْتُ بُكائِي الذي رَأَيْتِ، فَلَمّا رَأى جَزَعِي سارَّنِي الثّانِيَةَ، قالَ: يا فاطِمَةُ، ألا تَرْضَيْنَ أنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِساءِ المُؤْمِنِينَ، أوْ سَيِّدَةَ نِساءِ هذِه الأُمَّةِ

-আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিবিগণ সকলেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ছিলাম। আমরা কেউই অনুপস্থিত ছিলাম না। তখন ফাতিমা (রা.) পায়ে হেঁটে আসছিলেন। আল্লাহর কসম, তাঁর হাঁটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাঁটার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাঁকে দেখলেন তখন স্বাগত জানিয়ে বললেন, মারহাবা এবং তাঁকে ডান পাশে অথবা বাম পাশে বসালেন। অতঃপর তাঁকে চুপিচুপি কিছু বললেন। তখন ফাতিমা খুব বেশি ক্রন্দন করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ফাতিমার এমন চিন্তিত অবস্থা দেখলেন তখন দ্বিতীয়বার চুপিচুপি কিছু বললেন। তখন ফাতিমা (রা.) হেসে উঠলেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীদের মধ্যে আমি (আয়িশা) ফাতিমাকে বললাম, আমরা উপস্থিত থাকাবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষভাবে তোমার সাথে চুপিচুপি কী কথা বললেন, যার কারণে তুমি কাঁদলে? অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন উঠে গেলেন তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাকে চুপিচুপি কী বলেছেন? ফাতিমা উত্তরে বললেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গোপন কথা প্রকাশ করব না। অতঃপর যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওফাত হয়ে গেল তখন আমি ফাতিমাকে বললাম, তোমার উপর আমার যে হক আছে এর শপথ দিয়ে বলছি, তুমি কি আমাকে সেই খবরটি দিবে না? ফাতিমা বললেন, হ্যাঁ, এখন বলা যাবে। সুতরাং তিনি আমাকে তা জানাতে গিয়ে বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথমে যখন আমার সাথে গোপনে কথা বলেন তখন বলেছিলেন জিবরাঈল প্রতি বছর আমার কাছে একবার কুরআন পেশ করতেন কিন্তু এ বছর দুবার কুরআন পেশ করেছেন (রামাদান মাসে)। আমি এ থেকে মনে করি যে আমার ইন্তিকালের সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে। তুমি আল্লাহকে ভয় করবে এবং সবর করবে। নিশ্চয় আমি তোমার জন্য সর্বোত্তম অগ্রগামী। তখন (এটি শুনে) আমি ক্রন্দন করলাম, যা আপনি দেখেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন আমার পেরেশানী দেখলেন তখন দ্বিতীয়বার আমার সাথে চুপিচুপি কথা বললেন। তিনি বললেন, হে ফাতিমা! তুমি কী এতে সন্তুষ্ট নও যে তুমি মুমিনা মহিলাদের সরদার হবে অথবা বলেছেন, এই উম্মতের মহিলাদের সরদার হবে [তখন আমি হাসলাম]। (বুখারী, মুসলিম)

হাদীস নং ৩

হযরত হুযাইফাহ (রা.) হতে বর্ণিত দীর্ঘ এক হাদীসে আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেছেন,

إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلِ الأَرْضَ قَطُّ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَىَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ‏.‏

-একজন ফিরিশতা, যিনি আজকের এ রাতের আগে কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি, তিনি আমাকে সালাম করার জন্য এবং আমার নিকট এ সুখবর বয়ে আনার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে অনুমতি চেয়েছেন যে, ফাতিমা জান্নাতীবাসী মহিলাদের সরদার এবং হাসান ও হুসাইন জান্নাতী যুবকদের সরদার। (তিরমিযী, বাবু মানাকিবিল হাসানি ওয়াল হুসাইনি)

হাদীস নং ৪

عن عائشة (رض) دَعا النبيُّ ﷺ فاطِمَةَ ابْنَتَهُ في شَكْواهُ الذي قُبِضَ فيه فَسارَّها بشيءٍ فَبَكَتْ، ثُمَّ دَعاها فَسارَّها فَضَحِكَتْ، قالَتْ: فَسَأَلْتُها عن ذلكَ، فَقالَتْ: سارَّنِي النبيُّ ﷺ فأخْبَرَنِي أنَّه يُقْبَضُ في وجَعِهِ الذي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَبَكَيْتُ ثُمَّ سارَّنِي فأخْبَرَنِي أنِّي أوَّلُ أهْلِ بَيْتِهِ أتْبَعُهُ فَضَحِكْتُ

-আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফাতিমা (রা.) কে ডাকলেন সে রোগের সময় যে রোগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তিকাল করেছেন। ফাতিমাকে চুপিচুপি কিছু বললেন তখন ফাতিমা কেঁদে উঠলেন। অতঃপর আবার ডেকে চুপিচুপি কিছু বললেন, তখন ফাতিমা হাসতে লাগলেন। আয়িশা (রা.) বলেন, আমি ফাতিমাকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। ফাতিমা উত্তরে বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, এ অসুখে তিনি ইন্তিকাল করবেন তখন আমি কাঁদলাম। অতঃপর চুপিচুপি বললেন, তার আহলুল বাইতের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম তাঁর সাথে মিলিত হবো তখন আমি হাসলাম। (বুখারী, বাবু মানাকিবি কারাবাতি রাসূলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া মানাকিবাতি ফাতিমাতা রা.)

হাদীস নং ৫

হযরত মিসওয়ার ইবন মাখরামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

فاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي، فمَن أغْضَبَها أغْضَبَنِي

-ফাতিমা আমার গোশতের টুকরা। যে ফাতিমাকে রাগান্বিত করল সে আমাকে রাগান্বিত করল। (বুখারী, বাবু মানাকিবি কারাবাতি রাসূলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া মানাকিবাতি ফাতিমাতা রা.)

হাদীস নং ৬

عن المسور بن مخرمة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال …إِنَّمَا ابْنَتِى بَضْعَةٌ مِنِّى يَرِيبُنِى مَا رَابَهَا وَيُؤْذِينِى مَا آذَاهَا

-মিসওয়ার বিন মাখরামা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, … আমার মেয়ে (ফাতিমা) আমার গোশতের অংশ যা তার কাছে অপছন্দনীয় তা আমার কাছেও অপছন্দনীয় আর যা তাকে কষ্ট দেয় তা আমাকেও কষ্ট দেয়। (মুসলিম, বাবু ফাদাইলি ফাতিমা বিনতিন নাবিয়্যি আলাইহাস সালাম)

হাদীস নং ৭

হযরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كان رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليهِ وسلَّمَ يَخطبُنا إذ جاء الحسنُ والحُسَينُ عليهما قميصانِ أحْمرانِ يمشيان ويعثُرانِ فنزل رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليهِ وسلَّمَ من المنبرِ فحملَهما ووضعهما بين يدَيه ثم قال صدق اللهُ إنما أموالُكم وأولادُكم فتنةٌ نظرتُ إلى هذينِ الصَّبِيَّينِ يمشيانِ ويَعثُرانِ فلم أصبِرْ حتى قطعتُ حديثي ورفعتُهما

-একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে খুতবা দিচ্ছিলেন এমন সময় হাসান এবং হুসাইন (রা.) আসলেন। তাঁদের গায়ে লাল জামা ছিল। তাঁরা হাঁটছিলেন, পড়েও যাচ্ছিলেন (শৈশবের দুর্বলতার কারণে)। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন এবং দুজনকে উঠিয়ে এনে সম্মুখে রাখলেন। তারপর বললেন, আল্লাহ পাক সত্য বলেছেন, إنما أموالُكم وأولادُكم فتنةٌ -নিশ্চয়ই তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি (তোমাদের জন্য) পরীক্ষা। আমি এ দুজন শিশুর দিকে তাকালাম, তারা হাঁটছিল ও পড়ে যাচ্ছিল। অতঃপর আমি ধৈর্য রাখতে পারলাম না, আমার কথা বন্ধ করে তাদের দুজনকে উঠিয়ে আনলাম। (তিরমিযী, বাবু মানাকিবিল হাসানি ওয়াল হুসাইনি)

হাদীস নং ৮

আব্দুর রহমান বিন আবি নু’ম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بنَ عُمَرَ، وسَأَلَهُ عَنِ المُحْرِمِ قالَ شُعْبَةُ: أحْسِبُهُ يَقْتُلُ الذُّبابَ فَقالَ: أهْلُ العِراقِ يَسْأَلُونَ عَنِ الذُّبابِ وقدْ قَتَلُوا ابْنَ ابْنَةِ رَسولِ اللهِ ﷺ، وقالَ النَّبيُّ ﷺ: هُما رَيْحانَتايَ مِنَ الدُّنْيا

-একদা আব্দুল্লাহ বিন উমরকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল এমন ইহরামকারী সম্বন্ধে, শুবা বলেন, আমার ধারণা সে ইহরামকারীর মাছি মারা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিল। তখন আব্দুল্লাহ বিন উমর বললেন, ইরাকবাসী আমাকে মাছি মারা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে আর তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কন্যা ফাতিমা (রা.) এর পুত্রকে হত্যা করেছে। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তারা দুজন (হাসান ও হুসাইন) দুনিয়ায় আমার দুটি ফুল। [বুখারী, বাবু মানাকিবিল হাসানি ওয়াল হুসাইনি (রা.)]

ফেইসবুকে আমরা...