Logo
হালাল খাদ্য না খাওয়ার কসম করলে বিধান কি?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আমার এক ছেলে রাগের বশবর্তী হয়ে হালাল খাদ্যের কোনো একটি আর কোনো দিন খাবে না বলে কসম (শপথ) করে ফেলেছে। তার করণীয় কী? জানতে চাই।

প্রশ্নকারী: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মিশিগান, আমেরিকা

 

জবাব: যেকোনো হালাল বিষয় শপথ করে নিজের জন্য নিষিদ্ধ করলে শরীআতের নিয়মানুযায়ী তা ভঙ্গ করা অপরিহার্য এবং এক্ষেত্রে শপথ ভঙ্গের কাফফারার যে কোনোটি আদায় করা কর্তব্য।

পবিত্র কুরআন মাজীদের সূরা মায়িদার ৮৯ নং আয়াতে কাফফারার বিস্তারিত বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি বিষয়ের যেকোনো একটি করার মাধ্যমে এ কাফফারা আদায় করতে হবে। যথা: ১. দশজন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণির খাদ্য সকাল-বিকাল দুবেলা খাওয়াতে হবে কিংবা ২. দশজন দরিদ্রকে ‘সতর ঢাকা’ পরিমাণ পোশাক দিতে হবে (যেমন: একটি লুঙ্গি বা পায়জামা কিংবা লম্বা কোর্তা দিতে হবে) অথবা ৩. কোনো গোলাম মুক্ত করতে হবে। খাদ্য খাওয়ানোর পরিবর্তে খাদ্য দান করলেও চলবে। তাতে প্রত্যেক দরিদ্রকে একটি ফিতরা পরিমাণ (তথা ১৭৫০ গ্রাম গম বা আটার মূল্য) দিতে হবে।

উপরে বর্ণিত তিনটির কোনো একটি দিতে সমর্থ না হলে লাগাতার তিনটি রোযা রাখতে হবে। (রদ্দুল মুহতার, হিদায়াহ)

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...