রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে এবং পেছনে সমান দেখতেন
ইমাম বুখারী ও মুসলিম হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা কি মনে করো আমার কিবলাহ শুধু এই দিকে? আল্লাহর কসম! তোমাদের রুকূ-সিজদাহর কোনো কিছুই আমার কাছে গোপন থাকে না। নিশ্চয় আমি আমার পেছন দিক থেকেও তোমাদের দেখতে পাই।
ইমাম মুসলিম হযরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, হে লোকজন! আমি তোমাদের ইমাম। সুতরাং তোমরা আমার আগে রুকূ-সিজদাহ বা উঠা-বসা কোনো কিছু করবে না। নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে আমার সামন থেকেও দেখি, পেছন থেকেও দেখি।
ইমাম আব্দুর রাযযাক তাঁর ‘আল মুসান্নাফ’ এ হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের সামনে যা আছে তা যেভাবে দেখি অনুরূপ পেছনে যা আছে তাও দেখি।
আবূ নুআইম হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে আমার পেছন থেকেও দেখি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কিছু দেখতেন এবং শুনতেন, যা আমরা দেখি না বা শুনি না
হযরত আবূ যর গিফারী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আমি যা দেখি তোমরা তা দেখো না, আমি যা শুনতে পাই তোমরা তা শুনতে পাও না। আকাশ কট কট শব্দ করছে, আর সে এই শব্দ করার উপযুক্ত। আকাশের মধ্যে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গাও ফাঁকা নেই যেখানে ফিরিশতাগণ মাথা অবনত করে সিজদায় পড়ে থাকেননি। আল্লাহর কসম! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে অবশ্যই তোমরা কম হাসতে এবং বেশি করে কাঁদতে, বিছানায় তোমরা স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, পথে-প্রান্তরে বেড়িয়ে পড়তে এবং আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করতে। হযরত আবূ যর (রা.) বলেন, আমার মন চায় যে আমি একটি গাছ হয়ে যাই আর সেই গাছটি কেটে ফেলা হোক!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বগল মুবারকের শুভ্রতা
ইমাম বুখারী ও মুসলিম হযরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখলাম তিনি দুআয় তাঁর হাত তুলেছেন। এ সময় তাঁর বগল মুবারকের শুভ্রতা দেখা যাচ্ছিল।
ইবন সাদ হযরত জাবির (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিজদাহ দিতেন তখন তাঁর বগল মুবারকের শুভ্রতা দেখা যেত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বগল মুবারকের উজ্জ্বলতা বর্ণনায় সাহাবীদের এক দল থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। মুহিব্ব আত তাবারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হলো, অন্যান্য মানুষের বগল থেকে তাঁর বগল মুবারক আলাদা হওয়া। কেননা সাধারণ সকলের বগল বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে (কিন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বগল মুবারক ছিলো সাদা-উজ্জ্বল)।
ইমাম কুরতুবী (র.) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করে আরেকটি অংশ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বগল মুবারকে কোনো পশম ছিলো না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাই উঠা থেকে মুক্ত ছিলেন
ইমাম বুখারী (র.) তাঁর তারীখে, ইবন আবী শাইবাহ তাঁর মুসান্নাফে এবং ইবন সাদ বর্ণনা করেন, ইয়াযীদ ইবন আসাম্ম বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনোদিন হাই তুলেননি। ইবন আবী শাইবাহ মাসলামাহ ইবন আব্দিল মালিক থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনোদিন হাই তুলেননি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘাম মুবারকের সুগন্ধ
ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন, হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ঘরে তাশরীফ আনলেন এবং কাইলুলাহ করলেন (দুপুরের বিশ্রামের জন্য কিছু সময় ঘুমানো)। তাঁর শরীর মুবারক থেকে ঘাম ঝরছিলো। আমার মা একটি বোতল নিয়ে আসলেন এবং তাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘাম সংরক্ষণ করতে লাগলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘুম ভেঙ্গে গেলে জিজ্ঞেস করলেন, উম্মে সুলাইম! এটা কী করছ? উম্মে সুলাইম জবাব দিলেন, আপনার ঘাম আমাদের সুগন্ধির বোতলে রাখছি। কেননা ইহা সর্বোত্তম সুগন্ধি।
হযরত আনাস (রা.) এর অন্য বর্ণনায় আছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বাড়িতে আসতেন এবং কাইলুলাহ করতেন। (নবীজি কোনো একদিন কাইলুলার জন্য আসলে) উম্মে সুলাইম তাঁর জন্য মাদুর বিছিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে কাইলুলাহ করলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরীর মুবারক থেকে অনেক ঘাম বের হচ্ছিলো। উম্মে সুলাইম সেগুলো আতরের বোতল ও অন্যান্য শিশিতে জমা করতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতে চাইলেন, উম্মে সুলাইম! এগুলো কী করছ? তিনি জবাব দিলেন, আপনার ঘামের দ্বারা আমি আমার আতরের ঘ্রাণকে আরো বাড়িয়ে নিব।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উচ্চতা
বাইহাকী, ইবন আসাকির এবং আবূ খাইসামাহ তাঁর তারীখে বর্ণনা করেন, হযরত আয়িশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকৃতির দিক থেকে অতিরিক্ত লম্বাও ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি যখন একাকী হাঁটতেন তখন তাঁকে মাঝারী আকৃতির মনে হতো। তিনি যখন লম্বা মানুষদের সাথে হাঁটতেন তখন তাঁর উচ্চতা তাদেরকে ছাড়িয়ে যেতো। উচু স্কন্ধবিশিষ্ট লোকের পাশে দাঁড়ালে তাকে উঁচু মনে হতো। আবার যখন তিনি তাদের থেকে আলাদা হতেন তখন তাকে মাঝারী আকৃতির মনে হতো।
ইবন সাবু ‘আল খাসাইস’ কিতাবেও এগুলো বর্ণনা করেছেন। তিনি আরেকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো মজলিসে বসা থাকলে মজলিসের সকলের থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাঁধ মুবারক উঁচু মনে হতো।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছায়া
হাকীম তিরমিযী বর্ণনা করেন, হযরত যাকওয়ান (রা.) বলেন সূর্য বা চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছায়া পড়ত না।
ইবন সাবু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বৈশিষ্ট্যসমূহের একটি হলো মাটিতে তাঁর ছায়া পড়ত না। কেননা তিনি ছিলেন নূর। তাই তিনি যখন সূর্য বা চন্দ্রের আলোতে হাঁটতেন তখনও তাঁর কোনো ছায়া দেখা যেতো না। অনেক আলিম বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছায়া না থাকার বিষয়টি তাঁর দুআ থেকেও প্রমাণিত হয়। তিনি দুআয় বলতেন ‘আল্লাহ আমাকে নূর বানিয়ে দাও’।
মশা-মাছি থেকে নিরাপদ থাকা
কাযী ইয়ায (র.) তার ‘শিফা’ কিতাবে এবং আযযাফী তার ‘আল মাওলিদ’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর শরীর মুবারকে মাছি বসতো না। ইবন সাবু তার ‘আল খাসাইস’ কিতাবে উল্লেখ করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড়েও মাছি বসতো না। তিনি আরেকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন যে, উকুন জাতীয় কোনো কিছু তাকে কখনো কষ্ট দিতো না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রক্ত মুবারক
বাযযার, আবূ ইয়ালা, তাবারানী, হাকিম এবং বাইহাকী হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলেন। তখন নবীজি সিঙ্গা লাগাচ্ছিলেন। সিঙ্গা লাগানো শেষ হলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, আব্দুল্লাহ! এ রক্ত নিয়ে যাও এবং এমনভাবে এগুলো ফেলে আসো যাতে তোমাকে কেউ না দেখে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) রক্ত নিয়ে গেলেন এবং নিজে পান করে নিলেন। যখন নবীর দরবারে ফিরে আসলেন তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, রক্ত কী করেছো? হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) বললেন, আমি এমন গোপন স্থানে সেগুলো রেখেছি, আমার বিশ্বাস সকল মানুষ থেকে তা গোপন থাকবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সম্ভবত তুমি রক্ত পান করে নিয়েছ? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার জন্য আফসোস লোকদের থেকে আর লোকদের জন্য আফসোস তোমার থেকে।
সাহাবীরা বলাবলি করতেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) এর শরীরে এতো শক্তি ছিলো নবীজির রক্ত মুবারকের বরকতে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিদ্রা
ইমাম বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেন, হযরত আয়িশা (রা.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর নামায না পড়েই ঘুমিয়ে যাবেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আয়িশা! আমার দুই চোখ ঘুমায় কিন্তু আমার কলব ঘুমায় না। আবূ নুআইম হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার চোখ ঘুমায় কিন্তু অন্তর ঘুমায় না। ইমাম বুখারী ও মুসলিম হযরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নবীগণের চোখ ঘুমায় কিন্তু তাদের অন্তর ঘুমায় না।
স্ত্রীদের সাথে নবীর একান্ত সাক্ষাত
ইমাম বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেন, হযরত আনাস (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের অথবা রাতের কোনো এক সময়ে পর্যায়ক্রমে স্ত্রীদের সাথে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারোজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি হযরত আনাস (রা.) কে জিজ্ঞেস করলাম ‘তিনি কি এতো সামর্থ রাখতেন?’ আনাস (রা.) বললেন, আমরা (সাহাবীরা) বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেওয়া হয়েছে।
স্বপ্নদোষ থেকে নিরাপদ থাকা
তাবারানী ইকরামার সূত্রে হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে এবং দীনূরী ‘আল মুজালাসাহ’ কিতাবে মুজাহিদ সূত্রে হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কখনো স্বপ্নদোষ হয়নি। আর স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে শয়তানের পক্ষ থেকে।
সারাংশ
উলামায়ে কিরামের অনেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সে সকল বৈশিষ্ট্য কবিতা আকারে সাজিয়েছেন, যা তাঁকে অন্যান্য সকল মানুষের গুণাবলি থেকে আরো মহিমান্বিত করে। যেমন একজন কবি লিখেছেন,
خص نبينا بعشر خصال * لم يحتلم قط و لا له ظـــــلال
و الارض ما يخرج منه تبتلع * كذلك الذباب عنه ممتنـــع
تنام عيناه و قلبه لا ينام * يري من خلف كما يري من أمام
لم يتثاءب قط و هي السابعة * ولد مختونا لها تابعـــــــة
تعرفه الدواب حين يركــب * تأتي إليه سريعة لا تـــهرب
يعلو جلوسه جلوس الجلساء * صلى عليه الله صبحا و مساء
আমাদের নবীকে দশটি বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিশিষ্ট করা হয়েছে। তাঁর কখনো স্বপ্নদোষ হয়নি, তাঁর কোনো ছায়া ছিলো না।
তাঁর শরীর থেকে যা বের হতো (প্রশ্রাব-পায়খানা মুবারক) তা মাটি ভক্ষণ করে নিত, অনুরূপ মাছি তাঁর শরীরে বসা থেকে বিরত থাকত।
তাঁর চোখদ্বয় ঘুমাতো কিন্তু অন্তর ঘুমাতো না, তিনি সামনে যেভাবে দেখতেন অনুরূপ পেছনেও দেখতেন।
সপ্তম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কখনো হাই তুলেননি, তাঁর পরের বৈশিষ্ট্য হলো তিনি খতনাকৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছেন।
তিনি যখন বাহনে চড়তেন তখন পশুগুলোও তাঁকে চিনত, ফলে সেগুলো তাঁর দিকে দৌঁড়িয়ে এগিয়ে আসতো।
তিনি মজলিসে বসলে সবার থেকে তাঁকে উঁচু মনে হতো। সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তাআলা তাঁর উপর দরূদ প্রেরণ করুন।
[মক্কা মুকাররামার প্রখ্যাত বুযুর্গ, মুহাদ্দিসুল হারামাইন সায়্যিদ মুহাম্মদ ইবনু আলাভী আল মালিকী (র.) এর ‘মাফাহীমু ইয়াজিবু আন তুসাহ্হাহা’ থেকে মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান কর্তৃক অনূদিত]