1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
পরিবারে নারীর ভূমিকা
সৈয়দা রাজিয়া সুলতানা
  • ৮ মার্চ, ২০২১

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বে কোনো কিছুই উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করেননি। সমস্ত সৃষ্টির মূলে রয়েছে অগণিত সৌন্দর্য। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলা বিশ্বে যা কিছু দিয়েছেন তার প্রতিটির প্রয়োজন এবং উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে সুন্দর পরিকল্পনা ও শাশ্বত চিরসুন্দর সম্পর্ক।
এই বিশাল আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজ্য, গাছ-পালা, নদ-নদী, পশু, পাখি সবকিছুই তৈরি করেছেন তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের জন্য। আর মানুষ সৃষ্টি করেছেন নিজের ইবাদতের জন্য। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে- “পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছি সবই মানুষের প্রয়োজনে। আর মানুষ সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করবে এবং সৎপথে থেকে সঠিকভাবে দুনিয়াদারিও করবে।”
আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.) কে পৃথিবীতে পাঠিয়ে ক্ষান্ত হননি সঙ্গী করে সঙ্গদানকারী মা হাওয়াকে পাঠিয়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর গভীর প্রেমময় দায়িত্বশীল মহৎ সম্পর্ক। তৈরি হয়েছে আরো অনেক সম্পর্ক যেমন মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন ইত্যাদি।

একজন মহিলা সংসারে বিভিন্ন রূপে নিজেকে পরিচালিত করেন এবং অপরিহার্যভাবে তা করতে হয়। যেমন একটি সংসারে একজন মহিলা একই সঙ্গে স্ত্রী, মা, বোন, ভাবী, মামী, চাচী, দাদী ইত্যাদি সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত। আর সম্পর্কগুলোকে পরিকল্পিতভাবে দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা করে টিকিয়ে রাখার গুরুভারও ঐ ঘরের মহিলাটির উপর।

দুদিনের এই দুনিয়াতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক চন্দ্র সূর্যের তুলনায় অনেক বেশি জটিল এবং গভীর প্রেমময় মধুরও। এই মধুর সম্পর্ককে আরো সুন্দর সুখময় করে তোলার জন্য ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়কেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এবং দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে হৃদয়গত ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করলে ঘরের মধ্যে একজন মহিলার দায়িত্বই বেশি। ইসলাম ধর্মে নারীর অধিকারকে যেমন প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে- নারীর দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতন করা হয়েছে বার বার। তবে দাম্পত্য জীবন বা ঘরই হচ্ছে সামাজিক জীবন সম্প্রসারণের শেকড়। এই ঘরকে সুন্দর স্বাভাবিক ও সমৃদ্ধশালী করতে হলে দরকার পরস্পর সহনশীলতার মনোভাবে উজ্জীবিত হওয়া এবং একে অপরকে সমঝোতার মধ্যে আপন ও অপরিহার্য বিবেচনা করা। একজন মহিলা তার শালীন আচার-আচরণ দায়িত্ব কর্তব্যে নিষ্ঠাবান হয়ে ঘরকে গড়ে তুলতে পারেন স্বর্গরাজ্য রূপে।

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের জীবন এমন একটি বন্ধনে আবদ্ধ যে, এই বন্ধনে আবদ্ধ থেকে জীবন কাটাতে হয়। তাই প্রথম থেকে একে অপরকে ভালোভাবে বুঝে ও চিনে নিতে হবে; বিশেষত মহিলাদের জন্য অত্যাবশ্যক যে, সে সর্বদা আপন স্বামীর মন-মর্জি অবস্থা বুঝে চলবে নতুবা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরাধী হতে হবে, ঘর সংসারে অশান্তি দেখা দেবে। আর তাই প্রত্যেক মহিলা বা স্ত্রীলোকের উচিৎ সংসার জীবনের সূচনালগ্ন থেকেই খুব সাবধানে চলাফেরা করে স্বামীর মনোভাব সম্পর্কে জেনে নেওয়া। যদি স্বামীর আচার-আচরণ ইসলামসম্মত হয় তার মর্জি অনুযায়ী চলে হৃদয় জয় করা যায় তবে পরকালে যেমন শান্তি পাওয়া যাবে তেমনি ঘরেও শান্তি বজায় থাকবে।
প্রত্যেক মহিলার উচিত এবং দায়িত্ব তার গৃহের প্রত্যেকটি বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং ঘরের কর্তার বিনা হুকুমে কোনো কিছু নষ্ট করবে না বা অপচয় করবে না। সকল জিনিসপত্র নিজের চেষ্টায় পরিশ্রমে সংরক্ষণ করে রাখবে।

সন্তানদের প্রতি মায়ের দায়িত্ব
প্রত্যেক বাবা-মার কাছে সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে সন্তান। এই সন্তানের মধ্যেই মানুষ যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকে। তবে এখানে কথা আছে- সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সন্তান এর আরেক নাম নন্দন। নন্দন শব্দের অর্থ হচ্ছে- নয়নে আনন্দ দান করে যা। সন্তানকে বাবা-মা আদর করে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য নয়। একটু লক্ষ্য করলেই বুঝা যাবে- ছোট শিশুটিকে কোলে তুলে নিলে কতো যে ভালো লাগে। এই চেতন অবচেতন মনের ভালো লাগাটুকুই সন্তানের জন্য বাবা মায়ের নন্দিত আনন্দ। আর এই সন্তানকে যদি লেখাপড়া শেখানোর পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক সব দিকগুলো যেমন আদব-কায়দা, সহনশীলতা, মিতব্যয়ীতা, সদাচরণ ইত্যাদি বিভিন্ন শালীন ও পরিশীলীত দিকগুলি তার মধ্যে পরিবেষ্টিত করে গড়ে তুলে পরিবেশ ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তবেই মা-বাবা নিজেকে পরিতৃপ্ত ভাবতে পারেন এবং তা-ই সার্বিক দিক থেকে মঙ্গলজনক হবে। তবে একটি শিশুকে ক্রমান্বয়ে বড় করে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মায়ের যেমন দায়িত্ব আছে পাশাপাশি বাবাকেও সময় অনুযায়ী সন্তানের প্রতি যথার্থ খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে মা-বাবা উভয়ের মিলিত স্নেহ ও যত্নে একটি শিশু বড় হয়ে সুসন্তান হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

জাতির জন্য দেশের জন্য নারীর সবচেয়ে বড় অবদান সবচেয়ে বড় দান হচ্ছে এই সুসন্তান। পৃথিবীর সকল সমাজ সংস্কারক বৈজ্ঞানিক কবি লেখক চিন্তাবিদদের এই মহিলারাই প্রতিপালন করেছেন। শুধু প্রতিপালন করেছেন তাই নয় সন্তানের জীবন গঠন, জীবনের দিক নির্দেশনাতেও তারা অমূল্য অবদান রেখেছে। ভবিষ্যতেও তারাই অর্থাৎ এই মহিলারাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেশ গড়ার মানুষদের মানুষ করার দায়িত্ব পালন করবে।

সর্বোপরি বলা চলে একজন পরিপূর্ণ সুখী দম্পতি ও দায়িত্বশীল মা-বাবাই পারেন সমাজকে, দেশকে একজন সুসন্তান উপহার দিতে। সংসারে প্রত্যেক মহিলার উচিত পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের প্রতি ভালো ব্যবহার করা, দায়িত্বের সঙ্গে চলা, ভক্তি-শ্রদ্ধা,স্নেহ-ভালোবাসা, মায়া-মমতা দিয়ে সকলের হৃদয়কে জয় করে নেয়া। যে মহিলা স্বামী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন সকলকে নিজের করে নিতে পারেন, সংসারের জিনিসপত্র হিফাযত করে রাখতে পেরে নিজের ঘরটাকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আনন্দময় করে তুলতে পারেন। তিনিই হবেন নারী জীবনের সার্থক উদাহরণ।

সকল মা-বোনদের উদ্দেশ্যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “যে স্ত্রীলোক পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে, রামাদান মাসে রোযা রাখবে, পর্দা নীতি পালন করে চলবে এবং রীতিমতো সন্তান পালন, মুরব্বীভক্ত ও গৃহস্থালির রক্ষণাবেক্ষণ করে স্বামীর সঠিক খিদমত করবে, বেহেশতের যে দরজা দিয়ে সে ইচ্ছা করবে, সে দরজা দিয়ে তাকে বেহেশতে প্রবেশ করার অধিকার দান করা হবে।”

উপরের কথাগুলো বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হুকুম মেনে চললে একজন নারী বা মহিলা ঘরকে যেমন সুন্দর করে রাখতে পারেন নিজের পরকালের পথও তেমনি সুন্দর প্রশস্ত ও শান্তিময় করতে পারেন। সত্যিকারভাবে অতীত ইতিহাস বলে নারী ও পুরুষের শ্রমে এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, সহমর্মিতা সমঝোতার মাধ্যমেই মানব সমাজের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

মানব ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে। ইসলাম ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্ম বা সমাজে নারীর উপযুক্ত মর্যাদা স্বীকৃত হয়নি। আদি ইতিহাস থেকে দেখা যায় ক্রমান্বয় সভ্যতা নারীকে কিছুই নিতে পারেনি। অথচ তার অমূল্য সম্পদ, শ্রম সাধনা সবকিছু হরণ করে শোষণ করে নিয়েছে নিমর্মভাবে। নারী জাতিকে এহেন শোচনীয় অমর্যাদা-এর গহীন গহ্বর থেকে তুলে এনেছে ইসলাম। ইসলামই যুগ যুগ সঞ্চিত অপমান লাঞ্চনা হীনতার পূঞ্জীভূত স্তুপ থেকে পূর্ণ মুক্তি দান করেছে মহিলাদের।

একজন নারী জাতীয় জীবনেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘর সংসার এবং জাতীয় জীবনে তাদের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তেমনি তাদের কর্তব্য ও অধিকারও রয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে নারীদেরও তেমনি অধিকার রয়েছে। বুদ্ধি, প্রতিভা শক্তি প্রভৃতি সব ক্ষেত্রেই যেকোনো একজন মহিলা পুরুষের পাশাপাশি আপন সংসার, স্বামী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন তথা দেশের কাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে বিশেষভাবে সক্ষম। সুতরাং পরিবারের একজন স্ত্রী বা মহিলা সংসার তথা দেশের সার্বিক কল্যাণে অবশ্যই বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

নারীর ঘর-সংসার
সভ্যতার সূচনা হয়েছে সুন্দরের হাত ধরে। এই সুন্দরের প্রকাশ একজন মানুষের জীবনের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিস্তৃতভাবে। ‘ঘর’ হচ্ছে মানুষের বিশাল জীবন ব্যবস্থার প্রথম ধাপ। এই ঘরকে মনের ঔদার্য দিয়ে চোখের দীপ্তি দিয়ে এবং আল্লাহ তাআলার হুকুম মেনে যে যতোখানি সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পেরেছে। সেই হয়েছে সফল গৃহিণী, নন্দিত গৃহবধূ।

একজন গৃহিনীই পারেন ঘরের জিনিসপত্র যত্ন করে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে। ঘরের প্রতিটি জিনিসপত্র ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখে রুচিসম্মতভাবে ঘরকে সাজানো গোছানো একজন গৃহকর্ত্রী বা মহিলার বিশেষ দায়িত্ব। এ দায়িত্ব যে যতো বেশি নিপুন হাতে পালন করতে পেরেছেন সেই হয়েছেন ততো বেশি পরিশিলিত পরিপূর্ণ গৃহকর্ত্রী।

এরপর ঘরে যে জিনিসটি বিশেষভাবে একজন মহিলাকে করতে হবে সেটি হচ্ছে রান্না-বান্না। খাবার হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে প্রথম একটি। মানব সভ্যতার অভ্যুদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই খাবারের প্রয়োজন রান্না-বান্নার ব্যবস্থা প্রচলিত হয়েছে। সময়ের সিড়ি বেয়ে সভ্যতা এগিয়েছে। ক্রমে রান্নায় এসেছে বৈচিত্র্য।

বিভিন্ন সময় নতুন নতুন জীবন ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রকমারি রান্না-বান্না হচ্ছে একটি বিশেষ রুচিসম্মত জীবনপ্রণালি। ‘রন্ধন’ সভ্যতার একটি অঙ্গ এবং কলা বিদ্যার অন্তর্গত। কাজেই রান্নায় সিদ্ধহস্ত নিঃসন্দেহে সম্মান ও গৌরেবর কাজ। প্রত্যেক জাতির প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশের একটি বিশিষ্ট স্থান থাকে। মহিলাদের বিশেষ স্থানগুলোর মধ্যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে ‘রান্নাঘর’ ‘রান্না-বান্না’।

অনেকেই আছেন নিজের হাতে রান্না করে মানুষকে খাওয়াতে পছন্দ করেন। আর প্রিয়জনকে মনের মতো রকমারি রান্না করে সামনে বসে খাওয়াতে যে কোনো একজন নারী বিশেষ করে বাঙালি মহিলা বধূরা খুবই পছন্দ করেন। সত্যি বলতে একজন নারী বা মহিলা স্বহস্তে স্বযত্নে প্রস্তুত করা খাদ্য স্নেহ সহাস্যে পরিবেশন করতে গিয়ে তাদের অন্তরের মাধুর্য সেখানে অকৃপণ হস্তে অনেক খানিই ঢেলে দেন। তবে রান্না করার আগে কিছু নিয়ম যা জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রাখা দরকার। যেমন-

১. সহজলভ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য কোনটি লক্ষ্ রাখা: আমাদের উন্নয়নশীল দেশে স্বল্প আয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে কমদামি খাদ্য থেকে পুষ্টি গ্রহণের পরামর্শ দিতে হবে আর তা লক্ষ্য রেখে গৃহিণীকে রান্নার আয়োজন করতে হবে। অনেকে দামি খাবারকে পুষ্টিকর খাবার ভেবে থাকেন কিন্তু তা ভুল। যথা- চিকন চাল বা পাউরুটির চেয়ে মোটা চাল বা আটার রুটি দামে সস্তা কিন্তু খাদ্যমান দেহে একই রকম কাজ করে। তেমনি ছোট মাছ বিভিন্ন রকম ডাল, সীমের বিচি, বাদাম, শাকসবজি ইত্যাদি সস্তা ও সহজলভ্য। এগুলো সবই স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। কাজেই গৃহিণীকে এসব লক্ষ্য রেখে রান্না করতে হবে।

২. সুষ্ঠু রন্ধন পদ্ধতি সম্বন্ধে জ্ঞান: খাদ্য উপাদান অবিকৃত রেখে যথাযথ পুষ্টি লাভ করতে হলে রান্নার সঠিক পদ্ধতি সম্বন্ধে গৃহিণীকে জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। সব সময় শাকসবজি ধুয়ে কাটতে হবে। রান্নায় কম পানি ব্যবহার করে ঢেকে রান্না করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল মশলা ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত তৈল ও মশলা থেকে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

৩. সর্বোপরি সুষম খাদ্যের দিকে লক্ষ্ রেখে চলতে হবে: যে খাদ্য তালিকায় পরিমিত পরিমাণে সকল খাদ্য উপাদান উপস্থিত থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। কে কতটুকু কোন খাদ্য উপাদান গ্রহণ করবে তা নির্ভর করবে বয়স ও কাজের উপর। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন এমন খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যার মাঝে সুষম খাদ্যের ৬টি উপাদান বিদ্যমান থাকবে। মোটামুটি শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন খনিজ লবণ ও পানি এ কয়টি উপাদান সম্বলিত খাবার নিয়মিত খেতে হবে।

এমনভাবে বিভিন্ন দিক লক্ষ্য রেখে রান্না করতে হবে এবং তা একমাত্র সচেতন গৃহিণীর দ্বারাই সম্ভব। তবে সামর্থ অনুযায়ী ভালো খাবার যেমন ডিম, গোশত, মিষ্টি, মৌসুমের ফল-ফলাদি ইত্যাদি কিনে প্রয়োজনমতো খাওয়া উচিত।

তৃপ্তির সঙ্গে প্রীতি লাভের ফলে জীবন যাত্রার পথ অনেকখানি সুগম হতে পারে, কোমল ও মধুর হয়ে উঠতে পারে পরিবারের সকল দিক। কাজেই রান্না বান্না একজন নারীর জীবনের বিশেষ দিক। নারী পুরুষের মানসিক সম্মেলনে ঘর হয় সুন্দর সমৃদ্ধ। আমার মনে হয়, প্রত্যেক পুরুষ নারীকে দেখতে চান স্নিগ্ধ মূর্তি কোমলমতি রূপে, যার সুব্যবহার সিদ্ধহস্তের ছোঁয়ায় প্রতিটি গৃহের ভাণ্ডার হবে আশীর্বাদের ভাণ্ডার।

ফেইসবুকে আমরা...