Logo
প্রশ্ন: বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মোরগ ক্রয়ের পর জবাই করে বিদ্যুতের সাহায্যে একটি বড় ড্রামে দু’তিনটি মোরগ একসাথে গরম পানিতে ভিজিয়ে মোরগের সব লোম পরিষ্কার করে দেয়। তারপর পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের করে দেয়। প্রশ্ন হলো এভাবে পরিষ্কার করে বাড়িতে এনে রান্না করে খাওয়া কি শরীআতসম্মত?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

জবাব: বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগি ক্রয়ের পর জবাই করে এর নাড়িভুঁড়ি বের না করে আস্ত মোরগ ড্রামে গরম পানিতে যেভাবে ভিজিয়ে লোম উপড়ানোর প্রসেস করা হয়, তা উচিত নয়। কারণ এতে উক্ত মোরগের হালাল গোশতে নাড়িভুঁড়িতে থাকা নাপাকী বস্তুর বিস্তার হয়ে যাওয়ার পূর্ণ আশঙ্কা থাকে। তাই তা শরীআতসম্মত নয়। তদ্রুপ এ পদ্ধতিতে প্রসেস করাতে জীবাণু ছড়ানোর মারাত্মক ঝুঁকি থাকে এবং পরবর্তীতে এগুলো খাওয়াতে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা থাকে। এর পরিবর্তে বাজার থেকে মোরগ ক্রয় করে আপন বাসস্থানে নিয়ে এসে পুরাতন পদ্ধতিতে সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করে তা রান্না করা উচিৎ ও নিরাপদ।

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...