প্রশ্নকারী: আব্দুল ওয়াসেহ, সিলেট
জবাব: উপরিউক্ত প্রক্রিয়ায় একজন শিক্ষার্থী তার নিজস্ব যোগ্যতা ও প্রচেষ্টা ছাড়াই অন্যের সহায়তায় একাডেমিক মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হওয়া যেমন শিক্ষা অর্জনের মহান উদ্দেশ্যের পরিপন্থি, তেমন ইহা প্রতারণার শামিল, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তথা হারাম। তাই কোন শিক্ষার্থীর জন্যে এরূপ অবৈধ সুযোগ নেয়া জায়িয নয়। উপরন্তু এতে অন্যায় ও অনৈতিক কাজে সহায়তার ন্যায় গর্হিত অপরাধ ও গুনাহ অন্তর্ভুক্ত থাকায় টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে কোন থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা ইসলামে নাজায়িয। তাই এরূপ উপার্জন শরীআতের দৃষ্টিতে হারাম।
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
-আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার কাজে সহযোগিতা করো, কিন্তু পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর। (সূরা মায়িদাহ, আয়াত-২)
প্রতারনা শরীআতের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ হিসেবে পরিগণিত। সুনান আত তিরমিযী কিতাবে বর্ণিত হাদীসে এসেছে-
عن أبي هُرَيْرَةَ؛ أنَّ رسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى صُبْرَةٍ من طَعَامٍ، فأدْخَلَ يَدَهُ فيهَا، فَنالَتْ أصَابِعُهُ بَللًا، فقال: “يا صَاحِبَ الطَّعامِ ما هذا”؟ قال: أصَابَتْهُ السّماءُ، يَا رسولَ اللهِ، قال: “أفَلا جَعَلتَهُ فَوقَ الطَّعَامِ حَتَّى يَرَاهُ النَّاسُ؟ ” ثمَّ قال: “من غَشَّ فَلَيْسَ مِنَّا“
হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত যে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম (বাজারে) একটি খাদ্যশস্যের স্তূপ অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তিনি নিজের হাতকে স্তূপের মধ্যে প্রবেশ করালেন। তিনি তার হাতে ভিজা অনুভব করেন। স্তূপের মালিককে তিনি প্রশ্ন করেন, এ কি? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটা বৃষ্টির পানিতে ভিজে গিয়েছিল। তিনি বললেন, ভিজাগুলো স্তূপের উপরে রাখলে না কেন, যাতে লোকেরা দেখতে পেত? অতঃপর তিনি বললেন, প্রতারণাকারী ও ধোঁকাবাজদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। (সুনান আত তিরমিযী, হাদীস-১৩৬২; باب ما جَاءَ في كَرَاهِيةِ الغِشِّ في البُيُوعِ)

