জেরুজালেমের ধুলোময় রাস্তায় একদল মানুষ সমাবেশ করছে ইয়াহুদীদের জন্য একটি নিরাপদ স্বদেশ কায়িমের আশায়, আর দিল্লির রাস্তায় আরেক দল হয়তো মিছিল দিচ্ছে হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও আদর্শ পুনরুজ্জীবিত করার আশায়। আপাতদৃষ্টিতে এই দুই দলের দাবি-দাওয়া থেকে শুরু করে কোন কিছুই আপনার কাছে সাদৃশ্যপূর্ণ মনে হবে না। বরং দুই দলের দাবিকেই কিছুটা ন্যায্য দাবি বলেও মনে হতে পারে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বুঝতে আর বাকি থাকবে না, এ যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ; এবং কোনটাই ন্যায্য তো নয়ই, বরং ভয়ঙ্কর নৃশংস।
ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্যাতিত ইয়াহুদীরা একটা পর্যায়ে যখন নিজেদের রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো, সেই প্রেক্ষাপটে ইয়াহুদী চিন্তকদের মাথা থেকে জন্ম নিলো জায়নবাদ নামে এক নতুন মতবাদ। ১৮৯০ সালের দিকে সম্ভবত সর্বপ্রথম এই পরিভাষা ব্যবহৃত হয় ইউরোপে, ১৮৯৭ সালে থিওডর হার্জল প্রথম জায়োনিস্ট কংগ্রেস আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই পরিভাষাকে ইয়াহুদীদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলতে সক্ষম হন। ইয়াহুদীদের তখনো নিজস্ব কোন রাষ্ট্র ছিলো না, কোন এক ভূখণ্ডে নিজেদের রাষ্ট্র গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে তাদের এ আন্দোলনের সূচনা। আল-কুদস তথা জেরুজালেমের সিয়োন বা জায়ন পর্বতের নামে তাদের এ মতবাদের বা আন্দোলনের নামকরণ, অর্থাৎ তারা জায়ন পাহাড় তথা আল-কুদসসহ ফিলিস্তিনে নিজেদের রাষ্ট্র কায়িমের স্বপ্ন দেখছিল শুরু থেকেই। জায়ন পাহাড়ের নাম বাইবেলে থাকায় এ নামের প্রতি তাদের স্বভাবতই একটা আলাদা টান ছিল। বংশতাত্ত্বিক বিচারে বেশিরভাগ ইউরোপীয় ইয়াহুদীই আদি ও আসল সেমেটিক ইয়াহুদীদের বংশধর না হলেও তারা নিজেদেরকে সেই রক্তের উত্তরাধিকার দাবি করতে শুরু করে, এবং সেই সূত্রে বাইবেলে বর্ণিত ফিলিস্তিন ও তার আশেপাশের অঞ্চলের ইয়াহুদী রাজ্য পুনরুদ্ধারকে নিজেদের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক অধিকার হিসেবে দাবি করতে থাকে। ফিলিস্তিনের একমাত্র মালিক ইয়াহুদীরা, এ দেশ তাদের পূর্বপুরুষের জন্মভূমি এবং তীর্থভূমি; এমনটাই তাদের বিশ্বাস।
হিন্দুত্ববাদের জন্ম অবশ্য আরো কয়েক দশক পর, এবং ইউরোপ কিংবা ফিলিস্তিনের বহুদূরে, আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়ায়। হিন্দু লেখক বিনায়ক দামোদর সাভারকর ১৯২৩ সালে তার বই “হিন্দুত্ব: হু ইজ এ হিন্দু”–তে এই মতবাদের জন্ম দেন । তার মতে, ভারতবর্ষ হলো হিন্দুদের জন্মভূমি এবং পূণ্যভূমি। তার মতে, প্রকৃত ভারতীয় শুধু সেই, যার জন্ম ও ধর্ম দুটিই এই ভূমিতে শিকড় গেড়েছে। ভিন্ন দুই মহাদেশে জন্ম নেওয়া দুটো মতবাদকে কেন একই পাতায় নিয়ে আসা হয়েছে, তা এতক্ষণে পাঠকের নিকট স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। জায়নবাদ অনুসারে— ফিলিস্তিন কেবল ইয়াহুদীদের, হিন্দুত্ববাদ অনুসারে– ভারত কেবল হিন্দুদের। সাদৃশ্য অবশ্য আরো বহু আছে, পাঠকের সামনে তা ধারাবাহিকভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
ইয়াহুদীরা দীর্ঘদিন থেকে স্বশাসন থেকে বঞ্চিত, নিজেদের কোন রাষ্ট্র তাদের ছিল না। উপরন্তু তারা নিকট অতীতে ইউরোপীয়দের হাতে এবং এর আগে আরো বহু সাম্রাজ্যবাদের হাতে নৃশংস নির্যাতনেরও শিকার হয়েছিল। বিশেষত হিটলারের জার্মানিতে তারা যে রকম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তা এক কথায় অবর্ণনীয়। ইতিহাসের এক আজব সত্য হলো, এ সব নির্যাতনে অবশ্য তাদের পাশে বহুক্ষেত্রে মুসলমানদেরকেই পেয়েছিল ত্রাতারূপে। সে ভিন্ন কথা। হিটলারের নির্যাতনের শিকার ইয়াহুদীরা তখন শরণার্থী হয়ে অন্যান্য দেশে ঘুরছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য একটি স্বদেশ হয়তো খুব অযৌক্তিক দাবি মনে হবে না আপাতদৃষ্টিতে। কিন্তু জায়নবাদ সে জন্য এমন কোন ভূখণ্ডকে বেছে নেয়নি, যেটাতে তাদের সত্যিকার অর্থে অধিকার রয়েছে (যেমন জার্মান বা ইউরোপের অন্যান্য দেশ); কিংবা এমন কোন ভূখণ্ডও বেছে নেয়নি, যা কিনা জনমানবহীন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে আঁতাত করে তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত জায়ন পাহাড়ের দেশ তথা ফিলিস্তিনকেই নিজেদের স্বদেশ হিসেবে পেতে চাইলো, এবং বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী উসমানীদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে তাদের সে চাওয়া বাস্তবায়িতও হলো। এদিক থেকে অবশ্য হিন্দুত্ববাদের ইতিহাস কিছুটা ভিন্ন। এ কথা সত্যি, তারাও দীর্ঘ সময় ধরে শাসন ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করতে পারেনি; প্রথমে মুসলিম ও পরবর্তীতে ব্রিটিশদের শাসন মেনে নিতে হয়েছিল। কিন্তু ইয়াহুদীদের মতো তারা দেশ ছাড়তেও বাধ্য হয়নি, কিংবা কোন গণহত্যার শিকারও হয়নি। শাসন ক্ষমতায় না থাকলেও শাসকদের আনুকূল্য পেতে তাদের কখনোই অসুবিধা হয়নি। ব্রিটিশ আমলে তো বটেই, এমনকি মুসলিম শাসনামলেও যোগ্যতার বলে তারা ভালো ভালো রাষ্ট্রীয় পদে অনায়াসেই বসতে পারতো। হিন্দুত্ববাদীরা তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দাক্ষিণ্যে নয়, বরং স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের দেশ পেয়ে যায় ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগের পর। এটুকু বেমিল থাকলেও উভয় মতবাদের মিলটা ভয়ঙ্কর। ইয়াহুদীরা যেমন ফিলিস্তিনে মুসলিমদের (এবং খ্রিষ্টানদের) অধিকারকে অস্বীকার করে; হিন্দুত্ববাদীরাও একইভাবে একই ধরনের যুক্তিতে ভূভারতে মুসলিমদের (এবং খ্রিষ্টানদের) অধিকারকে অস্বীকার করে। উভয় মতবাদই এ ক্ষেত্রে কথিত ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় বর্ণনার আশ্রয় গ্রহণ করে।
উভয় মতবাদ বিশ্বজুড়ে প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও একই রকমের কৌশল অবলম্বন করে। পশ্চিমা গণমাধ্যমের দক্ষিণে এশিয়া বিষয়ক সংবাদে যেমন হিন্দুত্ববাদীদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদে একইভাবে জায়নবাদীদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব। শুধু সংবাদেই নয় অবশ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রযুক্তি– সর্বত্রই একই অবস্থা। তবে ছোট্ট একটা ফারাক আছে অবশ্য, জায়নবাদের সূচনা ইউরোপেই হয়েছে বলে ইউরোপ-আমেরিকায় শুরু থেকেই জায়নবাদীদের বসবাস। ইয়াহুদীদের পাশাপাশি ইভাঞ্জেলিকাল খ্রিষ্টানরাও ইয়াহুদীদের প্রতি বিদ্বেষবশত জায়নবাদে বিশ্বাসী! কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও বাস্তবতা এমনই, ইভাঞ্জেলিকাল খ্রিষ্টানদের চাওয়া ইয়াহুদীরা সবাই ফিলিস্তিনে একত্রিত হয়ে যেন ধ্বংস হয়ে যায়। চূড়ান্ত লক্ষ্য ভিন্ন হলেও সে লক্ষ্য অর্জনের স্বার্থে ইয়াহুদী জায়নবাদী আর ইভাঞ্জেলিকাল জায়নবাদী উভয়েই এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনের মাটিতে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে দেখতে চায়। অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদীরা মূলত ইউরোপ আমেরিকার বাসিন্দা না হলেও ভারত থেকে যে প্রচুর ভারতীয় ইউরোপ আমেরিকায় অভিবাসনের পথ বেছে নিয়েছেন, সেই ধারাবাহিকতায় নাগরিকত্বও পেয়েছেন, তাদের কল্যাণে পশ্চিমে তাদের কণ্ঠস্বরও বেশ শক্তিশালী।
উভয় মতবাদের আরেকটি ভয়ঙ্কর সাদৃশ— উভয়েই নিজেদের বিদ্যমান রাষ্ট্রের সীমারেখা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। জায়নবাদীদের সন্ত্রাসী রাষ্ট্র তো ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের পুরো ভূখণ্ডকে এখনই নিজের বলে দাবি করে কোথাও সরাসরি বসতি স্থাপন আর কোথাও অবরোধ কিংবা সামরিক উপস্থিতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে; কিন্তু এই ভূখণ্ডই তাদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। ইসরায়েলী কট্টরপন্থীদের উপস্থাপিত গ্রেটার ইসরায়েলের মানচিত্রে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি জর্ডান ও লেবাননের পুরো অংশ এবং ইরাক, সিরিয়া, মিশর এবং সৌদি আরবের বিশাল অংশ অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ নদী থেকে সমুদ্র অবধি বিস্তৃত ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডই কেবল তাদের কল্পিত গ্রেটার ইসরায়েল প্রকল্পের অংশ নয়; বরং মধ্যপ্রাচ্যের সুবিশাল অংশই তাদের এই প্রকল্পের অংশ, যার মধ্যে কিনা আবার তাদের কথিত অনেক বন্ধুরাষ্ট্রেরও (গাদ্দার আরব রাষ্ট্র) অনেকাংশ অন্তর্ভুক্ত। হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষেত্রেও একই কাহিনি। আপাতত তারা ভারত রাষ্ট্র দখল করলেও তাদের দাবিকৃত অখণ্ড ভারতের অংশ হচ্ছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বত। এই পুরো অঞ্চলটি তাদের দাবি মতে কেবলই হিন্দুদের, এখানে প্রতিষ্ঠিত হবে হিন্দুদের স্বর্ণযুগের আদলে হিন্দু রামরাজ্য। মোদ্দাকথা, এই যে দুই মতবাদই নিজ নিজ ধর্মীয় গ্রন্থকে পুঁজি করে এমন এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়, যা ঐতিহাসিক কিংবা নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভিত্তিহীন হলেও তাদের কল্পনার রাজ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী। আর তাদের এই কল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নে সবধরনের নৃশংসতাই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। গাযার সর্বশেষ পরিস্থিতি তার নযীর মাত্র।
তাত্ত্বিক এ সকল সাদৃশ্য এখন অবশ্য বাস্তব বিশ্ব রাজনীতিতেও চলে এসেছে। এক সময় ভারত ছিল ফিলিস্তিনের পক্ষের কণ্ঠস্বর। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে টানা হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারে থাকার ফলে ফিলিস্তিনের পক্ষের অবস্থান থেকে সরে ভারত এখন কট্টর ইসরায়েল সমর্থক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষত গাযায় চলমান ইসরায়েলী বর্বরতার প্রতিক্রিয়ায় যেখানে ইসরায়েলের বহু মিত্র রাষ্ট্রও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছে, এমনকি ইউরোপের এসকল দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কিংবা দেওয়ার কথা ভাবছে, সেখানে নরেন্দ্র দামোদর মোদীর ভারত জায়নবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির নেতৃত্ব একে অপরের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে। জায়নবাদী ইসরায়েল আর হিন্দুত্ববাদী ভারত এখন ঘনিষ্ট মিত্রদেশ। তাদের মধ্যে সামরিক, শ্রম, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ট সহযোগিতা বেড়েই চলছে। আরো লক্ষণীয় বিষয় হলো– যে সকল আরব রাষ্ট্র প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে ইসরায়েলের সাথে মিত্রতা বজায় রাখছে, নরেন্দ্র মোদীর সাথেও তাদের ঘনিষ্টতা উল্লেখযোগ্য।
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করলে বুঝা যায়, এই উভয় নৃশংস মতবাদই দিনে দিনে আরো আগ্রাসি হয়ে উঠছে। ফিলিস্তিনীদের (প্রধানত মুসলিম এবং কিছু সংখ্যক খ্রিষ্টান) বিরুদ্ধে জায়নবাদীদের বর্বরতার ইতিহাস অনেক পুরনো হলেও বর্তমানে চলমান নৃশংসতা ইতিহাসে নযীরবিহীন। আবার ভারতেও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে মুসলিম নিপীড়নের ইতিহাস অনেক পুরাতন হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রীতিমতো অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দিচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীদেরও প্রধান টার্গেট মুসলিম, সেই সাথে কিছু সংখ্যক খ্রিষ্টান। উভয় ক্ষেত্রেই দুঃখজনক বৈশ্বিক বাস্তবতা হলো অন্যান্য মুসলিম কিংবা খ্রিষ্টান রাষ্ট্রগুলোর নীরব ভূমিকা। খিষ্টান ত্রিত্ববাদী বিশ্বাস মতে ফিলিস্তিন খ্রিষ্টের জন্মভূমি, যিনি কিনা তাদের তিন ঈশ্বরের একজন। অথচ সেই ফিলিস্তিনে খ্রিষ্টানদের দূরবস্থা নিয়ে খ্রিষ্টান বিশ্ব একেবারেই নীরব। ভারতের খ্রিষ্টানদের ক্ষেত্রেও একই কথা। আর মুসলিম বিশ্বের কথা তো বলাই বাহুল্য।
এখনো সশস্ত্র জায়নবাদীদের তুলনায় সশস্ত্র হিন্দুত্ববাদীরা তুলনামূলক কম আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, এতদসত্ত্বেও তাদের আদর্শিক লক্ষ্যের সাদৃশ্য উভয় মতবাদকেই আতঙ্কের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে। বলা যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে জায়নবাদের তুলনামূলক সীমিত সংস্করণ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুত্ববাদ। ফলে উভয় মতবাদের লক্ষ্যবস্তু হওয়া থেকে বাঁচতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সচেতন সক্রিয়তা আবশ্যিক।