আল্লাহ তাআলা মানুষ সৃষ্টি করে তাদের হিদায়াতের জন্য অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। নবীদের দাওয়াতে প্রজ¦লিত হিদায়াতের প্রদীপ ঈসায়ী ষষ্ঠ শতাব্দীতে এসে নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছিল। মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত সরল পথ বাদ দিয়ে প্রবৃত্তির অনুসরণ ও ভোগ-বিলাসে নিজেদের সঁপে দিয়ে ঘোর অমানিশায় ছিল নিমজ্জিত। ইতিহাসের সেই ক্রান্তিলগ্নে আল্লাহ মানবতাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ধরার বুকে পাঠালেন সায়্যিদুল মুরসালীন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়াতের নূর হিসেবে মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। তাঁর উপর অবতীর্ণ কিতাব আল-কুরআন (ওহী মাতলু) এবং তাঁর কথা, কাজ ও মৌন সম্মতি তথা আস-সুন্নাহ (ওহী গাইরু মাতলু) হচ্ছে সর্বযুগের মানুষের জীবন চলার পাথেয়। কুরআন-সুন্নাহ থেকে মানবজীবনের বিধানাবলি সুবিন্যস্তরূপে সাজানোর পদ্ধতিই হলো ইলমে ফিকহ।
‘আল-ফিকহ’ অর্থ হল- জানা, বুঝা, হৃদয়ঙ্গম করা, তীক্ষ্ণ উপলব্ধি ও গভীর বোধ ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবীগণের যুগে ‘ফিকহ’ শব্দ দ্বারা দীন ও শরীআতের ইলমকে বুঝানো হতো। কুরআন ও হাদীসের জ্ঞানে সমঝদার ব্যক্তিকে ‘ফকীহ’ বলার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلٰى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ.
-ইলমে দীনের অনেক বাহক তার অপেক্ষা অধিক সমঝদার লোকের নিকট তা পৌঁছে দেন। আর ইলমে দীনের অনেক বাহকই নিজেরা সমঝদার নন। (সুনানু আবূ দাউদ, কিতাবুল ইলম, বাবু ফাদলি নাশরিল ইলম, হা: ৩৬৬২)। রাসূলুল্লাহ (সা.) অন্যত্র বলেন,
مَنْ يُّرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُّفَقِّهْهُ فِى الدِّيْنِ
-“আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে তিনি দীনের ফিকহ (সঠিক উপলব্ধি) দান করেন”। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল ইলম, হা: ৭১; সহীহ মুসলিম, হা: ২৪৩৬)।
ফিকহ শব্দের এই অর্থটি ব্যাপকতাজ্ঞাপক। এতে আকীদা, আখলাক, তাযকিয়াতুন নাফস, মুআমালাতসহ দীনের সকল বিষয়ই ফিকহের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এ কারণেই ইমাম আবূ হানীফা (র.) ফিকহের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে,مَعْرِفَةُ النَّفْسِ مَا لَهَا وَمَا عَلَيْهَا -“ফিকহ হচ্ছে নাফসের জন্য কোনটি উপকারী এবং কোনটি অপকারী তা সম্মক অবগত হওয়া।” (আব্দুল আযীয আল বুখারী, কাশফুল আসরার, খ. ১, পৃ. ১১)। আর এ কথা সর্বজনবিদিত যে, তিনি তাঁর আকীদা বিষয়ক কিতাবের নাম রেখেছেন ‘আল-ফিকহুল আকবার’।
কুরআন ও সুন্নাহর পাশাপাশি ফিকহ শব্দের পৃথক ব্যবহার সাহাবায়ে কিরামের যুগ থেকেই লক্ষ্য করা যায়। যেমন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন,
أَفْضَلُ الجِهَادِ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا يُّعَلِّمُ فِيْهِ القُرْآنَ وَالْفِقْهَ وَالسُّنةَ.
-“শ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো, যে ব্যক্তি একটি মসজিদ তৈরি করল, যেখানে তিনি কুরআন, ফিকহ ও সুন্নাহর শিক্ষা দান করেন।” (কুরতুবী, আল-জামিউ লি আহকামিল কুরআনিল কারীম, খ. ৮, পৃ. ২৯৬)।
কালের পরিক্রমায় ইসলামী জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রকাশ পেতে থাকে। শেষ পর্যায়ে এসে ফিকহ শব্দটি ইসলামী আইনের সমার্থক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
ইলমুল ফিকহ হলো ওহী নির্ভর একটি আইনী ব্যবস্থাপনা। পবিত্র কুরআন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহ ও সাহাবীগণের বক্তব্যের মাধ্যমে ফিকহশাস্ত্রের ভিত্তি নির্মিত হয়েছিল। তখন ইসলামী আইনের একমাত্র উৎস ছিল আল-কুরআন ও আস-সুন্নাহ। কেননা যখনই কোনো সমস্যার উদ্ভব হতো বা কোনো মাসআলা জানার প্রয়োজন পড়ত, সাহাবীগণ তখনই রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শরণাপন্ন হতেন। তিনি কুরআন থেকে অথবা স্বীয় সুন্নাহর আলোকে তাদের জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। পরবর্তীতে সাহাবাযুগে কুরআন বা সুন্নাহে কোনো মাসআলার সুনির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে পাওয়া না গেলে বিশিষ্ট সাহাবীগণের বৈঠক হতো। মাসআলার সমাধানের ব্যাপারে বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হতো। এ ধরনের ঐকমত্যকে ‘ইজমা’ বলা হয়। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা না হলে অধিকাংশ সাহাবীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রয়াস লক্ষণীয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্ণয় সম্ভব না হলে খলিফা ইজতিহাদ (কিয়াস) করতেন এবং তা আইন হিসাবে সবাই মেনে নিতেন। ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব না হলে সাহাবীগণ পরস্পরের মতামতকে সম্মান করতেন।
আবূ বকর (রা.) এর খিলাফতকালে একবার তাঁকে ‘কালালাহ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এ সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। তাই তিনি বললেন,
إِنِّي سَأَقُوْلُ فِيْهَا بِرَأيِيْ فإنْ كَانَ صَوَابًا فَمِنَ اللهِ وَإنْ كَانَ خَطَأً فَمِنّي وَمِنَ الشَّيْطانِ أُراهُ مَاخَلا الوَالِدَ وَالوَلَدَ
-“আমি আমার মত অনুসারে ইজতিহাদ করব। যদি সঠিক হয়, তাহলে এটা হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে; আর ভুল হলে, তা হবে আমার পক্ষ থেকে এবং শয়তানের পক্ষ থেকে। আমার মনে হয়, ‘কালালাহ’ বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হয়, যার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী হিসেবে পিতা থাকে না, পুত্রও থাকে না।” (সুনানুদ দারিমী, কিতাবুল ফারাইদ, বাবুল কালালাহ, খ. ২, পৃ. ৪৬২, হা: ২৯৭২; ইবনুল কাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন, খ. ১, পৃ. ১০৫)।
অতঃপর উমর (রা.) খিলাফতের আসন অলংকৃত করেন। তিনি ‘কালালাহ’ এর ব্যাখ্যায় আবূ বকর (রা.) এর ইজতিহাদ সম্পর্কে বলেন,
إِنِّي لَأَسْتَحْيِيْ اللهَ أَنْ أَرُدَّ شَيْئًا قَالَهُ أَبُوْ بَكْرٍ
-“আমি আল্লাহর কাছে লজ্জাবোধ করছি যে, আবূ বকর (রা.) একটি কথা বলেছেন আর আমি তা প্রত্যাখ্যান করব।” (প্রাগুক্ত)
এভাবে আরও অনেক উদাহরণ পর্যালোচনা করলে এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয় যে, প্রথম খলীফা আবূ বকর (রা.)-এর শাসনামল থেকেই ইলমে ফিকহের চারটি উৎস তথা (১) কুরআন, (২) হাদীস, (৩) ইজমা (৪) কিয়াস অনুযায়ী শরীআতের বিধান নির্ধারণের পদ্ধতি কার্যকর ছিল। তাঁর পরবর্তী খলীফাগণ এবং সাহাবা-তাবেয়ী যুগের ফুকাহাগণ এই পদ্ধতিতেই ফতোয়া দিতেন। আরও কিছু উদাহরণের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেমন- দাদার মীরাস সম্পর্কে আবূ বকর (রা.) দাদাকে পিতার উপর কিয়াস করে বলেন, মীরাসের ব্যাপারে পিতার অবর্তমানে দাদার হুকুম পিতার মতোই। উমর (রা.) ইজতিহাদ করে যাকাত প্রদানের অন্যতম খাত ‘মুআল্লাফাতুল কুলুব’দের অংশ বন্ধ করে দেন, দুর্ভিক্ষের বছর চোরের হাত কাটার বিধান স্থগিত করেন, স্বামী নিরুদ্দেশ হয়েছে এমন নারীকে চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাকে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। হাদীস ও ফিকহ বিষয়ে যারা সামান্য জ্ঞান রাখেন, তাদের কাছে মুআয বিন জাবাল (রা.) এর ঘটনা তো খুবই প্রসিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন তাঁকে ইয়ামান প্রেরণ করেন, তখন বিচারের ফায়সালার পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে মুআয (রা.) বলেছিলেন, সমাধান খুঁজব প্রথমে কুরআনে, কুরআনে না পেলে সুন্নাহে, সুন্নাহে না পেলে আমার ‘রায়’ অনুসারে ইজতিহাদ করবো; এই জবাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) খুশি হয়ে তাঁর বুকে হাত রেখে আল্লাহর প্রশংসা করেছিলেন। প্রবন্ধের কলেবর সংক্ষেপ করার স্বার্থে বিস্তারিত না বলে কেবল ইঙ্গিত করা হলো। এরকম হাজারো নমুনা ফিকহ ও উসূলের কিতাবসমূহে জ¦লজ¦ল করছে। আজ যারা ফিকহের উৎসসমূহ নিয়ে প্রশ্ন উত্তাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়, তাদের কি একটুও ফুরসত নেই যে, তারা সাহাবীদের ফিকহী মানহাজ নিয়ে একটু গবেষণা করবে?
ইসলামী খিলাফতের সীমানা বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন নতুন অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার তাগিদে ফকীহ সাহাবীগণ (রা.) বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েন। উসমান (রা.) এর শাহাদাতের পর সাহাবীদের বিভিন্ন অঞ্চলে পাড়ি জমানোর মাত্রা বেশি লক্ষ্য করা যায়। যে অঞ্চলে যে সাহাবী গিয়েছেন, সে অঞ্চলে তাঁর ইজতিহাদের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। অনেক মাসআলায় মতপার্থক্য তৈরি হলেও সবাই পরমতসহিষ্ণু ছিলেন।
তৎকালে মদীনায় ফিকহী মাসআলা সমাধানের প্রধান দায়িত্ব পালন করতেন আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) ও যায়দ ইবনু সাবিত (রা.)। মক্কায় আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) এর নেতৃত্বে ফিকহী তালীম ও ফতোয়া প্রদানের কাজ চলতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ইরাকের কুফায় ফিকহ ও ফাতাওয়ার দায়িত্ব পালন করতেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.)। দ্বিতীয় খলীফা উমর (রা.) তাঁকে কুফার মুফতী ও গভর্নর করে পাঠান।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) এর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আলকামাহ ইবনু কাইস, মাসরুক ইবনুল আজদা (রা.)। তাঁদের মৃত্যুর পর কুফার ফিকহী দায়িত্ব পালন করেন, কাযী শুরাইহ, উবাইদাহ আস-সালমানী, আল-আসওয়াদ ইবনু ইয়াযিদ আন-নাখয়ী, ইবরাহীম আন-নাখয়ী, আমির ইবনু শুরাহবিল আশ-শা’বী প্রমুখ বিজ্ঞ ফকীহবৃন্দ।
আমির ইবনু শুরাহবিল আশ-শা’বী (রা.) এর কাছ থেকে যারা ফিকহ শিক্ষা অর্জন করেন তাদের মধ্যে ইমাম আবূ হানীফা নু’মান ইবনু সাবিত (র.) অন্যতম। আমির আশ-শা’বীর মৃত্যুর পর ইমাম আবূ হানীফা (র.) ইলম অর্জনের জন্য প্রসিদ্ধ ফকীহ তাবেয়ী ইবরাহীম আন-নাখয়ী (র.) এর বিশিষ্ট ছাত্র হাম্মাদ ইবনু আবী সুলাইমান (র.) এর সান্নিধ্য গ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ইমাম আবূ হানীফা (র.) তাঁর উস্তাযের দারসের আসনে সমাসীন হন। তিনি কুরআন-সুন্নাহর দলীল বিশ্লেষণ করে ফিকহী মাসাঈল উদঘাটনের ক্ষেত্রে যে বিচক্ষণতার পরিচয় দেন, তাতে তাঁর সুনাম দিক-বিদিক ছড়িয়ে পড়ে। ইলম পিপাসু নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ তাঁর দারসে বসতেন। তন্মধ্য থেকে সুযোগ্য ও বিশিষ্ট ছাত্রদের নিয়ে ৪০ সদস্যের একটি ফিকহী বোর্ড গঠন করেন। এ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন, ইমাম যুফার, ইমাম আবূ ইসমাহ, ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক, ইমাম আবূ ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ-শাইবানী ও ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু সায়ীদ আল-কাত্তান (র.) প্রমুখ। আর এই বিশেষজ্ঞ ফকীহগণের বোর্ডই ‘হানাফী মাযহাব’ হিসাবে পরিচিত। এই বোর্ডে ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর তত্ত্বাবধানে ফিকহী গবেষণা চলত। একাডেমিক তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা-পর্যালোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসলে তা লিপিবদ্ধ হত।
পরিশেষে বলব, ইলমুল ফিকহ হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর নির্যাস। হানাফী মাযহাব কোনো ব্যক্তি বিশেষের একক সিদ্ধান্তের উপর গড়ে ওঠেনি। একদল তীক্ষ্ণ মেধাবী ও বিজ্ঞ মুজতাহিদের গবেষণালব্ধ ফতোয়ার সমষ্টিই হল হানাফী মাযহাব। হানাফী মাযহাবের বিশেষ অবদান হল উপপ্রমেয়মূলক (Hypothetical) বিষয়ে ইজতিহাদ অর্থাৎ যেসব বিষয় এখনও সংঘটিত হয়নি, ভবিষ্যতে সংঘটিত হতে পারে-এমন বিষয়ে ইজতিহাদ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছা। এই কারণে অন্যান্য মাযহাবের তুলনায় এই মাযহাবের মাসআলার সংখ্যা বেশি। এই মাযহাবের ফকীহদের গবেষণার ফলাফল স্বরূপ প্রথম যুগেই ৮৩ হাজার মাসআলার সমাধান মুসলিম উম্মাহর হাতে আসে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে হানাফী মাযহাবের মাসআলার সংখ্যা কয়েক লাখ ছাড়িয়েছে। ধারাবাহিক গবেষণা এখনো চলমান। কিয়ামত পর্যন্ত যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শরয়ী সমাধান পেতে ফিকহে হানাফীর উসূল খুবই প্রয়োজনীয়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, যারা মাযহাব মানে না, তাদের অনেককেই দেখা যায় যে, আধুনিক কোনো বিষয়ে গবেষণামূলক কাজ করতে হলে হানাফী মাযহাবের কিতাবসমূহের দ্বারস্থ হচ্ছেন! আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের বুঝার তাওফীক দান করেন। আমীন।
লেখক: প্রভাষক (ইসলামী শিক্ষা), মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ