হাসান ও হুসাইন দুই ভাই। তারা মিলেমিশে খেলাধুলা ঘুরাঘুরি আর গল্প করে। প্রতিদিন দাদা ভাইয়ের সাথে মসজিদে গিয়ে নামায পড়ে। নামাযে যাওয়া-আসার পথে দাদা ভাইয়ের সাথে অনেক গল্প হয় তাদের। দাদা ভাইয়ের কুরআন, হাদিস থেকে বেলা গল্পগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে। দাদা ভাইয়ের কথা শুনতে তাদের ভীষণ ভালোও লাগে।
দাদাভাই আজ আসরের নামায থেকে বের হয়ে বললেন, এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদের যত নিআমত দান করেছেন তার মাঝে অন্যতম হলো গাছ। গাছ থেকে আমরা বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পাই। বিভিন্ন প্রকার গাছপালা দিয়ে আল্লাহপাক পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন। এতে রয়েছে আমাদের জন্য নিদর্শন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “যখন কোনো মুসলমান গাছ লাগায় অথবা ফসল বুনে আর মানুষ, পশুপাখি তা থেকে খায়, এটা রোপণকারীর জন্য সাদকাহ হিসেবে গণ্য হয়।” হাসান কথাটা শুনে খুব অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, গাছ লাগালেই সাদকাহ হবে? দাদাভাই বললেন, হ্যাঁ, যতদিন গাছটি বেঁচে থাকবে ততদিন সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে।
হুসাইন বলল, আচ্ছা আমাদের বাড়ির পিছনে তো অনেক জায়গা ফাঁকা আছে, আমরা কি সেই খালি জায়গায় গাছ লাগাতে পারি না? হুসাইনের কথার সাথে হাসান একটু যোগ করে বলল, আমরা চাইলে তো তা করতেই পারি তাই না দাদাভাই? তাদের কথা শুনে দাদাভাই তো মহাখুশি। দাদাভাই তাদেরকে নিয়ে নার্সারিতে গেলেন । হাসান আর হুসাইন নার্সারি থেকে নিম গাছ, পেয়ারা গাছ, ডালিম গাছসহ আরো অনেক গাছের চারা কিনল, সাথে কিনল নানা রকমের ফুল গাছ। এবার গাছ রোপণের পালা। তারা বাড়ির পিছনের খালি জায়গায় গেল। দাদা ভাই একটা নিমগাছ রোপণ করে হাসান ও হুসাইনকে দেখিয়ে দিলেন কিভাবে গাছ রোপণ করতে হয়। তারা দাদা ভাইয়ের সাথে মিলে সবগুলো গাছ রোপণ করা শেষ করল। দাদাভাই তাদেরকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তাদের জন্য অনেক দুআ করলেন।