Logo
নামাযের বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়ার হাকীকত
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৮ মে, ২০২১

নামাযের বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়ার হাকীকত জানতে চাই।

 প্রশ্নকারী: মো. হাবিবুর রহমান বাবলু
মল্লিকপুর, ছাতক, সুনামগঞ্জ

জবাব: নামাযে উভয় বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়া ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কিরামকে গুরুত্ব সহকারে নামাযের তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিতেন, যেমন গুরুত্ব সহকারে কুরআন মাজীদের সূরা শিক্ষা দিতেন। আল্লামা মুল্লা আলী কারী (র.) তদীয় সুপ্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘মিরকাতুল মাফাতীহ’ গ্রন্থে লিখেছেন, والتشهد حقيقة النطق بالشهادة، وإنما سمي التشهد دعاء لاشتماله عليه
-‘তাশাহহুদ’ প্রকৃত অর্থে শাহাদাতের বাক্য উচ্চারণকে বলা হয়। তাশাহহুদকে দুআও বলা হয়ে থাকে, যেহেতু এর মধ্যে দুআ বা প্রার্থনা রয়েছে।
আল্লামা কাযী আয়াদ (র.) লিখেছেন, وسمي الذكر المخصوص تشهدا لاشتماله علي كلمتي الشهادة
-নির্দিষ্ট দুআ বা যিকরকে তাশাহ্হুদ বলে নামকরণ করার কারণ হলো এতে সাক্ষ্যপ্রদানমূলক দুটি বাক্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...