Logo
কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীর দুধ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে পান করে ফেলে, ঐ স্ত্রী কি স্বামীর জন্য জায়িয থাকবে, নাকি নাজায়িয হয়ে যাবে?
জবাবদাতা: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১০ নভেম্বর, ২০২৫

মো. আব্দুর রহমান রোমান
গিয়াসনগর, মৌলভীবাজার
প্রশ্ন: কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীর দুধ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে পান করে ফেলে, ঐ স্ত্রী কি স্বামীর জন্য জায়িয থাকবে, নাকি নাজায়িয হয়ে যাবে? জানালে উপকৃত হব।

জবাব: কোনো স্বামী তার স্ত্রীর দুধপান করলে উক্ত স্ত্রী তার জন্য হারাম হয় না। কেননা দুধ পানের কারণে কোন মহিলা কারো জন্য হারাম হওয়ার জন্য দু’বছর বয়সের মধ্যে দুধপান করা শর্ত। এ সম্পর্কে সুনান আত তিরমিযী গ্রন্থের হাদীসে এসেছে-
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏ “‏لاَ يُحَرِّمُ مِنَ الرَّضَاعَةِ إِلاَّ مَا فَتَقَ الأَمْعَاءَ فِي الثَّدْىِ وَكَانَ قَبْلَ الْفِطَامِ ‏”‏‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الرَّضَاعَةَ لاَ تُحَرِّمُ إِلاَّ مَا كَانَ دُونَ الْحَوْلَيْنِ وَمَا كَانَ بَعْدَ الْحَوْلَيْنِ الْكَامِلَيْنِ فَإِنَّهُ لاَ يُحَرِّمُ شَيْئًا.
-হযরত উম্মু সালামা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ e ইরশাদ করেছেন, দুধ ছাড়ানোর বয়সের পূর্বে স্তনের বোটা হতে শিশুর পাকস্থলীতে দুধ না গেলে দুধপানের নিষিদ্ধতা কার্যকর হয় না।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (র.) বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ e এর বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্যরা মত ব্যক্ত করেছেন। তাদের মতে, কোন শিশু দুই বছরের কম বয়সে দুধ পান করলেই বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন হারাম হবে। কিন্তু দুই বছরের পর দুধ পান করলে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপন হারাম হবে না। (সুনান আত তিরমিযী, হাদীস-১১৫২; পরিচ্ছেদ-باب ما جاءَ أنَّ الرَّضَاعةَ لا تُحَرِّمُ إلا في الصِّغَر دُونَ الحَوْلينِ)

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...