হজ্জ ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। কুরআন কারীমে সকল ফরয বিধানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে। আর হাদীস শরীফে এগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। আজকের এই প্রবন্ধে কুরআন কারীমে হজ্জ সম্পর্কিত আয়াতগুলোকে হজ্জের বিধানগুলোর ধারাবাহিকতার আলোকে সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করব। ইন শা আল্লাহ!
কা’বা শরীফ
হজ্জের বিধান পালনে কা’বা শরীফের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই কা’বা ঘরের মর্যাদা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ
-নিশ্চয় পৃথিবীর প্রথম ঘর যা মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে তা মক্কা নগরীতে অবস্থিত। তা বরকতময় এবং বিশ^বাসীর জন্য হিদায়াতস্বরূপ। (সূরা বাকারা, আয়াত-৯৬)
হজ্জের ঘোষণা ও হজ্জের সফর
হজ্জের ঘোষণা ও হজ্জের উদ্দেশ্যে সফর সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ
-(হে ইবরাহীম) তুমি মানুষের মধ্যে হজ্জের জন্য ঘোষণা দাও। তারা আপনার কাছে আসবে দূর দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে এবং জীর্ণশীর্ণ উটের পিঠে চড়ে। (সূরা হজ্জ, আয়াত-২৭)
হজ্জ ফরজ হওয়া
হজ্জের বিধান ফরজ হওয়া সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ
-আর মানুষের মধ্যে যারা কা’বা পর্যন্ত পৌঁছার ক্ষমতা রাখে তাদের উপর আল্লাহর জন্য উক্ত ঘরের উদ্দেশ্যে হজ্জ করা ফরজ। আর যে ব্যক্তি কুফরী করে তারা জানা উচিত আল্লাহ তাআলা বিশ্ববাসী থেকে অমুখাপেক্ষী। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত-৯৭)
অন্য আয়াতে এসেছে,
وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ
-আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ওমরাহ পরিপূর্ণভাবে পালন কর। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৬)
হজ্জের মাসসমূহ
হজ্জের মাসসমূহ সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ
-হজ্জের মাসসমূহ সুপরিচিত। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৭)
অন্য আয়াতে এসেছে,
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ
-তারা আপনাকে চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, তা মানুষের জন্য ও হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৯)
হজ্জের নিয়ত ও ইহরাম
হজ্জের নিয়ত ও ইহরাম সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ
-হজ্জের মাসসমূহ সুপরিচিত। আর যে ব্যক্তি ইহাতে হজ্জের নিয়ত করে। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৭)
ইহরামের পর নিষিদ্ধ কার্যাবলীর বর্ণনা
হজ্জের সময় ইহরাম বাঁধার পর নিষিদ্ধ কার্যাবলী সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ
-হজ্জের মাসসমূহ সুপরিচিত। আর যে ব্যক্তি ইহাতে হজ্জের নিয়্যত করে (ইহরাম বেঁধে) সে যেন হজ্জের সময় যৌন, পাপাচার এবং ঝগড়া বিবাদ না করে। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৭)
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ করলে তার কাফফারার বর্ণনা
হজ্জের বিধান পালনে নিষিদ্ধ কাজ করে ফেললে তার কাফফারা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ
-আর যদি তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকে বা মাথায় সমস্যা থাকে (অতঃপর সে যদি ইহরাম অবস্থায় মাথা মু-িয়ে ফেলে) তবে সে রোযা বা সাদাকাহ বা কুরবানী দ্বারা ফিদইয়া দিবে। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৬)
ইহরাম অবস্থায় যা শিকার করা বৈধ আর যা শিকার করা বৈধ নয়
ইহরাম অবস্থায় মুহরিমের জন্য যা শিকার করা বৈধ আর যা শিকার করা বৈধ নয় তা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ مَتَاعًا لَكُمْ وَلِلسَّيَّارَةِ وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًا
-তোমাদের জন্য জলজ শিকার ধরা এবং খাওয়া হালাল করা হয়েছে, তোমাদের এবং ভ্রমণকারীদের উপভোগের জন্য। আর তোমরা যতক্ষণ মুহরিম থাকো ততক্ষণ স্থলজ শিকার ধরা হারাম করা হয়েছে। (সূরা মায়িদা, আয়াত-৯৬)
ইহরাম অবস্থায় শিকার করলে তার কাফফারা
ইহরাম অবস্থায় শিকার করলে তার কাফফারা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا لِيَذُوقَ وَبَالَ أَمْرِهِ عَفَا اللَّهُ عَمَّا سَلَفَ وَمَنْ عَادَ فَيَنْتَقِمُ اللَّهُ مِنْهُ وَاللَّهُ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ
-হে মুমিনগণ, তোমরা ইহরাম অবস্থায় শিকার বধ করো না। তোমাদের মধ্যে যে জেনেশুনে শিকার বধ করবে, তার উপর বিনিময় ওয়াজিব হবে, যা সমান হবে ঐ জন্তুর, যাকে সে বধ করেছে। দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এর ফায়সালা করবে-বিনিময়ের জন্তুটি উৎসর্গ হিসেবে কাবায় পৌঁছাতে হবে। অথবা তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে যে, কয়েকজন দরিদ্রকে খাওয়ানো অথবা তার সমপরিমাণ রোযা রাখতে যাতে সে স্বীয় কৃতকর্মের প্রতিফল আস্বাদন করে। যা হয়ে গেছে, তা আল্লাহ মাফ করেছেন। যে পুনরায় এ কান্ড করবে, আল্লাহ তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিবেন। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম। (সূরা মায়িদা, আয়াত-৯৫)
হাযির পাথেয় যোগাড় করা
হজ্জের বিধান পালনে পথের পাথেয় সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى
-আর তোমরা পাথেয় যোগাড় করো। জেনে রেখো, তাকওয়াই সর্বোত্তম পাথেয়। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৭)
কা’বা ঘরের তাওয়াফ ও তাতে অন্যান্য ইবাদত করা
হজ্জের বিধান পালনের ক্ষেত্রে কা’বা শরীফে তাওয়াফ ও অন্যান্য ইবাদত পালন করা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
-আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছি যে, তোমরা দুইজনে আমার ঘরকে তাওয়াফকারী এবং নামাযীদের জন্য পবিত্র রাখবে। (সূরা বাকারা, আয়াত-১২৫)
অন্য আয়াতে এসেছে,
وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
-আর তুমি (হে ইবরাহীম) আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, কিয়ামকারী ও রুকু-সিজদাকারীর জন্য পবিত্র রাখো। (সূরা হজ্জ, আয়াত-২৬)
তাওয়াফের পর দুই রাকাআত নামায
মাকামে ইবরাহীমে নামায সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى
-আর তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান হিসেবে গ্রহণ করো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১২৫)
সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করা
সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا
-নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয় আল্লাহ তাআলার নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে বাইতুল্লাহয় হজ্জ বা উমরাহ করে এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করাতে তার কোনো দোষ নেই। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৫৮)
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান ও প্রত্যাবর্তন
হজ্জের বিধান পালনে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান ও প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ
-অতঃপর যখন তোমরা আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৮)
মুজদালিফায় অবস্থান
হজ্জের বিধান পালনে মুজদালিফায় অবস্থান সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ
-অতঃপর যখন তোমরা আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করো, তখন মাশআরে হারামে (মুজদালিফায়) আল্লাহ তাআলার যিকর করো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৮)
মুজদালিফা থেকে প্রত্যাবর্তন
হজ্জের বিধান পালনে মুজদালিফা থেকে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ
-অতঃপর মানুষেরা যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৯)
আইয়ামে তাশরীকে তাকবীর বলা, মীনায় কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলা
হজ্জের বিধান পালনে তাকবীর পাঠ সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ
-আর তোমরা নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর যিকর করো। অতঃপর যে ব্যক্তি তাড়াতাড়ি করে দু’দিনে ফিরতে চায় তার কোনো পাপ নেই। আর যে দেরি করে তারও কোনো পাপ নেই। (সূরা বাকারা, আয়াত-২০৩)
হজ্জে কিরান ও তামাত্তুকারীর জন্য কুরবানী করা বা ১০টি রোযা রাখা
হজ্জের বিধান পালনে হজ্জে কিরান ও তামাত্তুকারীর জন্য কুরবানী করা বা ১০টি রোযা রাখা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
-আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ উমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যা কিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কুরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জের দিনগুলোর মধ্যে রোযা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনে রেখো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৬)
কুরবানীর পর মাথা মুণ্ডানো বা চুল খাটো করা
হজ্জের বিধান পালনে কুরবানীর পর মাথা মু-ানো বা চুল খাটো করা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ
-আর তোমরা মাথা মু-ন করো না যতক্ষণ না হাদী জানোয়ার তার যবেহের স্থানে না পৌঁছায়। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৬)
অন্য আয়াতে এসেছে,
لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ مُحَلِّقِينَ رُءُوسَكُمْ وَمُقَصِّرِينَ لَا تَخَافُونَ
-অবশ্যই তোমরা মসজিদে হারামে আল্লাহর ইচ্ছায় নিরাপদ, মাথামুণ্ডিত ও চুল কর্তিত অবস্থায় প্রবেশ করবে এমন অবস্থায় যে, তোমরা কিছু ভয় করবে না। (সূরা ফাতাহ, আয়াত-২৭)
তাওয়াফে যিয়ারত করা
হজ্জের বিধান পালনে তাওয়াফে যিয়ারত করা সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ
-আর তারা যেন প্রাচীর ঘরের তাওয়াফ করে। (সূরা হজ্জ, আয়াত-২৯)
ইহরামের পর বাধাগ্রস্থ হলে করণীয়
হজ্জের বিধান পালনে ইহরামের পর বাধাগ্রস্থ হলে করণীয় সম্পর্কে আল কুরআনে এসেছে,
فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ
-আর যদি তোমরা বাধাগ্রস্থ হও তবে হাদী জানোয়ার থেকে যা কিছু সহজলভ্য হয় তা কা’বায় পাঠিয়ে দাও এবং হাদী তার যবেহের স্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত তোমরা মাথা মু-ন করো না। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৯৬)
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, হজ্জ এমন একটি ইবাদত যার মৌলিক বিষয়গুলো আল-কুরআনে এসেছে। আর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে হাদীস শরীফে। আমাদের উচিত এ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা। আল্লাহ আমাদের জীবনে বারবার হজ্জে মাবরূর নসীব করুন। আমীন!