Logo
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর মুহব্বত ও আনুগত্য ছাড়া কি আখিরাতে মুক্তিলাভ হবে?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

একজন লোক এ বিশ্বাস পোষণ করে যে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এবং রাসূল (সা.) আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল। কিন্তু আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর মুহব্বত কিংবা আনুগত্যের প্রতি তেমন আগ্রহবোধ করে না। যদি সে ব্যক্তি ঈমান, ইসলামের প্রতি কোনোরূপ বিদ্বেষ পোষণ করে না এমন চরিত্রের হয় তাহলে পরকালে সে কি জান্নাতে যাওয়ার আশা রাখতে পারে?

প্রশ্নকারী: মো. রায়হান হোসেন, বর্ষিজোড়া, মৌলভীবাজার

জবাব:

কোনো ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) কে যথার্থভাবে বিশ্বাস করে নিলে অর্থাৎ কারো মাঝে তাওহীদ ও রিসালাতসহ দ্বীনের মৌলিক বিষয়ের বিশ্বাস থাকলে এটাকে তার ইজমালী বা সংক্ষিপ্ত ইমানের পর্যায়ভুক্ত ধরে নেয়া হবে। এ বিশ্বাসের উপর তার মৃত্যু হলে সে জান্নাতে যাওয়ার আশা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সে গোনাহের কারণে প্রথমে জাহান্নামে গেলেও পরিশেষে তার নাজাতের ব্যবস্থা হবে। এ মর্মে হাদীস শরীফে এসেছে,

عن معاذ بن جبل، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من كان آخر كلامه لا إله إلا الله دخل الجنة

-হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যার মৃত্যু পূর্ববর্তী শেষ কথা হবে “আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই” সে (এক সময়) জান্নাতে যাবে। (সুনানে আবী দাউদ, হাদীস নং-৩১১৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২২০৩৪)

আর কোনো বান্দা শিরক না করলে আল্লাহ চাইলে নিজ দয়ায় তাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।

কোনো ব্যক্তির মধ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি মুহব্বত ও আনুগত্যের কমতি কিংবা নেক আমলের প্রতি উদাসীনতা থাকলে সে ফাসিক (পাপাচারী) হিসেবে পরিগণিত হবে। তাকে কাফির বলা যাবে না। এটি হচ্ছে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আকীদাহ। উল্লেখ্য যে, খারিজী বাতিল ফিরকাহ এমন অপরাধী ব্যক্তিকে কাফির বলে থাকে।

 

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল  খতীবআল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগানযুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...