Logo
বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ ও সুদ প্রসঙ্গে
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে অনিচ্ছায় প্রাপ্ত সুদ কিভাবে ব্যবহার করবো? এর দ্বারা অন্য ব্যাংক থেকে আনীত ঋণের সুদ আদায় করা যাবে কি?

এম এ ইসলাম আমান
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার

 

জবাব: সুদ সর্বাবস্থায় হারাম। সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল লোকের উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন। সুদ গ্রহীতা, সুদ দাতা, সুদের চুক্তি লিখক ও সাক্ষীগণ সকলকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন। তাই সাধ্যমতো সুদ থেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা সকল মুমিনের একান্ত কর্তব্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনিচ্ছায় সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খোলা অপরিহার্য হওয়ার কারণে বছর শেষে একাউন্টে সুদ চলে আসে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই টাকা সুদদাতাকে ফেরত দিতে হবে (ফাতওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১০/১২৪)। কিন্তু ব্যাংকের ক্ষেত্রে যেহেতু নির্দিষ্ট সুদদাতা বের করা অসম্ভব, তাই সাওয়াবের নিয়ত না করে যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত কোনো মিসকিনকে তা দান করে দিতে হবে। (আহসানুল ফাতওয়া, ৭/১৬; ফাতওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ১০/১২৬)

উক্ত সুদের টাকা দ্বারা অন্য ব্যাংক থেকে আনীত ঋণের সুদ আদায় করা জায়িয হবে না।

 

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...