Logo
অনেক মানুষকে দেখা যায়, তারা সালাতের ভেতরেই আঙুল ফোটায় বা নখ কামড়ায়। সালাতের মধ্যে আঙুল ফোটানো ও নখ কামড়ানো যাবে কি?
জবাবদাতা: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১১ নভেম্বর, ২০২৫

কাজী আবুল কালাম আজাদ
ওসমানীনগর, সিলেট
প্রশ্ন: অনেক মানুষকে দেখা যায়, তারা সালাতের ভেতরেই আঙুল ফোটায় বা নখ কামড়ায়। সালাতের মধ্যে আঙুল ফোটানো ও নখ কামড়ানো যাবে কি?

জবাব: নামাযের মধ্যে আঙ্গুল ফোটানো ও নখ কামড়ানো উভয়টি মাকরূহে তাহরীমী। হাদীস শরীফে নামাযে আঙুল ফোটানো বিষয়ে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেউ কেউ বলেন- এটি কাওমে লূতের বদভ্যাস হিসেবে পরিগণিত। তাই কেউ কেউ অপ্রয়োজনে নামাযের বাইরেও মাকরূহ বলেছেন। আবার অনেকে একে শয়তানের কুমন্ত্রনার অন্তর্ভুক্ত মনে করেন। চার ইমাম ও অধিকাংশ ফিকহবিদ মনীষীর অভিমত অনুযায়ী নামাযে আঙুল ফোটানো মাকরূহ। তাছাড়া কোনো এক রুকুনে তিনবার বা ততোধিক করলে তা আমলে কাসীর হিসেবে নামায ভঙ্গের কারণ হবে। ইমাম ইবন হাযামের মতে- নামাযে ইচ্ছাকৃতভাবে হলে তা নামায ভঙ্গের কারণ বলে বিবেচিত হবে। সুনান ইবন মাজাহ কিতাবে বর্ণিত হাদীসে এসেছে-
عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: “لَا تُفَقِّعْ أَصَابِعَكَ وَأَنْتَ فِي الصَّلَاةِ”
-হযরত হারিস (রা.) হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ e ইরশাদ করেছেন, তুমি নামাযরত অবস্থায় আঙুল ফোটাবো না। (সুনান ইবন মাজাহ, হাদীস-৯৬৫)
এ সম্পর্কে আল বিনায়াহ শরহুল হিদায়াহ কিতাবে লিখেছেন-
وقال تاج الشريعة: وإنما يكره لأنه عمل قوم لوط فيكره التشبيه بهم. قلت: فعلى هذا يكره خارج الصلاة أيضا، وقال شيخ الإسلام: كره من الناس الفرقعة خارج الصلاة فإنها تلقين الشيطان، ولا خلاف لأحد من الأئمة الأربعة وغيرهم في كراهة فرقعة الأصابع وتشبيكها في الصلاة، وقال ابن حزم: إن تعمد فرقعة الأصابع أو تشبيكها أو تختم في غير الخنصر فصلاته باطلة.
(আল বিনায়াহ শরহুল হিদায়াহ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৩৭)
আন নাহরুল ফাইক্ব কিতাবে লিখেছেন-
وكره أيضًا (فرقعة الأصابع) وهو غمزها أو مدها لتصوت للإجماع عل كراهة ذلك فيها كذا في (الدراية)
(আন নাহরুল ফাইক, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৭৮-২৭৯)

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...