1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
উসমানী সালতানাত ভাঙ্গার পিছনে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র
সাহিদ আহমদ
  • ১৫ মে, ২০২৩

যদি আপনি টাইগ্রিস নদীতে দুটি মাছকে মারামারি করতে দেখেন, তবে জেনে রাখুন এর পিছনে ব্রিটিশদের হাত আছে (ইরাকী প্রবাদ)

একসময় পুরো বিশ্বকে দাপিয়ে শাসন করতো ইউরোপীয় শক্তিসমূহ। শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট কাঁচামালের চাহিদা ব্রিটেনও ইউরোপীয় শক্তিসমূহের উপনিবেশগুলো টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলে। উপনিবেশগুলোতে শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য ভাগ কর, শাসন কর এর মত বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্ত নিতে থাকে। উসমানী সালতানাত তখন ছিল ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশদের উপনিবেশ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। ভূমধ্যসাগর, দার্দেনেলিশ ও বসফরাস প্রণালীর অধিকার হারালে ভারতে সহজে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যেত ব্রিটিশ শক্তির জন্য। তাছাড়া এই অঞ্চলের প্রতি লোভ ছিল তাদের।

সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ যখন হাজার বছর ধরে টিকে থাকা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল দখল করেন এবং উসমানীয় রাজধানী সেখানে স্থানান্তর করেন তখন থেকেই উসমানী সালতানাতের ইউরোপে বিস্তার শুরু। ধীরে ধীরে ইউরোপীয় ভূমি আসতে  থাকে উসমানীয় সালতানাতের অধীনে। সুলতান সুলাইমান এর সময়ে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ঘটে সাম্রাজ্যের। যা মূলত ইউরোপীয় শক্তির জন্য ভালো ঠেকেনি। সুলতান সেলিমের মিশর দখলের পর উসমানীয় সুলতানরা খলীফা উপাধি ধারণ করেন যা মুসলিম বিশ্বে তাদের আদর্শিক ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করে। ইউরোপের উপনিবেশিক শক্তির কাছে তাই উসমানী সালতানাত একটি হুমকি ছিল। উসমানীয়রা হয়ে উঠছিল ইউরোপের বড় প্রভাবশালী শক্তি। কিন্তু এই জৌলুশ বেশিদিন টিকে নি। সুলতান সেলিম, সুলতান সুলাইমানের পর সাম্রাজ্যের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠে ১৫৭১ সালে ভূমধ্যসাগরে লিপোল্টো’র নৌ-যুদ্ধে পরাজয়ের পর। পরবর্তীতে উসমানীয়দের জন্য কাল হয়ে আসে কার্লোইটাসকুচুক কারইনার্যের সন্ধি। যা ইউরোপীয়দের কাছে উসমানী সালতানাতকে আরও দুর্বল শক্তি হিসেবে তুলে ধরে।

ব্রিটেন তথা ইউরোপীয় শক্তিসমূহ উসমানী সালতানাতের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার কারণ হচ্ছে এই অঞ্চলকে ঘিরে তাদের ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক স্বার্থ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ভিন্নতা, আধিপত্যের লড়াই ইত্যাদি।

জাতীয়তাবাদী আন্দোলন

আরব বিশ্বে তৎকালীন উসমানী সালতানাতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সূচনা হয় স্থানীয় খ্রিস্টিয়ান সম্প্রদায়ের হাত ধরে। তৎকালীন উসমানী সালতানাতে প্রচুর খ্রিষ্টান মিশনারী প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া সাম্রাজ্যে গুপ্ত সংস্থা’র উত্থান ঘটে। মিশনারিগুলো, গুপ্ত সংস্থা সাম্রাজ্যে জাতীয়তাবাদী বার্তা প্রচার করে। পরবর্তীতে এই জাতীয়তাবাদের তিনটি ধারা লক্ষ্য করা যায়- ধর্মনিরপেক্ষ ধারা, তুর্কি জাতীয়তাবাদ, আরব জাতীয়তাবাদ। ধর্মনিরপেক্ষ ধারার সূত্রপাত তুরস্কেই। ফরাসী বিপ্লবের ছোঁয়া লেগে এই ধারা সমৃদ্ধ হতে থাকে। তুর্কি জাতীয়তাবাদ এর সূত্রপাত হয়েছে মূলত বিভিন্ন স্থান হতে এসে উসমানী সালতানাতে চাকরি নেয়া জনসংখ্যা থেকে। যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া হতে আসা তাতার সম্প্রদায়।

আরব জাতীয়তাবাদের ধারা সূচনা হয় ১৮৬০ সালে খ্রিষ্টান আরব ও গুপ্ত সংস্থা’র থেকে। পরবর্তীতে তা আরও প্রভাবশালী হয় কাওয়াকিবী ও রশিদ আল রিদা’র হাত ধরে। ইতিহাসবিদ এবিএম হোসেন এর ভাষায়, “প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যে নতুন স্বাধীনতাকামী সামগ্রিক আরব জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয় তার উদ্যোক্তা ঔপনিবেশিক বৃটিশ এবং ফরাসী শক্তি”। কার্যত ব্রিটিশ এবং ফরাসী শক্তি সাইকাস-পিকোট চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে উসমানী সালতানাতের ভাগাভাগি করার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উস্কে দেয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ক্ষমতা ভাগাভাগি করার সময়, তখন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের তারা বঞ্চিত করে মধ্যপ্রাচ্যে উপনিবেশ স্থাপন করে। পশ্চিমা শক্তি কর্তৃক এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে উসমানী সালতানাতের বিভিন্ন প্রান্তে, সূচনা হয় স্বাধীনতা আন্দোলনের।

নেপোলিয়নের কূটকৌশল

১৭৯২ সালে ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সেনাবাহিনী উসমানী সালতানাতভুক্ত মিশর আক্রমণ করে। কিন্তু ইংল্যান্ড যখন দেখলো ফ্রান্স মিশর দখল করলে তারা হারাবে ভারতের যোগাযোগের পথ। ইংল্যান্ডের বাঁধায় মিশরীয়দের কাছে পরাজিত হয়ে ফিরে আসে নেপোলিয়নের সেনা। কিন্তু কিছু সেনা থেকে যায় মিশরে। কিন্তু নেপোলিয়ন প্রাচ্য নিয়ে আগ্রহ পান ভোলনি’র লেখা থেকে। নেপোলিয়ন বুঝতে পারলেন এই ভূমি দখল করলেও তা শাসন করা কঠিন হবে। তিনি মিশে যেতে থাকেন মুসলমানদের সাথে। ইসলামী ভাবাদর্শের বিরুদ্ধে যেতে তিনি সাহস করেননি বরং তিনি ইসলামী ভাবাদর্শের সাথে পশ্চিমা ভাবাদর্শের সংমিশ্রণ শুরু করেন। তিনি মুসলিমদের সাথে এবার যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন প্রাচ্যবিদ পণ্ডিতদের জড়ো করেন, গড়ে তুলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও।

নেপোলিয়ন নিজেকে ইসলামের ও মুসলিমদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করলেন। তিনি আলিমদের নিজের কাছে ডাকতেন। তিনি স্থানীয় আলিম, মুফতী ও ইমামদের দিয়ে কুরআনের এমন ব্যাখ্যা প্রচার করালেন যাতে সবাই মনে করে ফরাসীরা ইসলামের পক্ষের শক্তি। ফরাসী কবি নেপোলিয়ন এর এমন কাজের ব্যঙ্গ করে তাকে পশ্চিমের মুহাম্মদ বলেন। এভাবে নেপোলিয়ন ধীরে ধীরে পালটে দেন মুসলিম আইন, চালু করেন ফরাসী বিচারব্যবস্থা। মিশরীয়রা প্রকৃত ইসলাম থেকে সরে চলে যাচ্ছিলো নেপোলিয়নের প্রচারিত ইসলামে। এদিকে থেকে যাওয়া ফরাসী সেনা মিশরের পূর্ণগঠনে কাজ করে। মিশরীয় সেনাবাহিনী ইউরোপীয়করণে তারা প্রভাব রাখে। ভবিষ্যতে মিশরে মুহাম্মদ আলী পাশা’র উত্থান ঘটলে ফরাসীদের প্রভাব প্রতিপত্তি এই অঞ্চলে আরও বৃদ্ধি পায়।

মিশরে হাম্মদ আলী পাশা উত্থান

মুহাম্মদ আলী পাশা ১৭৯৮ সালে ফরাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পারদর্শিতার দরুন উসমানীয় সুলতান কর্তৃক মিশরের গভর্নর মনোনীত হন ১৮০৫ সালে। গভর্নর হয়ে তিনি ফরাসী বাহিনীর দক্ষতা দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত হন। তিনি উসমানী সালতানাতের দুর্বলতা উপলব্ধি করেন। তিনি মামলুক সময়ের মিশরীয় বে’দের একত্রিত করে স্বীয় বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। উন্নয়ন কাজে তিনি ফরাসীদের আমন্ত্রণ করেন। ফরাসী সেনাবাহিনীর আদলে সেনাবাহিনী গঠন করেন যা মূলত নিজ স্বার্থের জন্য। তিনি গড়ে তুলেন ফরাসী স্টাইলে আমলাতন্ত্র, অর্থনীতি, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি। এক পর্যায়ে আলী পাশা নিজেকে উসমানীয়দের প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য তিনি তার সেনাবাহিনীতে মুসলিম বা তুর্কিদের প্রাধান্য না দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের দিতেন। সবক্ষেত্রে মুসলিম ছেড়ে ইউরোপীয় মডেল অনুসরণ করতেন। ভরসা করতেন উসমানীয়দের থেকে ইউরোপীয়দের, অপেক্ষায় ছিলেন উসমানী সালতানাত আক্রমণের সুযোগের।

সৌদিআরবের উত্থান

উসমানী দুর্বলতার সু্যোগে নজদ প্রদেশের একজন গোত্র প্রধান মুহাম্মদ ইবন সৌদ হিজায ও নজদ প্রদেশ দখল করে গোত্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মুহাম্মদ ইবন আবদ আল ওয়াহাব এর ওয়াহাবী মতাদর্শ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন। মুহাম্মদ ইবন আবদ আল ওয়াহাব মনে করতেন ধর্মীয় বিশুদ্ধকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের কল্যাণ নিহিত। তিনি সুফি বুযুর্গদের প্রতি অনুরাগ, তাদের খানেকায় যাতায়াত, তাদের কবর যিয়ারতকে প্রতিমা পূজার সাথে তুলনা করতেন। মুসলিমদের এসব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন। তাছাড়া তিনি তাসাওউফেরও সমালোচক ছিলেন। তার অনুসারী সউদ নতুন এই মতাদর্শে খুবই অনুপ্রাণিত হন, অতপর তিনি যখন মক্কা মদীনা দখল করে শাসন শুরু করেন তা ছিল উসমানী আদর্শের বিরোধী ও সাম্রাজ্যের জন্য মানহানিকর। উসমানী সুলতানের বাহিনী তাকে পরাজিত করে, সউদ পালিয়ে কুয়েত আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে আবার তিনি শক্তি সঞ্চয় করে এই অঞ্চল দখল করেন।

ব্রিটেন যখন দেখে এখানে সৌদি পরিবারের উত্থান হচ্ছে তখন তারা তার সাথে গোপন যোগাযোগ শুরু করে। কিন্তু সউদের উত্থানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মক্কা-মদীনার শরীফ হোসেন ইবন আলী বা শরীফ হোসেন। তিনি মহানবীর বংশধর হওয়ার কারণে সুলতান দ্বিতীয় হামীদ তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু তিনি ছিলেন উচ্চবিলাষী। তাই তিনি বংশীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বৃহৎ শক্তির সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। তিনি ব্রিটিশদের সহায়তা পান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশরা তাকে উসমানীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে বলে। কিন্তু দেখা যায় ব্রিটিশরা দুই পক্ষের সাথেই যোগাযোগ রাখে। পরবর্তীতে যখন সৌদি পরিবার পুনরায় আক্রমণ করে মক্কা-মদীনা এলাকা দখল করে তখন ব্রিটিশরা দুটানায় পরে, অবশেষে সৌদ পরিবারকে সমর্থন জানায়। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী উসমানী সালতানাতের পতন হলে ব্রিটিশ সৌদ পরিবারের শাসন কে স্বীকৃতি দেয়। কার্যত ব্রিটিশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উসমানীয়দের বিরুদ্ধে কাজে লাগায়।

গ্রীকে স্বাধীনতা আন্দোলন

একসময় গ্রীক ভূখন্ড ছিল উসমানী সালতানাতের অধীনে। একসময় গ্রীকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হলে তা সমর্থন পায় রাশিয়া, ব্রিটেন ও পশ্চিমা শক্তির। ফলে তা আরো বেগবান হয়, এই পালে হাওয়া দেয় ফরাসী বিপ্লবও। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় গুপ্ত সংস্থা। পরবর্তীতে যখন উসমানীয়দের সাথে যুদ্ধ বাঁধে স্বাধীনতাকামীদের পক্ষে সহায়তা করে ইউরোপীয় শক্তিসমূহ। রাশিয়া, ব্রিটেনও ফরাসী সহায়তায় একসময় গ্রীক স্বাধীনতা লাভ করে, যা অন্য অঞ্চলেও উসমানীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উস্কে দেয়।

দেখা যায় ১৮০৫ সালে যখন সার্ভরা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করে বৃহৎ শক্তির সহায়তা না থাকায় তা বেশিদূর গড়াতে পারেনি। যার ফলে পিছিয়ে যায় সার্বিয়ার স্বাধীনতা। বর্তমানে আমরা দেখি যে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে বৃহৎ শক্তি সমর্থন দিয়ে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে শক্তির রাজনীতি। এখানে একটি রাষ্ট্র কেমন আচরণ করবে তা নির্ভর করবে তার ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট বা জাতীয় স্বার্থ। এটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাস্তববাদ বলে। বর্তমান বিশ্বে যেমন প্রতিটি রাষ্ট্র নিজ স্বার্থের জন্য বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়, স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে, তা সবই স্বীয় স্বার্থে। উসমানী সালতানাতের কাছে ইউরোপীয় শক্তিসমূহের স্বার্থ ছিল যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। ইউরোপের প্রতিটি শক্তি তখন বিশ্বে নিজ আধিপত্য বিস্তারে মগ্ন ছিল, ছিল উপনিবেশ রক্ষার তাড়না। বিশ্লেষকদের মতে উসমানীয়দের পতনের জন্য সবচেয়ে বেশি তারা নিজেরাই দায়ী। সুলতান সুলাইমানের পর আর তেমন যোগ্য শাসকের উত্থান কম ঘটেছে, তাছাড়া ইউরোপীয় শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত সামর্থ্য তৈরি করতে পারেন নি সালতানাত। শিল্প বিপ্লবের ফলে ইউরোপ যখন উন্নত হচ্ছিল সালতানাত ছিল তখন অনেক পিছিয়ে। পরবর্তীতে আরও ইউরোপীয়দের কাছে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে মনে করেন, ইউরোপীয় শক্তি আন্তর্জাতিক রাজনীতির নিয়ম অনুযায়ী নিজ স্বার্থে উসমানী সালতানাত বিরোধিতায় লিপ্ত ছিল কিন্তু তা সালতানাতের পতনের একমাত্র কারণ নয়।

 

ফেইসবুকে আমরা...