Logo
ফজরের নামায প্রতিদিন সূর্যোদয় হবার দুই ঘণ্টা পরে পড়লে এতে কি নামায হবে?
Reporter Name
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রশ্ন: এক ব্যক্তি ফজরের নামায প্রতিদিন সূর্যোদয় হবার দুই ঘণ্টা পরে পড়তে অভ্যস্ত। এতে কি তার নামায হবে? বিনা ওযরে নামায বিলম্বিত করার কারণে তার কোনো গুনাহ হবে কি?

সালাহ উদ্দীন
ভুকশিমইল, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার

জবাব দিচ্ছেন-
মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, আমেরিকা।

জবাব: যেকোনো ফরয নামায তার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করা ফরয। বিনা ওযরে ফরয নামায ছেড়ে দেওয়া কিংবা সময়ের মধ্যে আদায় না করা কবীরা গুনাহ। আর ফজরের নির্দিষ্ট সময় হচ্ছে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। তাই কেউ সর্বদা সূর্যোদয়ের পর ফজরের নামায পড়তে অভ্যস্ত হয়ে থাকলে প্রথমত তার পূর্বে কৃত কবীরা গুনাহের জন্যে তাওবা করা উচিত। আর যেহেতু অসময়ে হলেও কাযা হিসেবে সে নামাযগুলো পড়েছে, তাই পূণর্বার কাযা করার প্রয়োজন নেই। তবে পরবর্তীতে তাকে এ বদভ্যাস পরিহার করত যথাসময়ে নামায আদায়ের অভ্যাস করে নেয়া আবশ্যক।

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...