1. redwan.iub@gmail.com : admin2021 :
  2. admin@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
  3. editor@parwana.net : Parwana Net : Parwana Net
Logo
নাবালকের রোযা রাখা এবং রোযা ফরয হওয়ার বয়স
ইমাদ উদ্দীন
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২

ইসলাম মানবজীবনের সকল বিষয়ে সুন্দর নির্দেশনা প্রদান করে। এই নির্দেশনার পূর্ণ অনুসরণ মানুষকে ক্ষতি থেকে দূরে রাখে এবং কল্যাণের দিকে নিয়ে যায়। এজন্যই ইসলাম ধর্ম হলো পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের সকল বিধান সবার উপর সবসময় আবশ্যক থাকে না। সময় ও পরিস্থিতিভেদে হুকুম ভিন্ন হয়। যেমন, ইসলাম নাবালক এর জন্য তার শারঈ বিধানকে আবশ্যক করেনি। এক্ষেত্রে নির্দেশনা হলো, নাবালক বাচ্চাদের দ্বীনী শিক্ষার উপর বড় করা, যাতে করে সাবালক হলে ইসলামের আদেশ মানা তার জন্য সহজ হয়। রোযার বেলায়ও তাদের ক্ষেত্রে একই হুকুম। আমাদের সমাজে নাবালকের রোযা রাখা এবং তার রোযা ফরয হওয়ার বয়স সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখা প্রয়োজন।

নাবালকের রোযা রাখা
মুসলমান, প্রাপ্তবয়স্ক, বোধশক্তিসম্পন্ন সকল ব্যক্তি শারঈ ওযর ব্যতীত রামাদানের রোযা রাখা ফরয। ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিলে কবিরা গুনাহ হবে। এই গোনাহের শাস্তি জগতের সবচেয়ে কঠিন শাস্তির চেয়েও কঠিন এবং আরও বেশি সময়জুড়ে। অন্যদিকে নাবালকরা রোযা রাখার আবশ্যক আদেশের বাইরে। তাদের জন্য সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত অবকাশ রয়েছে। শুধু রোযার ক্ষেত্রে নয়, বরং ইসলামী শরীআতের সকল আবশ্যক হুকুম থেকে তারা ছাড় পায়। এই সময় তাদেরকে ইসলামী শরীআত মানার জন্য প্রস্তুত করা হয়। তাদেরকে বিভিন্ন হুকুম আহকাম সম্পর্কে অবগত করা হয়। এতে করে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে সহজেই শরীআত অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করতে পারে। আল্লামা ইবনু বাত্তাল আল মালিকি (র.) (৪৪৯ হি.) বলেন,

أجمع العلماء أنه لا تلزم العبادات والفرائض إلا عند البلوغ، إلا أن كثيرًا من العلماء استحبوا أن يدرب الصبيان على الصيام والعبادات رجاء بركتها لهم، وليعتادوها، وتسهل عليهم إذا لزمتهم

-উলামারা ঐকমত্য করেছেন যে, বালেগ না হওয়া পর্যন্ত ফরয ও অন্যান্য হুকুম পালন আবশ্যক নয়। তবে অধিকাংশ আলেমগণ বাচ্চাদের বিভিন্ন আমলে অভ্যস্ত করতে এবং পরিণত বয়সে উপনীত হলে শরীআত মানা সহজ করার মানসে ও শিশুদের জন্য বরকত লাভের আশায় তাদেরকে রোযার পাশাপাশি অন্যান্য আমলের প্রশিক্ষণ দেয়া মুস্তাহাব মনে করতেন। (শারহু সহীহিল বুখারী, ৪/১০৭)
এই আবেদন থেকেই অভিভাবকরা বাচ্চাদের প্রশিক্ষণের জন্য মাঝে মাঝে রোযা রাখার তাগিদ দেন। তাই মুসলিম নাবালকরা নয়-দশ বছর বয়সেই রোযা রাখা শুরু করে। আবার প্রায়ই দেখা যায় এর চেয়ে কম বয়সের শিশুরা নিজ ইচ্ছায় রোযা রাখার চেষ্টা করছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কারণ ছোটবেলার শিক্ষা হল শেকড়তুল্য। আরবী প্রবাদে আছে- الْعِلْمُ فِي الصِّغَرِ كَالنَّقْشِ علي الْحَجَرِ “ছোটবেলার শিক্ষা পাথরে খোদাই করা নকশার মত দীর্ঘস্থায়ী।” অর্থাৎ, ছোটবেলা যে শিক্ষা লাভ করবে, তা মনে থাকবে চিরকাল। এই শিক্ষা ব্যক্তির চলাফেরা, ব্যবহার এবং অভ্যাসে প্রভাব ফেলবে। তাই সচেতনমহল ছোটবেলার সঠিক শিক্ষা আর সঠিক অভ্যাস গড়ার জন্য খুব গুরুত্ব দেন। মেধাবী সন্তানরাও ছোটবেলা থেকে নিজেকে প্রস্তুত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীরা তাদের সন্তানদের শিশুকাল থেকেই রোযা রাখায় অভ্যস্ত করে তুলতেন। বুখারী শরীফে রুবাইয়ি বিনতু মুআওয়ীয (রা.) থেকে এ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিন সকালে আনসারী সাহাবীদের পল্লীতে নির্দেশ দেন, ‘যে ব্যক্তি রোযাহীন অবস্থায় আছে, সে যেন দিনের বাকি সময় না খেয়ে কাটায়। আর যে রোযা অবস্থায় আছে, সে যেন রোযা পূর্ণ করে। শেষে বর্ণনাকারী রুবাইয়ি বলেন,

فَكُنَّا نَصُومُهُ بَعْدُ، وَنُصَوِّمُ صِبْيَانَنَا، وَنَجْعَلُ لَهُمُ اللُّعْبَةَ مِنَ الْعِهْنِ، فَإِذَا بَكَى أَحَدُهُمْ عَلَى الطَّعَامِ، أَعْطَيْنَاهُ ذَاكَ حَتَّى يَكُونَ عِنْدَ الْإِفْطَارِ

-এরপর থেকে আমরা আশুরার দিনে রোযা রাখতাম এবং আমাদের ছোট সন্তানদের রোযা রাখাতাম। আমরা বাচ্চাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করতাম। কোনো বাচ্চা খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে খেলনা দিয়ে ইফতার পর্যন্ত শান্ত রাখতাম। (আল-জামিউস সহীহ, হাদীস নং-১৯৬০)
বুখারী শরীফের উপরিউক্ত অধ্যায়ের আলোচ্য পরিচ্ছেদেই দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা.) থেকে একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ আছে-

قَالَ عُمَر رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لِنَشْوَانٍ فِي رَمَضَانَ وَيْلَكَ، وَصِبْيَانُنَا صِيَامٌ فَضَرَبَهُ

-উমর (রা.) রামাদানে দিনের বেলা নেশাগ্রস্ত এক ব্যক্তিকে বলেন, তোমার ধ্বংস হোক! তুমি নেশা করছ অথচ আমাদের বাচ্চারাও রোযা রাখছে! পরবর্তীতে উমর (রা.) তাকে শাস্তি দেন। (প্রাগুক্ত, বুখারী)
এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে অনুসরণীয় যুগ তথা সাহাবীদের যুগে তারা নাবালক সন্তানকে রোযা রাখাতেন এবং সেই সোনালি যুগে বাচ্চারাও রোযা রাখায় অভ্যস্ত ছিল।
নাবালেককে রোযা রাখানোর কিছু পদ্ধতি
বাচ্চাদের রোযা রাখানোর ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। নাবালক সন্তান রোযা রাখার ইচ্ছা করলে অনেক পরিবারে তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয় না। সাহরীতে উঠতে চাইলেও তাদেরকে জাগানো হয় না। সঠিক ধারণার অভাবে ১০ বছর বয়সেও শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কায় অভিভাবকরা এমনটা করেন। কিন্তু এই সময় উচিত রোযার ব্যাপারে তাদেরকে আগ্রহী করে তোলা। এ বয়সে শিশুরা এই কষ্ট সহ্য করতে সক্ষম। এ বয়সে মাঝে মাঝে রোযা রাখা তাদের শারীরিক উপকারে আসে। তাদেরকে ছোটোকাল থেকে সংযমী করে তুলে। মুুসলিম পরিবারে শিশুদের রোযার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। অভিভাবকরা বাচ্চাদের রোযার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন-
 বাচ্চাদেরকে রোযা রাখার গুরুত্ব ও ফাদাইল সম্পর্কে অবগত করা।
 সাহরী ও ইফতারের সময় সাথে রাখা।
 রোযা রাখার জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
 সাবালক হওয়ার নিকটবর্তী বয়সে মাঝে মাঝে রোযা রাখার তাকিদ দেওয়া।
 রোযা রাখতে চাইলে বাধা না দেওয়া,
 রোযা রাখলে পূর্ণ করার জন্য খেলনা বা অন্য কিছুর মাধ্যমে মন ভুলিয়ে রাখা।
 সাহরী ও ইফতারের সাওয়াব বর্ণনার পাশাপাশি রোযা রাখলে তাদের পছন্দনীয় খাবারের আয়োজন করা।
 যদি রোযা রাখার কারণে তাদের শরীর খারাপ হয় কিংবা খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে খাবার খেতে দেওয়া।

রোযা ফরয হওয়ার বয়স
ইসলামী জীবনব্যবস্থায় দুইভাবে সাবালক হওয়া চিহ্নিত হয়। প্রথমত, শারীরিক বিশেষ পরিবর্তন ও আলামত প্রকাশের মাধ্যমে, এবং দ্বিতীয়ত নির্দিষ্ট বয়সে পদার্পণ করে। শারীরিক বিবেচনায় সাবালক হওয়ার ব্যাপারে হানাফী ফিকহের আলোকে রচিত বিখ্যাত ইসলামী আইনশাস্ত্রীয় কিতাব ‘রাদ্দুল মুহতার’, যা আমাদের নিকট ‘ফাতওয়ায়ে শামী’ নামে পরিচিত, সেখানে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন- ছেলের ব্যাপারে বলা হয়- بُلُوغُ الْغُلَامِ بِالِاحْتِلَامِ وَالْإِحْبَالِ وَالْإِنْزَالِ “ছেলেরা সাবালক হবে স্বপ্নদোষ হওয়া, গর্ভদান করা এবং বীর্য প্রবাহের সক্ষমতা লাভের মাধ্যমে।” মেয়েদের ক্ষেত্রে বক্তব্য হলো- وَالْجَارِيَةِ بِالِاحْتِلَامِ وَالْحَيْضِ وَالْحَبَلِ -আর মেয়েরা সাবালিকা হবে স্বপ্নদোষ, ঋতুস্রাব হওয়া এবং গর্ভধারণ করার মাধ্যমে। আর যদি উপরিউক্ত আলামত প্রকাশ না হয়, তাহলে বয়স দিয়ে বিবেচনা করা হবে। বয়সের ব্যাপারে বক্তব্য হলো-

فَحَتَّى يَتِمَّ لِكُلٍّ مِنْهُمَا خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً بِهِ يُفْتَي

-(আলামত ব্যতীত) ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে পূর্ণ পনেরো বছর হতে হবে। এই মতের উপরই ফাতওয়া। (রাদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার, ৬/১৫৩-১৫৪)
কারণ বুখারী-মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পনেরো বছর বয়সের সন্তানকে প্রাপ্তবয়স্কদের কাতারে গণ্য করেছেন। ফাতওয়ায়ে শামীতেও সে হাদীস আনা হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

عُرِضَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ أُحُدٍ فِي الْقِتَالِ وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَلَمْ يُجِزْنِي وَعُرِضَنِي يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً فَأَجَازَنِي

-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আমাকে চৌদ্দ বছর বয়সে উহুদ যুদ্ধে শরীক হওয়ার জন্য হাযির করা হলো। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিহাদে শরীক হওয়ার অনুমতি দেননি। আবার পনেরো বছর বয়সে খন্দক যুদ্ধের সময় হাযির করা হলো। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিহাদে শরীক হওয়ার অনুমতি দিলেন। (সহীহ মুসলিম, প্রাগুক্ত রাদ্দুল মুহতার ৬/১৫৩)
সুতরাং শিশুর ক্ষেত্রে উল্লিখিত শারীরিক কোনো এক বৈশিষ্ট্য দেখা দিলেই সে সাবালক। সাধারণত এই আলামতগুলো বারো বছর বয়সের দিকে প্রকাশ পায়। কিন্তু ভৌগলিক কারণ, বংশীয় বৈশিষ্ট্য বা ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে এ বয়সটা আরো বেশি বা কমও হতে পারে। যেমনই হোক, পনেরো বছরের আগে যে বয়সেই আলামতের কোনো একটি প্রকাশ হবে, সে বয়সে, সে সময় থেকেই সাবালক বলে গণ্য হবে। তখন আর বয়সের বিবেচনায় সাবালক হওয়ার অপেক্ষা করা যাবে না। যদি আলামত প্রকাশ না পায়, তাহলে হিজরী সাল তথা চন্দ্র বছরের গণনায় পনেরো বছর পূর্ণ হলে সাবালক হবে। তখন থেকে সে ব্যক্তির জন্য ইসলামের যাবতীয় হুকুম মেনে চলার সাথে সাথে রোযা রাখাও আবশ্যক হবে। এজন্য বুদ্ধিমান নাবালক সন্তানের কর্তব্য হল, নিজের সাবালক হওয়ার বিশেষ আলামত ও বয়সের ব্যাপারে নিজেই বেশি খেয়ালি হয়ে থাকা।
প্রসঙ্গত, প্রাপ্তবয়স্ক হলেও কিছু পরিস্থিতিতে রোযা ছাড়ার আদেশ এবং না রাখার অবকাশ রয়েছে। পুরুষের ক্ষেত্রে, মুসাফির অবস্থায় তথা নিয়ত করে কমপক্ষে ৪৮ মাইল ভ্রমণের যাত্রা করা; পাগল হয়ে যাওয়া; এমন অসুস্থ বা দুর্বল হওয়া, যার দরুণ রোযা রাখা সম্ভব নয় কিংবা রাখলেও বিরাট ক্ষতির আশংকা থাকে; জিহাদে মুজাহিদের অতি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বা তৃষ্ণা এবং ক্ষুধার জ¦ালায় জীবন নাশের শংকা থাকা (তখন প্রয়োজনীয় খাবার ভক্ষণ করে রোযা পূর্ণ করবে); কোনো জালিম কর্তৃক হত্যা বা অঙ্গ হানীর হুমকিতে পড়াÑএমন পরিস্থিতির স্বীকার ব্যক্তির জন্য রোযা ছাড়ার অবকাশ আছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে আরো কিছু অবস্থা যোগ হবে। মহিলাদের মাসিক ঋতু¯্রাব তথা পিরিয়ডের (হায়িয) সময় এবং সন্তান জন্মদানের পরবর্তী নিফাসকালীন (যতদিন পর্যন্ত রক্ত নির্গত হবে, তবে সর্বোচ্চ চল্লিশ দিন) মহিলাদের জন্য নামাজ ও রোযা কোনোটাই আদায় না করার আদেশ রয়েছে। মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ও ক্ষতির আশংকা থাকলে ছাড় রয়েছে। যদি দুগ্ধদানকারী মহিলা রোযা রাখার হেতু দুগ্ধপানকারী শিশুর শারীরিক ক্ষতির প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তখনও ইসলামে এই পরিস্থিতির শিকার মহিলাদের জন্য রোযা না রাখার সুযোগ আছে। (রাদ্দুল মুহতার, ২/৪২১-২৭)
উল্লিখিত সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে রামাদানের পর স্বাভাবিক হালতে ফিরে আসলে প্রতি রোযার জন্য একটি করে কাযা রোযা আদায় করতে হবে। আর যদি কেউ উল্লিখিত কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত খেয়ে বা সহবাসের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করে, তাহলে আবশ্যক হলো কাফফারা আদায় করা। কাফফারা স্বরূপ প্রতি রামাদানের রোযার জন্য একনাগাড়ে ষাটটি রোযা রাখতে হবে। এমনকি যদি কেউ ঊনষাটটি রাখার পরও ছেড়ে দেয়, তাহলে নিয়ম হল আবার এক থেকে গণনা শুরু করা। অন্যথা ষাটজন অসহায় মানুষকে দুই বেলা করে পেট ভরে খাবার খাওয়াতে হবে।
সকল মুসলমান অভিভাবকদের উচিত শিশুদের দীনি পরিবেশ ও আদর্শের উপর লালনপালন করা। তবেই সে সাবালক হলে ইসলামী নির্দেশনা গ্রহণ করে সহজেই জীবন সাজাতে পারবে। পাশাপাশি পরিণত হবে একজন আদর্শ মানুষে। নতুবা শরীআত মেনে চলা থেকে দূরে থাকবে বা মানতে চাইলেও কষ্টসাধ্য হবে। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদেরকে তাঁর এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভয় ও মহব্বত ধারণ করে ইসলামের পথে অটুট থাকার তাওফীক দেন। আমীন!

ফেইসবুকে আমরা...