পরওয়ানা কেবল একটি মাসিক পত্রিকার নাম নয় বরং একটি আধ্যাত্মিক মতাদর্শের মুখপত্র ও জাতীয় নৈতিক মূল্যবোধের বাহক।
যামানার মুজাদ্দিদ শামসুল উলামা হযরত আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯২ সালে জাতীয় মাসিক পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাঁর সঠিক নির্দেশনা ও নেক দুআর ফলে পত্রিকাটি অনন্য বৈশিষ্ট্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রম, সুদক্ষ সম্পাদনা ও মেধার প্রতিফলনে সময়ের ব্যবধানে পত্রিকাটি দেশ-বিদেশের বাংলাভাষী পাঠকের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ফলে পাঠকের আবেগের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সম্পাদক মহোদয়ের দ্বীনি ও মানবকল্যাণমূলক কাজের ব্যস্ততায় কিছুকাল থেকে পত্রিকাটি অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতায় নতুনদের অবস্থান বহু নিচে হলেও পূর্বসূরিদের পৃষ্ঠপোষকতায় পত্রিকাটি জানুয়ারি ২০২১ থেকে নিয়মিত প্রকাশ হবে ইন-শা-আল্লাহ।
…..
তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত হওয়া পৃথিবী ২০২০ সালে এসে ভিন্নরূপ ধারণ করেছে। চীনের উহান নগরী থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস শুধু দেশ থেকে দেশ কিংবা নগরী থেকে নগরীকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে এমন নয় বরং সামাজিক দূরত্ব নামক একটি নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছে। যা সমাজবদ্ধ মানুষের জন্য মেনে নেওয়া কষ্টকর। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে একটি বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন অথবা সময়ের ব্যবধানে দুর্বল হওয়ার গুড়ে বালি পড়ায় বিশ্ববাসীর চোখ এখন টিকার দিকে। আশার কথা হলো বেশ কয়েকটি টিকা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্বখ্যাত ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক বায়োঅ্যানটেক কোম্পানিই এক্ষেত্রে পথিকৃৎ। তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান মুসলিম দম্পতি উগার শাহিন ও ওজলেম তুরেসির হাতেই ফাইজার ও বায়োঅ্যানটেকের টিকাটি ধরা দেয়। যদিও রোগের ধরন পরিবর্তন ও স্বল্প সময়ের ট্রায়ালে টিকার সফলতার নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে মানবজাতি করোনা পরবর্তী পৃথিবীর জন্য উন্মুখ। মৃত্যুর বাস্তবতাকে করোনা মানবচিন্তার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসলেও আগামীর পৃথিবী কি এর সুফল ভোগ করবে? অন্যায়, পাপাচার, জুলুম, অভিচার ও চূড়ান্ত ভোগবাদী চিন্তা থেকে কি সরে আসবে মানুষ? হয়তো করোনা এ প্রশ্নের জবাবের জন্যই অপেক্ষা করছে। আবারো পৃথিবীতে ফিরে আসুক সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্বাভাবিক পরিবেশ।