Logo
বিতর নামাযের কাযা আদায় করা ওয়াজিব
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

সালাতুল ইশা কাযা হলে বিতর নামায কাযা পড়তে হবে কি?

 প্রশ্নকারী: আব্দুল্লাহ মঞ্জুর 
দক্ষিণ সুরমা, সিলেট

 

জবাব  : হ্যাঁ, বিতর নামায ফাওত হলে ইহার কাযা আদায় করা ওয়াজিব। সালাতুল ইশা বিতরসহ ফাওত হলে ইশার ফরযের কাযা পড়া ফরয এবং বিতরের কাযা ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে আল বাহরুর রাইক কিতাবে এসেছে-

والقضاء فرض في الفرض واجب في الواجب سنة في السنة

-ফরয নামাযের কাযা আদায় ফরয, ওয়াজিব নামাযের কাযা আদায় ওয়াজিব এবং সুন্নাত নামাযের কাযা সুন্নাত। (আল বাহরুর রাইক, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮৬; আল ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যাহ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২১)

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...