আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীম শুরু করেছেন একটি মহান আয়াতের মাধ্যমে, সেটি হচ্ছে بسم الله الرحمن الرحيم। তারপর (হামদ) শুরু করেছেন “সাবআল মাসানী” তথা সূরা ফাতিহা দিয়ে। তারপর সূরা বাকারা শুরু করেছেনالم، ذالك الكتاب لا ريب فيه، هدى للمتقين، الذين يؤمنون بالغيب আয়াতগুলোর মাধ্যমে। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই আয়াতের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, সকল মানুষকে মুত্তাকী হওয়া লাগবে এবং এই কুরআন থেকে হিদায়াত পাওয়ার জন্য তাকওয়া অবলম্বন ও গাইবের প্রতি বিশ্বাস রাখা লাগবে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে অসংখ্য জায়গায় গাইবের বিষয়াবলী উল্লেখ করেছেন। ব্যক্তি যা কিছু দেখে বা তার সামনে আসে সেগুলো তার ইলম। এগুলোর মধ্যেই আল্লাহ তাআলা ঈমানকে সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ঈমানকে জুড়ে দিয়েছেন গাইবের সাথে। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা হচ্ছেন সবচেয়ে বড় গাইব। আমরা আল্লাহকে, তাঁর অস্তিত্বকে, তাঁর জালালিয়াতকে, তাঁর কামালিয়াতকে বিশ্বাস করি অথচ আমরা তাঁকে দেখিনা। না দেখেই আমরা তাঁর সবকিছু বিশ্বাস করি। গাইবের বিষয়সমূহের মধ্যে আরেকটি হলো বারযাখী যিন্দেগীকে বিশ্বাস করা। আল্লাহ ও তার রাসূল আমাদেরকে আদেশ করেছেন বারযাখী যিন্দেগীর প্রতি ঈমান আনার জন্য। বারযাখ হলো আমাদের এই জীবনের পরবর্তী জীবন যা আমাদের থেকে অদৃশ্য কিন্ত তার প্রতি আমাদের ঈমান রাখতে হয়। আল্লাহ তাআলা কুরআনে আরেকটি জীবনের কথা উল্লেখ করেছেন এই আয়াতের মাধ্যমে “الست بربكم قالوا بلى” এটি হলো রূহ জগতের বর্ণনা যা আমাদের দুনিয়ার জীবনের আগের (সেটাও গাইব কিন্তু আমাদের ঈমান রাখতে হয়)। আর আমরা রাসূল সা. এর কাছ থেকে এরকম একটা সংবাদ পাই যে, নবীগণ তাদের কবরে জীবিত তারা সেখানে নামায আদায় করেন। আমি এরকম একটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই, একদিন আল্লাহর রাসূল সা. মাজলিসের মধ্যে সাহাবায়ে কিরামকে নিয়ে বসেছিলেন। হঠাৎ করে রাসূল সা. সালামের জবাব দিলেন,তখন সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কার সালামের উত্তর দিলেন? রাসূল সা. জবাবে বললেন, জাফর (যিনি শহীদ হয়ে গিয়েছিলেন এবং তার দুটি হাত কাটা পড়েছিল) এসেছিলেন,তার সাথে অনেক ফিরিশতা ছিলেন, তিনি আমাকে জানিয়ে গেছেন তাকে আল্লাহ তাআলা দুটি ডানা দিয়েছেন যেগুলোর মাধ্যমে তিনি জান্নাতের যেকোনো জায়গায় উড়ে বেড়াতে পারেন। (তিরমিযী, হাদীস-৩৭৬৩; সিয়ার, যাহাবী) রাসূল সা. আমাদেরকে আরও সংবাদ দিয়েছেন মিরাজের রাত্রির ঘটনা সম্পর্কে, তিনি বলেন, যখন মূসা (আ.) এর কবরের পাশ দিয়ে আমি গেলাম তখন মূসা (আ.)কে তার কবরে কাসিবুল আহমার নামক স্থানে নামাযরত অবস্থায় দেখতে পেলাম। (মুসলিম, হাদীস-২৩৭৫) এসকল আয়াত ও হাদীসের ভিত্তিতে উলামায়ে কিরাম একমত হয়েছেন যে, মারা যাওয়ার পর মৃতদের একটি জীবন রয়েছে। আর আল্লাহ পাক যাদের আত্মা পবিত্র বা ভালো হয় তাদেরকে বারযাখী যিন্দেগীতে আরও উঁচু মর্যাদা দান করেন। আর আমাদের নবী করীম সা. এর জীবন হলো, তিনি তার পবিত্র দেহসহ রাওদা শরীফে জীবিত আছেন। বুখারী শরীফে রয়েছে, শহীদদের রূহকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে সবুজ পাখির ভিতর রেখে দেন, তাঁরা জান্নাতে যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়ান। চিন্তা করুন শহীদদের যদি এমন মর্যাদা হয় তাহলে আমাদের নবী সা. কে আল্লাহ কেমন মর্যাদা দিতে পারেন? এখনকার যুগে আমরা কিছু ইলমের মিসকীন লোক দেখতে পাই যারা কুরআন-হাদীস-ইজমা এবং পূর্ববর্তী পরবর্তী সকল আলিমের মতের বিরোধিতা করে বলে, রাসূল সা. মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন, তাঁর কোন তাসির নেই (নাউযুবিল্লাহ)। যারা এই কথা বলে যে, রাসূল সা. এর ইন্তিকালের পরে তার কোন শক্তি নেই, তারা এই কথার উপর ভিত্তি করে ওয়াসীলাকে অস্বীকার করে। আমরা মনে করি তাদের এই কথাটাই শিরক। কারণ, তারা মনে করে রাসূল সা.জীবিত থাকা অবস্থায় তার থেকে যে প্রভাব হয়েছে তা তার নিজের গুণে হয়েছে আর আমরা বলি এটাই শিরকী কথা। কেননা দুনিয়াতে কিংবা আখিরাতে জীবিত কিংবা মৃত কারো নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই, সকল ক্ষমতার মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তাআলা। সুতরাং আল্লাহর নবী সা. যেই কাজ জীবিত অবস্থায় করতে পারতেন সেটাও আল্লাহ পাকের হুকুমে করতেন, আর ইন্তিকালের পর যেইগুলো করেন সেটাও আল্লাহ তাআলার হুকুমে করেন। তাই আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটা হচ্ছে তাওহীদ, আর হায়াতুন্নবী অস্বীকারকারীরা যেটা বিশ্বাস করে সেটা হচ্ছে মূলত শিরক।
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সবাই একমত যে, সকল কাজের স্রষ্টা এবং উৎস হচ্ছেন আল্লাহ তাআলা। এর বিপরীত আকীদা পোষণ করে মুতাযিলা এবং যুক্তিবাদীরা। ইমাম মাতুরিদী (র.) ইমাম আশআরী (র.) সহ সকল আলিম একমত যে, সকল ক্ষমতার মূল এবং সকল কাজের প্রভাবক হচ্ছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। আমরা আযহার শরীফে ছোটবেলা ইমাম দারদী মালিকী (র.) এর একটি কিতাব পড়েছি এবং আমাদের বাচ্চাদেরকে পড়াই, আমাদের মাশাইখদের থেকেও আমরা মুখস্ত করেছি ইমাম দারদীর একটি কথা-
من يقل بالطبع او بالعلة فذاك كفر عند اهل الملة.ومن يقل بالقوة الموضعة فذاك بدعي فلا تلتفت. (شرح الخريدة البهية في علم التوحيد)
-যে ব্যক্তি মনে করে কোন কিছু অন্য আরেকটির প্রভাবে অথবা এমনি এমনি হয়ে যায়, আহলে মিল্লাতের নিকট সে কুফরী করলো”। আর যারা মনে করে নিজের শক্তিতে কিছু হয় তারা হচ্ছে বিদাআতী। আমরা ওয়াহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, তোমাদের আকীদার হাকীকত কী? তোমরা কি ধারণা কর আল্লাহর রাসূল সা. জীবিত থাকা অবস্থায় যে ক্ষমতা ছিল সেটা কী তার এমনি এমনি কোন কারণে ক্ষমতা ছিল? এটা মনে করলে কুফরী হবে। অথবা যদি মনে কর নিজের ক্ষমতা তবে তুমি বিদআতী হবে। (ওয়াহাবীগণ মনে করে ইন্তিকালের পর রাসূল সা. এর কোন প্রভাব নেই, দুনিয়ায় রাসূল সা. এর যে প্রভাব ছিল সেটা ছিল তার নিজস্ব ক্ষমতা বা এমনি এমনি ক্ষমতা যা “বিদআতী কুফরী আকীদা”)। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা হচ্ছেন সকল ক্ষমতার মূল, সকল কাজের স্রষ্টা, কোন সৃষ্টি নিজস্ব কোন ক্ষমতা রাখে না, যে যেই প্রভাব রাখে সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। ওয়াহাবীদের আরেকটি জাহিলী অজ্ঞতা হচ্ছে যে, তারা নুসুসকে অস্বীকার করে এবং উলামায়ে কিরাম দ্বীনের যে উসূল নির্ধারণ করেছেন সেটাকে অস্বীকার করে। অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহের বুঝের নামে উসূলে হাদীস ও উসূলে ফিকহকে অস্বীকার করে, যার কারণে তারা অনেক নসকে অস্বীকার করতে বাধ্য হয়। এটি হচ্ছে তাদের পথভ্রষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ। আর ওসীলার দলীল কুরআন এবং হাদীস থেকে যুগে যুগে উলামায়ে কিরাম দিয়েছেন। কুরআন কারীমে এসেছে وابتغو اليه الوسيلة এই আয়াতের ব্যাখ্যায় এবং হাদীস শরীফে এসেছে উসমান বিন হুনাইফ (রা.) এর চক্ষু অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, তিনি রাসূলুল্লাহ সা. এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমিতো অন্ধ হয়ে গেছি, আপনি আমার জন্য দুআ করেন আল্লাহ যাতে আমার চক্ষু ফিরিয়ে দেন। রাসূল সা. বললেন তুমি সবর কর, অথবা আমি দুআ করব। তখন তিনি বললেন আপনি আমার জন্য দুআ করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সা. তাকে ওয়াসীলা শিক্ষা দিলেন তথা বললেন তুমি ঘরে ফিরে যাও এবং দুই রাকআত নামায পড়ে এই দুআ কর اللهم انى اتوجه اليك بنبي الرحمة يا محمد اشفع لي عند ربك وذكر حاجتك -হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতের নবীর ওয়াসীলা নিয়ে আপনার নিকট মনোনিবেশ করছি। হে মুহাম্মদ সা. আপনার রবের নিকট আমার জন্য সুপারিশ করুন (এখানে আপনি আপনার হাজতের কথা উল্লেখ করুন)। অতঃপর তিনি তাই করলেন এবং তার চক্ষু আল্লাহ ফিরিয়ে দিলেন। (তিরমিযী, হাদীস-৩৫৭৮) এই হাদীসটি হচ্ছে সহীহ, যদিও ওয়াহাবীরা চেষ্টা করেছে তাহরীফ করে এই হাদীসকে দঈফ অথবা মাওদূ প্রমাণ করার জন্য।
যখন তারা এই হাদীসটি জাল প্রমাণ করতে অক্ষম হলো তখন তারা তাহরীফ করার অন্যপন্থা বেছে নিল। তারা বললো, আমরা ওয়াসীলাকে বৈধ মনে করি। আল্লাহর রাসূল সা. এর জীবিত থাকা অবস্থা পর্যন্ত। কিন্তু ইন্তিকালের পর ওয়াসীলা ধরা হারাম কেননা এটা শিরক। এখানে আমরা ওয়াহাবীদের প্রশ্ন করতে চাই, যদি আল্লাহর রাসূল সা. এর অনুপস্থিতিতে অবস্থায় ওয়াসীলা ধরা শিরক হয় তবে সায়্যিদুনা উসমান (রা.) কে কেন নবীজি সা. উপস্থিত থাকা অবস্থায় দুআ না করতে দিয়ে তাকে দূরে পাঠিয়ে দুই রাকআত নামায পড়ার এবং ওয়াসীলা নিয়ে দুআ করার জন্য আদেশ করলেন আর আল্লাহ পাক তার চক্ষু ভালো করে দিলেন? কেননা আল্লাহর রাসূল সা. এর ইচ্ছা ছিলো উপস্থিত ও অনুপস্থিত উভয় অবস্থায় ওয়াসীলা ধরা সুন্নত সেটা আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়া। অনুরূপভাবে ফাতিমা বিনতে আসাদ যিনি আল্লাহর রাসূল সা. এর মাতা হিসেবে ছিলেন, আবূ তালিবের স্ত্রী ও হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহা এর মাতা ছিলেন। রাসূল সা. কে তার ঘরে লালন-পালন করেছেন। রাসূল সা. তার ব্যাপারে বলেছেন, তিনি আমার মায়ের পরে মা হিসেবে ছিলেন, তিনি না খেয়ে আমাকে খাওয়াতেন, তিনি না পরে আমাকে পরিধান করাতেন। তিনি যখন ইন্তিকাল করেন তখন রাসূলুল্লাহ সা. নিজে আসলেন এবং কবর খননের জন্য নির্দেশ দিলেন। হযরত উসামা বিন যাইদ, হযরত আবূ বকর, হযরত উমরসহ অনেকে কবর খনন করলেন তখন সেই কবরের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সা. নিজে নামলেন এবং কবরে লাশ মুবারক রাখলেন, মাটি দিলেন। কিন্তু তার পূর্বে রাসূলুল্লাহ সা. কবরে নেমে শুয়ে পড়লেন এবং দুআ করলেন। যেই দুআটি তাবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ, ইবন হিব্বানসহ অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। দুআটি হচ্ছে-
اللهم انى اسالك بحقي وبحق النبين اللذين من قبلي ان تغفرلى امي فاطمة بنت اسد….
-হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার ওসীলায় এবং আমার পূর্বে যে সকল নবীগণ চলে গেছেন তাদের ওসীলায় প্রর্থনা করছি আমার মাতা ফাতিমা বিনতে আসাদ (নবী সা. এর চাচা আবু তালিবের স্ত্রী) কে ক্ষমা করে দিন। (তাবারী, ১/১৫২)
যদি ওয়াসীলা শিরক হয় তবে রাসূল সা. জীবিত থাকা অবস্থায় নিজের ওয়াসীলা এবং পূর্বের সকল নবীদের যারা বারযাখী যিন্দেগীতে রয়েছেন তাদের ওয়াসীলা কিভাবে নিলেন? যদি তাবাররুক শিরক হয় তবে নবী সা. কবরে শুয়ে কেন কবরকে বরকতময় করেছিলেন? কেন তার জামা বরকতের জন্য কাফনের ভিতরে দিয়েছিলেন? আসল কথা হচ্ছে, যারা (ওয়াহাবীরা) ওয়াসীলা এবং তাবাররুককে শিরক বলার চেষ্টা করে তারা সূর্য উঠার পর দুই হাত দিয়ে সূর্যের আলো থামানোর চেষ্টা করার মতো কাজ করছে। আমি রাসূলুল্লাহ সা. এর ইন্তিকালের পরে সাহাবায়ে কিরামের ওয়াসীলা নেয়ার আরেকটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করবো। একবার অনাবৃষ্টির কারণে সাহাবায়ে কিরাম হযরত আয়িশা (রা.) এর কাছে গেলেন, আয়িশা (রা.) বললেন, আল্লাহর রাসূল সা. এর রাওদা শরীফে আকাশের দিকে তার মুখ বরাবর একটি জানালা খুলে দাও তখন আকাশ মেঘ আটকিয়ে রাখতে পারবেনা। তখন জানালা খোলা হলো এবং সাথে সাথে বৃষ্টি নেমে গেল। জানালা বন্ধ না করার পূর্ব পর্যন্ত সেই বৃষ্টি থামলো না। (সুনান দারিমী, ১/৫৬) তাহলে ওয়াহাবীরা কি আয়িশা সিদ্দীকা (রা.) কে সূফী, বিদআতী বলে বাদ দিয়ে দিবে? যেভাবে তারা বলে থাকে। নাকি আয়িশা (রা.) কে ইসলামের ধারক বাহক সাহাবী আহলে বাইত হিসেবে মানবে না?
নিশ্চয় তাসাওউফ হচ্ছে আহকামে শরীআতের ৩য় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত যা আল্লাহ পাক তার রাসূল সা. এর জবান দিয়ে সাব্যস্ত করেছেন। হাদীসে জিবরাঈলের মধ্যে এসেছে তিনটি বিষয় ইসলাম, ঈমান ও ইহসান। ইসলাম দিয়ে ইলমুল ফিকহ ও অন্যান্য বিষয়াবলী, ঈমান দিয়ে ইলমুল আকাইদকে বুঝানো হয়েছে। আর ইহসান দিয়ে সূফীদের সঠিক পথ তথা তাসাওউফের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে ইফরাত ও তাফরীত নেই। কিভাবে আল্লাহকে দেখছে সেই মনের ভাব নিয়েও ইবাদত করবে এগুলোই বুঝানো হয়েছে যা সঠিক পথ প্রাপ্ত সূফীগণ শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
[আন্তর্জাতিক শানে রিসালত মহাসম্মেলন ২০২৩ এ শাইখ ড. আহমদ আশ শরীফ আল আযহারী এর আরবী বক্তব্যের অনুলিখন থেকে জিয়াউর রহমান কর্তৃক অনূদিত]