Logo
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অমুসলিম লোকের দান গ্রহণ করা যাবে কিনা?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ধর্মীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে অমুসলিম বা বিধর্মী লোকের দান গ্রহণ করা কিংবা ব্যবহার করা যাবে কি?

প্রশ্নকারী: মাহবুবুর রহমান,

শরীফগঞ্জ বাজার, জকিগঞ্জ, সিলেট

 

জবাব: ফুকাহায়ে কিরামের অধিকাংশের মতে বিধর্মীদের দান মসজিদ সহ মুসলমানদের যে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগানো যাবে, যদি দানকারী প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হয়, দানের অর্থের বা সম্পদের বৈধ মালিক হয় এবং উক্ত দানের কারণে ভবিষ্যতে ধর্মীয় কোনো বিষয়ে কিংবা সে প্রতিষ্ঠান বিষয়ে তার কোনোরূপ হস্তক্ষেপের কিংবা বল প্রয়োগের আশঙ্কা না থাকে। উপরোক্ত অভিমত প্রদানে ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ মনিষীগণ নিম্ন বর্ণিত তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছেন। যথা:

১। রাসূল সা. নিজের ক্ষেত্রে বিধর্মীদের দান গ্রহণ করেছেন মর্মে বহু হাদীসের বর্ণনা রয়েছে। ইমাম বুখারী (র.) সহীহ বুখারী গ্রন্থে এ মর্মে একটি স্বতন্ত্র পরিচ্ছেদ প্রণয়ন করে নামকরণ করেছেন- باب قبول الهدية من المشركين -মুশরিকদের দান গ্রহণ প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ। তৎসঙ্গে এর বৈধতার কয়েকখানা হাদীস উল্লেখ করেছেন। যথা:

عن أنس بن مالك رضي الله عنه، أن يهودية أتت النبي صلى الله عليه وسلم بشاة مسمومة، فأكل منها )الخ)

-হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত যে, জনৈকা ইহুদী মহিলা নবী সা. এর নিকট বিষ মিশ্রিত পাকানো বকরী নিয়ে এসেছিল। তিনি তা থেকে খেলেন। (বুখারী, মুসলিম)

২। তাদের দান গ্রহণ তাদের সাথে সদাচারের অন্তর্ভুক্ত, যা শরীআতের নির্দেশনার বাস্তবায়নও বটে।

৩। উক্ত অর্থের দ্বারা অমুসলিম লোক অন্য যে সকল পাপাচার কিংবা হারাম কার্য করার আশঙ্কা ছিল ধর্মীয় কাজে ব্যয় করার কারণে তা না করারও নিশ্চয়তা রয়েছে।

সুতরাং অমুসলিমদের দান উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে গ্রহণ করা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যে কোনো কাজে লাগানো যাবে।

 

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...