Logo
মৃতের স্মরণে চল্লিশা, কুলখানি, কুরআখানি, শিরনির বিধান কি?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মৃতের স্মরণে ৪ দিনের কিংবা ৪০ দিনের প্রচলিত অনুষ্ঠান শরীআতের দৃষ্টিতে বৈধ কি না জানতে চাই।

প্রশ্নকারী: আব্দুল লতিফ

ছড়ারপার, বর্ষিজোড়া, মৌলভীবাজার

 

জবাব: মৃতের স্মরণে সাওয়াব রেসানীর জন্য যে কোনো নেক কাজ করে এর সাওয়াব রেসানী করা সব সময় বৈধ। আবশ্যকীয় মনে করে কোনো দিন তারিখ নির্দিষ্ট করা নাজায়িয। আবশ্যক মনে করা ব্যতীত কেবল ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে মৃতের সাওয়াব রেসানী (ঈসালে সাওয়াব) সহ যে কোনো বৈধ অনুষ্ঠান কোনো তারিখ নির্ধারণ করে আয়োজন শরীআতে জায়িয। তাই প্রচলিত ৪র্থ দিনের কিংবা ৪০ তম দিনের আয়োজন ঐ দিন-তারিখে না করলে হবে না এমন মনে করে করা বিদআত। এক্ষেত্রে আয়োজনকারীর নিয়ত বা উদ্দেশ্যের উপর বিষয়টির জায়িয বা নাজায়িয হওয়া নির্ভর করবে। যদি কেউ জনসমাগমের সুবিধার্থে ৪র্থ দিন বা ৪০ তম দিন বা অন্য যে কোনো দিনকে নির্দিষ্ট করে এবং সে এ ধারণা পোষণ করে, যে কোনো দিন এরূপ আয়োজন করা জায়িয রয়েছে, তাহলে তার সে আয়োজন বৈধ হবে। উল্লেখ্য যে, মৃতের ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সাধ্যমতো খাবার খাওয়ানো বৈধ। কিন্তু এটি শরীআতে আবশ্যকীয় কোনো বিষয় নয়। লোক-লজ্জার ভয়ে দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের খাবারের আয়োজন করা অনুচিত।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...