হিজরী ৫ম শতকে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা উন্নত শিখরে পৌঁছেছিল। ইসলামের বিশ^ময় বিকাশের যুগে ইমাম গাযযালী আভির্ভূত হন। তখন ইহুদী, খ্রিষ্টান ও নাস্তিকসহ ইসলাম বিদ্বেষী পণ্ডিত ও দার্শনিকগণ তাহাদ্দিয়াতে ইলমীতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছুড়তে থাকে। এমনকি মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরে বিভিন্ন গোমরাহ ফিরকার জন্ম হয়। যিনি এসব ফিতনার হাত থেকে দ্বীন ইসলামকে রক্ষা করেন তিনি হলেন ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল গাযযালী। এ কারণেই তাঁকে ইসলামের প্রামাণ্য দলীল বা হুজ্জাতুল ইসলাম বলা হয়। তিনি ‘ইসলামের প্রতিরক্ষা দেয়াল’ অভিধায় পরিচিত।
তাঁর নাম আবু হামিদ মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল গাযযালী। হিজরী ৪৫০ মোতাবেক ১০৫৮ খ্রি. পারস্য বা বর্তমান ইরানের তূস নগরের এক ব্যবসায়ী পরিবারে তাঁর জন্ম হয়।
তূস নগরে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। অল্পদিনের মধ্যেই পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে নেন। মক্তবের শিক্ষা শেষে তিনি মহামনীষী উস্তাদ আবু হামিদ আসফারায়েনী ও উস্তাদ আবু মুহাম্মদ যুবেনীর নিকট আরবী ও অন্যান্য বিষয় অধ্যয়ন করেন। উস্তাদ ফকীহ আহমদ বিন মুহাম্মদ রাযকানীর নিকট ফিকহ শাস্ত্রের জ্ঞান লাভ করেন। খোরাসান রাজ্যের নিশাপুরে প্রতিষ্ঠিত প্রথম আরবী বিশ^বিদ্যালয় তথা নিজামিয়া মাদরাসার ‘ইমামুল হারামাইন’ খ্যাত আল্লামা আবুল মাআলী আল জুআয়নীর নিকট উচ্চতর শিক্ষালাভ করেন। মাত্র বিশ বছর বয়সে তিনি আকাইদ ও ফিকহের সূক্ষ্ম বিষয়াদি সম্পর্কে গবেষণা করতে শুরু করেন। উস্তাদের ওফাতের পর নিশাপুর ত্যাগ করে তিনি সেলজুক ওয়াদীর নিজামুল মুলকের দরবারে আইনজ্ঞ আলিম বা মুফতী হিসেবে অমাত্য পদ গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি বাগদাদের নিজামিয়া মাদরাসায় অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। এই সময় তিনি ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনশাস্ত্রে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেন এবং পুস্তক প্রণয়নে ব্যস্ত থাকতেন। তখন তালিমী সম্প্রদায় নামে একটি ভণ্ড ও পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের উদ্ভব হলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি পুস্তক রচনা করেন।
হিজরী ৪৮৮ সালের জিলকদ মাসে তিনি পার্থিব উচ্চাকাঙ্ক্ষা, পদমর্যাদা পরিত্যাগ করে বাগদাদ হতে বেরিয়ে পড়েন। দরবেশের জীবন গ্রহণ করে প্রয়োগবাদীর ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হন। প্রচার করতে লাগলেন যে, বুদ্ধিবৃত্তির উপর পূর্ণ আস্থা স্থাপন বিভ্রান্তির কারণ। জ্ঞানের মধ্যে কেবল দর্শনাশ্রয়ী কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, চিন্তাশ্রয়ী অস্তিত্ত্ববিদগণের পদ্ধতির মাঝেও কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক নিশ্চয়তা নেই। কবি ও তাদের মতবাদের সত্যতাও নিশ্চিত নয়। কোন দার্শনিক মতবাদ গগনপ্রসারী যুক্তির সাহায্যে প্রমাণ করা যায় না। আল্লাহ পাক যে প্রত্যক্ষ জ্ঞান দ্বারা মুমিনদের অন্তরকে প্লাবিত করেন কেবল সেই জ্ঞান দ্বারাই প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করা যায়। এ ধরনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সূফীগণের নিকট অবতীর্ণ ওহীর দ্বারা সত্যতা প্রতিষ্ঠা ও প্রকৃত আকাঈদতত্ত্ব নির্ধারণ করা যায়।
ইমাম গাযযালীর চিন্তাধারা তাঁর দার্শনিক অনুসন্ধান ও অধ্যয়নের ফলে তাসাউফের উচ্চমার্গে অবস্থান লাভ করেন। তাঁর সাহায্যে গ্রিক যুক্তিতর্কের সংশোধিত ও পরিমার্জিত নীতি-পদ্ধতি মুসলিম চিন্তা জগতে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ইসলামী আকাইদ সঠিক অবস্থানে উপনীত হয়। গ্রিক যুক্তিপ্রণালি ব্যবহার করে তিনি ’স্বকীয় মৌলিকতা’ নামে একটি প্রয়োগিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন। ইমাম গাযযলী মূলত ছিলেন জ্ঞান সংস্কারক। ইসলামে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে, তিনি এরিস্টটল প্লেটোসহ গ্রিকদর্শনের সাথে সূর মেলানো মুসলিম দার্শনিকদের দর্শনের অসংগতি তুলে ধরে ভ্রান্ত মতবাদ থেকে ইসলামকে হেফাজত করেন। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল স্রষ্টার অস্তিত্ব, ক্ষমতার পরিধি, সৃষ্টির রহস্য, পৃথিবী ও মহাজাগতিক বিষয়াবলির আলোচনা, যা মুসলিম সমাজের বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করে। তিনি সেগুলোকে যুক্তিতর্ক, বোধ ও তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিহত করে সঠিক ধারণা প্রতিস্থাপন করেন। যা সাধারণ প-িতদের পক্ষে ছিল অসম্ভব। একইভাবে তাসাউফ, ইসলামী আকিদা, রাষ্ট্রচিন্তা ও আখলাকী বিষয়ে কিছু মৌলিক ও নীতি নির্ধারণী জ্ঞান রেখে যান। যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হিদায়াতের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। দ্বীনের খিদমতে নিজের অস্তিত্বকে উজাড় করে লেখনী, বক্তব্য, খানকা, নসীহত, বাহাস-মুনাযারা, সফর, কোনো কিছুই বাদ রাখেননি। ইমাম গাযযালী (র.) ফিকহের গঠন যুগের একজন শীর্ষস্থানীয় আলিম ছিলেন। তিনি ফিকহশাস্ত্রকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম শাফিঈ (র.)-এর অনুসরণে তিনি এই কাজে অগ্রসর হন। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন দ্বীনের সমূহ বিষয় যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী ও একজন মুজতাহিদ। উসূলে ফিকহ ও আকাইদের ক্ষেত্রে ইমাম শাফিঈর সঙ্গে তার অধিকাংশ মিল ছিল। তিনি প্রকাশ্যে প্রচার করেন যে, যারা ইসলামের মূল নীতিমালা স্বীকার করে চলে, তারাই মুমিন বা বিশ্বাসী। তাঁর মতে ধর্মীয় নিশ্চয়তার আদি ভিত্তি হলো সন্তোষজনক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। এরূপ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মুমিনই অটল মুমিন। তিনি আরো বলেন, অজ্ঞ জনসাধারণের ধর্ম রক্ষায় রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সচেষ্ট থাকা উচিত। একজন উচ্চ মর্যাদাশীল আলিম ও প্রচারক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করার কারণে তাঁর সংস্কার নীতিগুলো কার্যকরী হয়। তাঁর প্রস্তাবিত নীতিগুলো আলিমগণের ইজমা বা ঐক্যমতে রূপলাভ করেছিল। তিনি কেবল মুজাদ্দিদ নয় বরং সুষ্ঠু ভিত্তির উপর ইসলামের পুনস্থাপক হিসেবেও মর্যাদা লাভ করেন। তিনি গ্রিক প্রভাবে সংক্রমিত ইসলামী দর্শনেরও অসারতা প্রমাণ করেন। তাছাড়া দর্শনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় ব্যাপারে যে সকল রহস্যাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল তাকে পুরোপুরি নস্যাৎ করে দেন। তিনি প্রকাশ করেন যে, দর্শন নিছক একটি চিন্তাধারা মাত্র। যে কোনো সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তা উপলব্ধি করতে পারে। তাঁর মতে দর্শনের মাধ্যমে পরম ও চরম সত্যে পৌঁছানো অসম্ভব। কেবল চিন্তাকে কেন্দ্র করে অধিবিদ্যা (Mataphysics) গড়ে উঠতে পারে না। বরং আধ্যাত্মিক জ্ঞানই চরম সত্য। তাঁর যুক্তিতর্কে অভিভূত পরবর্তী দার্শনিকগণ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলেন যে, গাযযালীর মতো একজন দর্শনজ্ঞানী ব্যক্তি তাসাউফ সাধনায় সূফী হলেন কেমন করে তাঁর এই মতবাদ পরবর্তী আশয়ারী চিন্তাধারা পূর্ণতা লাভ করে। তাঁর ভাবধারা ইউরোপীয় চিন্তাধারায় প্রভাব বিস্তার করেছিল এবং আধুনিক যুগেও সে প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাঁর চিন্তাধারায় ইউরোপের Ramon Martin রচনা করেন Pugio Fedeli. এর দ্বারা Thomas Aquinas এবং পরবর্তীকালে Pascal প্রমুখ প্রভাবিত হন ।
ইমাম গাযযালী তাঁর চিন্তাধারাগুলোর স্থায়িত্ব প্রদান এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে প্রায় চারশত গ্রন্থ রচনা করেন। উল্লেখযোগ্যগুলোর একটি বিবরণ তুলে ধরছি:
প্রথমত: ইসলামী আকীদা ও বিশ্বাসকে রক্ষা ও বিধর্মী বিভ্রান্ত দার্শনিকদের আক্রমণের জবাব এবং ইসলামী দর্শন বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে তিনি রচনা করেন, মাকাসিদুল ফালাসিফা, তাহাফুতুল ফালাসিফা, আল মুনক্বিয মিনাদ্ব-দ্বালাল, নিযামুল আ’লাম। কিতাবগুলো বহুকাল ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হিসেবে সমাদৃত ছিল। আজও দর্শনশাস্ত্রের রেফারেন্স বুক হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত: ইসলামের অভ্যন্তরে বাতিল ফিরকার জবাব এবং আকিদা ও ফিকহী বিধানসমূহের ক্ষেত্রে মতবিরোধ নিরসনে উসূলে ফিকহ বিষয়ে তিনি রচনা করেন, তাহসিনুল মা‘খায, শিফাউল আলীল, মুনতাখাল ফি ইলমিল জাদাল, আল মানখুল, মুখতাছফা মা‘খায ফিল খিলাফিয়াত, মুফাসসালুল খিলাফ ফি উসুলিল কিয়াস ইত্যাদি।
তৃতীয়ত: ইলমুল কালাম বা তর্কশাস্ত্রের উন্নতির ফলে বিরুদ্ধবাদী কর্তৃক ইসলামের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ইবাদত বিষয়ে আরোপিত অভিযোগ ও অনুযোগের জবাব দেওয়ার জন্য তিনি রচনা করেন, ইলযামুল আওয়াম, ইখতিছারুল মুখতাছার লিল মাআনি, আল কিসতাসুল মুসতাকিম, ফাদ্বাইলুল এবাহিয়্যাহ, আল কাওলুল জামিল ফির রদ্দে আলা মান গায়্যারাল ইনজিল, আল মাওয়াহিবুল বাতিনিয়্যাহ, আততাফরিকাহ বাইনাল ইসলামী ওয়া যানদাকাহ, আররিসালাতুল কুদসিয়্যাহ, কিতাবুর রূহ, আল ইকতিছাদ ফিল ই’তিকাদ ইত্যাদি।
চতুর্থত: যুক্তিবিদ্যা বা মানতিক বিষয়ে মী’য়ারুল ইলম, হেমাকুন নযর, মীযানুল আমাল কিতাব রচনা করেন।
পঞ্চমত: দর্শন ও বিভিন্ন ধর্মের আধ্যাত্মিক শিক্ষার প্রভাবে তাসাউফ ও আখলাকী বিষয়ে ফাসাদ ও বিভ্রান্তি নিরসনে তিনি রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত ও সর্বশ্রেষ্ট কিতাব এহইয়াউ উলুমিদ্দীন। এ ছাড়াও রয়েছে কিমিয়ায়ে সাআদাত, আল মাকসাদুল আক্বছা, আখলাকুল আবরার, জাওয়াহিরুল কুরআন, জাওয়াহিরুল কুদস, মিশকাতুল আনওয়ার, মিনহাজুল আবিদীন, মি’রাজুস সালিকীন, নসীহাতুল মুলুক, আয়্যুহাল আওলাদ, বিদায়াতুল হিদায়াহ, লতাইফুল আখবার ইত্যাদি।
বিশেষত, তাঁর এহইয়াউ উলুমিদ্দীন গ্রন্থটি ইলমে দ্বীনের একটি অদ্বিতীয় বাহন। এটি তাঁর যাবতীয় অধিত ও অর্জিত বিদ্যা তথা দর্শন, কালাম, সূফীবাদ, ইলমে শরীয়াহ সব কিছুর নির্যাস, যার প্রথম অংশে ধর্মনিষ্ঠা ও ধর্মীয় যাবতীয় ইবাদাতের সঠিক চিত্র তুলে ধরেছেন এবং দ্বিতীয় অংশে আধ্যাত্মিক ও হৃদয়ঘন যাবতীয় বিষয় সূক্ষভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর প্রর্তি বান্দার কর্তব্য, বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুকম্পা, মানুষের দৈনন্দিন কার্যাবলি, মানুষকে ধ্বংসকারী ও রক্ষাকারী বিষয়াবলি, ইলম, তর্কশাস্ত্র, সূফীতত্ত্ব, দর্শন, প্রেম-ভালোবাসা, সংগীত, মানবীয় অনুভূতি ইত্যাকার সকল বিষয় লিপিবদ্ধ করেছেন। যা হৃদয়ের গভীর থেকে একজন সংশয়হীন বিশ্বাসী মানুষের জন্য এবং একজন নফসে মুতমায়িন্নাহর অধিকারী ওলি-আল্লাহর জন্য প্রয়োজন। বলা যায়, কোনো মুমিন যদি বলতে পারেন আমি এহইয়া গ্রন্থের প্রতিটি লাইন বুঝে শুনে পড়েছি এবং আমার জীবনে তা বাস্তবায়ন করেছি তবে বলা যাবে তিনি এমন স্তরে পৌঁছেছেন যাঁদের বিষয়ে আল্লাহ পাক বলেছেন, “হে প্রশান্ত আত্মাসমূহ, তোমরা তোমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তন কর গভীর সন্তুষ্টচিত্তে এবং আমার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করো।” খ্যাতনামা মুহাদ্দিস যাইনুল ইরাকী লিখেছেন, এহইয়াউ উলুমিদ্দীন এর ন্যায় গ্রন্থ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি রচিত হয়নি। শায়খ আবু মুহাম্মদ জুরজানী আরেকটু বাড়িয়ে বলেন, জগতের সকল কিতাব যদি পুড়িয়ে ফেলা হয় আর এহইয়াউ উলুমিদ্দীন কিতাবটি অক্ষত থাকে তবে এর মাধ্যমে আমি তার পুনর্জন্ম দিতে পারব।’
ইলমে তাসাউফ ও দর্শনশাস্ত্রের এই মহান পণ্ডিত দীর্ঘজীবী হননি। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে হিজরি ৫০৫ সালের ১৪ই জুমাদা আস-সানী মোতাবেক ১৯ ডিসেম্বর ১১১১ খ্রি. ভোরবেলা তূস নগরে ইন্তিকাল করেন। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই তিনি প্রায় চারশত কিতাব রচনা করেন যা রীতিমত বিস্ময়কর, আল্লাহর অনুকম্পা ছাড়া কিছুই ছিল না।
আফসোসের বিষয় হচ্ছে তাঁর দার্শনিক ও আকাইদী আলোচনাগুলো পরবর্তী কতিপয় ধর্মশাস্ত্রবিদগণ বুঝতে পারেননি। অনেকে তাঁকে যিন্দিক বা মুনাফিক বলতেও দুঃসাহস দেখিয়েছিল। এমনকি তাঁর বিশাল গ্রন্থাগার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে তাঁর ছড়িয়ে থাকা কিতাবাদি থেকে যতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল সেগুলোই আমাদের হস্তগত হয়েছে।
আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য ইমাম গাযযালী ছিলেন প্রকৃতপক্ষে একজন মুজাদ্দিদ ও ওলী-আল্লাহ।
লেখক: অধ্যক্ষ