1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
আল্লাহর ওলীদের সাথে শত্রুতার পরিণাম
মোহাম্মদ নজমুল হুদা খান
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হাদীসের মূল ভাষ্য

عَنْ أَبِي هُرَيْرَة رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إنَّ اللهَ تَعَالٰى قَالَ: “مَنْ عَادٰى لِي وَلِيًّا فَقْد آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ، وَمَا تَقَرَّبَ إلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُهُ عَلَيْهِ، وَلَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ، فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ، وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ، وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ، وَلَئِنِ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ”. رواه البخاري

অনুবাদ: হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, যে আমার কোনো ওলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করে আমি তার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম। আমি বান্দার উপর যা ফরয করেছি আমার নিকট তা থেকে অধিক প্রিয় এমন কোনো বিষয় নেই যা দ্বারা বান্দা আমার অধিক নৈকট্য অর্জন করতে পারে। আর আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। এমনকি আমি তাকে ভালোবেসে নেই। যখন আমি তাকে ভালোবাসি তখন আমি তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে, আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে, আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে, আমি তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। যদি সে আমার নিকট কোনো কিছু চায় তাহলে আমি অবশ্যই তাকে তা প্রদান করি। যদি সে আমার নিকট আশ্রয় চায় তাহলে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দান করি। (বুখারী, হাদীস-৬০৫৮)
হাদীসের মূলকথা
আলোচ্য হাদীসটি হলো হাদীসে কুদসী। যে হাদীসে আল্লাহ বলেছেন বা অনুরূপ কথা রয়েছে কিংবা যে হাদীসের কথা আল্লাহ তাআলার দিকে সম্পর্কিত সে হাদীসকে হাদীসে কুদসী বলা হয়। এ হাদীসে আল্লাহর ওলীদের সাথে শত্রুতার পরিণাম ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পদ্ধতির পাশাপাশি ওলীদের মর্যাদা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
ওলীর পরিচয়
ওলী শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো, বন্ধু, অভিভাবক, ঘনিষ্ট বা নিকটজন ইত্যাদি। ওলীআল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি ঈমান ও তাকওয়ার গুণে বিভূষিত হয়ে আল্লাহর কুরবত বা নৈকট্য লাভ করে থাকেন।
পবিত্র কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ- الَّذِينَ آمَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ

-জেনে রাখো, আল্লাহর ওলীদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। তারা সেসকল লোক, যারা ঈমান এনেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে। (সূরা ইউনুস, আয়াত ৬২-৬৩)
এ আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবন কাসীর (র.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা (এ আয়াতে) সংবাদ প্রদান করেন যে, যারা ঈমান এনেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে তারাই তাঁর ওলী। সুতরাং প্রত্যেক তাকওয়াবান ব্যক্তিই আল্লাহর ওলী। (তাফসীরে ইবন কাসির, খ- ৪, পৃষ্ঠা ২৭৮)
হযরত ইবন আব্বাস ও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)সহ একাধিক সালফে সালিহীন থেকে বর্ণিত আছে যে, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয় তারাই আল্লাহর ওলী। (প্রাগুক্ত)
আল্লামা ইবন হাজার আসকালানী (র.) বলেন, যিনি আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, সর্বদা তাঁর আনুগত্য করেন এবং তাঁর ইবাদতে একনিষ্ঠ থাকেন তিনিই আল্লাহর ওলী। (ফাতহুল বারী, খ- ১১, পৃষ্ঠা ৩৪২)
ব্যাপকার্থে যিনি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ঈমান রেখে তাঁর আনুগত্য ও ইবাদতে জীবন পরিচালনা করেন, তাঁর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকেন, হালাল গ্রহণ করেন, হারাম বর্জন করেন এবং প্রবৃত্তির মন্দ চাহিদা থেকে বিমুখ থেকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেন তিনিই আল্লাহর ওলী।
আল্লাহর ওলীদের সাথে শত্রুতার পরিণাম
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, مَنْ عَادٰى لِي وَلِيًّا فَقْد آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ -যে আমার কোনো ওলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করে আমি তার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম।
এখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর ওলীদের সাথে যারা শত্রুতা পোষণ করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এটি অত্যন্ত কঠোর সতর্কবাণী। আল্লাহর ওলীগণ ঈমান ও তাকওয়ার গুণে বিভূষিত হয়ে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেন। তারা স্বীয় প্রবৃত্তির চাহিদা উপেক্ষা করে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন এবং তাঁর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রম করেন না। ফলে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হন। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ধন্য এমন মানুষদের সাথে যখন কেউ শত্রুতা পোষণ করে এবং তাদের কষ্ট দেয় তখন আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। ফলে স্বয়ং আল্লাহ তার প্রতিপক্ষ হয়ে যান। আর আল্লাহ যার প্রতিপক্ষ হয়ে যান এবং যার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দেন সে ব্যক্তির ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে।
আল্লাহ যে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন বরং এর অর্থ হলো তিনি তাকে সমুচিত শাস্তি দিবেন। তিনি কীভাবে শাস্তি দিবেন সেটা তাঁর ইচ্ছাধীন। আল্লাহর ওলীদের সাথে শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এরকম বহু বর্ণনা ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থসমূহে পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় আল্লাহ এমন সূক্ষ্ম শাস্তি প্রদান করেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শাস্তির বিষয় অনুধাবনও করতে পারে না। সুতরাং আল্লাহর ওলীদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করা উচিত। আমাদের সতর্ক থাকা উচিত যেন আল্লাহর কোনো ওলীর সাথে আমাদের দ্বারা কোনো মন্দ আচরণ না হয়। তাদের কারো প্রতি যেন আমরা কোনো বিদ্বেষ পোষণ না করি।
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মূল মাধ্যম
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, وَمَا تَقَرَّبَ إلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُهُ عَلَيْهِ -আমি বান্দার উপর যা ফরয করেছি আমার নিকট তা থেকে অধিক প্রিয় এমন কোনো বিষয় নেই যা দ্বারা বান্দা আমার অধিক নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
এখানে আল্লাহ ফরয প্রতিপালনকে তাঁর নৈকট্য অর্জনে সবচেয়ে প্রিয় মাধ্যম হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বান্দার উপর অনেক আমল ও বহু বিষয় ফরয হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন। যেমন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা, শিরক না করা, পাঁচওয়াক্ত নামায আদায় করা, রামাদান মাসের রোযা রাখা, সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য যাকাত দেওয়া, হজ্জ করা, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ইত্যাদি। সব ধরনের হারাম থেকে বেঁচে থাকাও ফরয। তাই করণীয় ফরয প্রতিপালনের পাশাপাশি সব ধরনের হারাম থেকেও বেঁচে থাকা আবশ্যক। বিশেষত হারাম জীবিকা থেকে বেঁচে না থাকলে অনেক ফরয ও নফল ইবাদত বিনষ্ট হয়ে যায় এবং আল্লাহর দরবারে দুআও কবূল হয় না।
প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির জন্য ফরয প্রতিপালন করা অবশ্য কর্তব্য। যখন মুমিন ব্যক্তি ফরয বিষয়গুলো প্রতিপালন করে তখন সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। এমনকি কোনো মুমিন ব্যক্তি যদি কেবল ফরয প্রতিপালন করে; কোনো নফল আমল করতে সক্ষম নাও হয়, তবুও সে আল্লাহর কুরবত ও পরকালীন সফলতা লাভ করবে।
নফলের মাধ্যমেও আল্লাহর কুরবত হাসিল হয়
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, وَلَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ  -আর আমার বান্দা নফলের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। এমনকি আমি তাকে ভালোবেসে নেই।
এখানে নফলকেও আল্লাহ তাআলা তাঁর কুরবত বা নৈকট্য হাসিল ও ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যম হিসাবে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ ফরয প্রতিপালনের পাশাপাশি নফল ইবাদতের মাধ্যমেও বান্দা আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা লাভ করে থাকে। তাই আমাদের নফল ইবাদতের প্রতিও গুরুত্ব প্রদান করা উচিত।
এখানে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ফরয আমল পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। আর নফল আমল করলে সাওয়াব, না করলে গুনাহ নেই। তাই ফরয ও নফলকে এক করে দেখা কিংবা ফরযের উপর নফলকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথমত ফরয আমলের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এরপর সাধ্যমতো নফল আমলে মনোনিবেশ করতে হবে।
ওলীদের মর্যাদা
যখন আল্লাহ তার কোনো বান্দাকে ভালোবেসে নেন তখন সে মর্যাদার কোন স্তরে উন্নীত হয় সে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ، وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ، وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا، وَلَئِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ، وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ

-যখন আমি তাকে ভালোবাসি তখন আমি তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে, আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে, আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে, আমি তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। যদি সে আমার নিকট কোনো কিছু চায় তাহলে আমি অবশ্যই তাকে তা প্রদান করি। যদি সে আমার নিকট আশ্রয় চায় তাহলে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দান করি।
এখানে আল্লাহ তাঁর বান্দার কান, চোখ, হাত ও পা হয়ে যান মর্মে যে বর্ণনা এসেছে তা মূলত প্রকৃত অর্থে নয়; বরং উদাহরণ হিসাবে এসেছে। এর সারকথা হলো, আল্লাহ তাঁর বান্দার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে স্বীয় নির্দেশের অনুগামী করে দেন। ফলে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইরে কোনো কিছু করার চিন্তা করতে পারে না। সে আপন কান দিয়ে কেবল আল্লাহর কথাই শুনে, চোখ দিয়ে কেবল আল্লাহর নির্দেশিত জিনিস দেখে, হাত দিয়ে আল্লাহর নির্দেশিত জিনিস ধরে, পা দিয়ে কেবল আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলে।
এ হাদীসাংশের সারকথা হলো, আল্লাহর প্রিয় বান্দা যখন স্বীয় মনিবের ইবাদত-বন্দেগী করতে করতে তাঁর ভালোবাসায় নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করে তখন এর বিনিময়ে সে আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করে এবং এমন এক অবস্থায় পৌঁছে যে, তার চলাফেরা, উঠাবসা, আচার-ব্যবহার এককথায় তার জীবনের সকল কর্ম আল্লাহর আদেশ-নিষেধের অধীন হয়ে যায়। তখন তার কান, চোখ, হাত, পাসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নিজস্ব কোনো চাহিদা থাকে না। আল্লাহর ইচ্ছা, চাহিদা ও  নিয়ন্ত্রণে এগুলো পরিচালিত হয়।
বান্দা যখন এমন স্তরে উন্নীত হয় তখন সে ‘মুস্তাজাবুদ দাওয়াত’ হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁর দুআ আল্লাহর দরবারে মকবূল হয়। ফলে সে আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তাকে তা দান করেন এবং কোনো কিছু থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইলে আল্লাহ তাকে তা থেকে আশ্রয় দেন।
শেষ কথা
ওলায়ত তথা আল্লাহর ওলী হওয়া বান্দাদের জন্য একটি বিশেষ স্তর। ঈমান ও তাকওয়ার ভিত্তিতে এ স্তর অর্জিত হয়। তাকওয়ার গুণে বিভূষিত প্রত্যেক মুমিনই আল্লাহর ওলী। এটি ওলায়াতের সাধারণ স্তর। এর পাশাপাশি যথাযথভাবে ফরয প্রতিপালন ও বেশি করে নফল ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে একজন মুমিন ওলায়াতের শীর্ষস্তরে আরোহন করে। আল্লাহ তাঁর ওলীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণের সুসংবাদ দিয়েছেন এবং তাদের সাথে যারা শত্রুতা পোষণ করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর ওলীদের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। তাদের কারো সমালোচনা, সম্মানহানি কিংবা কথা ও কাজে তাদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কখনো কখনো কেউ কেউ নিজ সিলসিলার ওলী-বুযুর্গের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে গিয়ে অন্য সিলসিলার ওলী-বুযুর্গের সম্মানহানি করে ফেলেন। এ থেকেও বিরত থাকা উচিত।

ফেইসবুকে আমরা...