Logo
নামাযে স্মার্ট ফোন কিংবা কুরআন শরীফের কপি দেখে পড়লে বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী তার নামায বিনষ্ট হয়ে যাবে
Reporter Name
  • ২ জুলাই, ২০২১

প্রশ্ন: নামাযের মধ্যে স্মার্ট ফোনে অথবা সরাসরি কুরআন শরীফের কপি দেখে পড়ার বিধান কি? এতে নামায শুদ্ধ হবে কি?

মুদ্দাচ্ছির আল আমীন
দক্ষিণ সুরমা, সিলেট

জবাব দিচ্ছেন-
মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, আমেরিকা।

জবাব: নামাযে স্মার্ট ফোন কিংবা কুরআন শরীফের কপি দেখে পড়লে বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী তার নামায বিনষ্ট হয়ে যাবে। ইমাম আবূ দাউদ তাঁর আল মাসাহিফে বর্ণনা করেন, হযরত উমর (রা.) ইমামগণকে নামাযে কুরআন দেখে পড়তে নিষেধ করতেন। সালফে সালেহীনের অনেকেই নামাযে কুরআন দেখে পড়াকে নিষেধ করতেন। (হাদীস নং ১৮৯, ১৯০, ১৯১)
এ সম্পর্কে আল মুহিতুল বুরহানী গ্রন্থে লিখেছেন, وإذا قرأ المصلي من المصحف فسدت صلاته، وهذا قول أبي حنيفة -নামাযী ব্যক্তি কুরআন শরীফ দেখে কিরাত পড়লে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। ইহা ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর অভিমত।
(আল মাবসূত, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ২০১; আল মুহীতুল বুরহানী, ১ন খ-, পৃষ্ঠা ৩৯১; আল ইখতিয়ার লি তা’লীলিল মুখতার, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৬২; আল বাহরুর রাইক, ২য় খ-, পৃষ্ঠা ১১; আল আসলু লিশ শায়বানী, মুকাদ্দামাহ, পৃষ্ঠা ২৬৪)

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...