Logo
প্রভিডেন্ড ফান্ড সুদ কিনা
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৪ মে, ২০২১

চাকরিজীবীদের জন্য জেনারেল প্রভিডেন্ড ফান্ডে প্রতি মাসের মূল বেতনের কিছু অংশ বাধ্যতামূলক কর্তন করে এবং চাকরি পরবর্তী জীবনে বছরে ১৩% হারে লভ্যাংশসহ প্রদান করে থাকে। এটা গ্রহণ হালাল কিনা? জানতে চাই।

প্রশ্নকারী: মো. মিনহাজ উদ্দিন
সহকারী শিক্ষক, বাউরভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 
কানাইঘাট, সিলেট

জবাব: প্রভিডেন্ট ফান্ডের নিয়ম দুধরনের হতে পারে। যথা-

(ক) বেতনের নির্দিষ্ট অংশ বাধ্যতামূলক কর্তন; অর্থাৎ উক্ত ফান্ডে বেতন থেকে কেটে রাখা যদি বাধ্যতামূলক সরকারী নীতিমালার আওতাধীন বিধায় কোনো চাকরিজীবি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। যা পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ডরূপে দেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে উক্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। কেননা বেতনের কর্তনকৃত ঐ অংশ ইচ্ছা করলেও উক্ত চাকরিজীবি এখন শোধ করতে পারবে না। আর হস্তগত হওয়ার পূর্বে কেউ কোনো বেতন ভাতার মালিক হতে পারে না। যখন সে উক্ত টাকার মালিকই হয়নি, তখন কীভাবে এ টাকাকে সুদে লাগাবে। তাই বাধ্যতামূলক কর্তনকৃত টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সুদ বলা যাবে না। বরং এক্ষেত্রে এটাই অনুমান করা হবে যে, বেতন-ভাতার অপরিশোধিত সেই টাকাগুলোই এখন তার হস্তগত হচ্ছে। এখানে সবগুলোকেই তার বেতনরূপে গণ্য করা হবে।

(খ) কেটে রাখা বেতনের অংশ রাখার নিয়ম যদি ইচ্ছাধীন নীতিমালার আওতাধীন থাকে। যা ইচ্ছা করলে এড়িয়ে চলা যায়। তাহলে যতটুকু টাকা ইনকাম ট্যাক্সরূপে কেটে রাখা হয়েছে, পরবর্তীতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ততটুকু টাকাই তার জন্য গ্রহণ করা জায়িয হবে। অতিরিক্ত টাকাকে এক্ষেত্রে সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে। কেননা সে ইচ্ছা করলে কর্তনকৃত ঐ টাকাগুলোকে পূর্বেই নিজ হাতে নিয়ে আসতে পারত। যখন সে ইচ্ছা করে আনেনি। তাই বুঝা গেল যে, সে ইচ্ছা করে সুদে লাগিয়েছে। (জাদীদ ফিকহী মাসাইল: ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৬)

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...