Logo
ফজরের ফরয নামাযের পর সুন্নাত পড়ার বিধান কি?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ফজরের ফরয নামাযের পর সুন্নাত পড়ার বিধান কি? কেউ পড়ে ফেললে গোনাহগার হবে কি?

জবাব: ফজরের সুন্নাত নামাযের গুরুত্ব অত্যধিক। অন্যান্য সকল সুন্নাত নামাযের উপর এর মর্যাদা শরীআতের দলীল প্রমাণে সাব্যস্ত। তাই ফজরের ফরয নামাযের জামাআত শুরু হয়ে গেলেও যদি সুন্নাত আদায় করে শেষ রাকআত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে প্রতীয়মান হয় তবে ফরযের আগে সুন্নাত পড়ে নিবেন। তবে কাতার থেকে দূরে মসজিদের বারান্দায় বা কোনো কোণায় বা খুঁটির আড়ালে পড়বেন। আর ফরযের আগে পড়া সম্ভব না হলে ইমাম মুহাম্মদ (র.) এর অভিমত অনুযায়ী উক্ত সুন্নাত সূর্যোদয়ের পর নিষিদ্ধ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় পড়ে নেয়া যায়। তবে উক্ত সুন্নাত নামায ফরয নামায আদায়ের পরে সুর্যোদয়ের আগে আদায় করা ফিকহে হানাফীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাকরূহ। উল্লেখ্য যে, হানাফী ফুকাহায়ে কিরামের ঐকমত্য অনুযায়ী ফজরের সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোনো সুন্নাতের কাযার বিধান নেই। (আল মাবসূত লিস সারাখসী, আল বাদাইউস সানায়ি, আল হিদায়াহ)

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্নকারী: মোহাম্মদ আব্দুল জলিল

সুনামগঞ্জ সদর, সুনামগঞ্জ

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...