আমাদের সমাজে প্রচলিত প্রথা যেমন:
ক) সকালে কোনো কিছু নগদ মূল্যে বিক্রয় করার আগে বাকি দেওয়া যাবে না
খ) সন্ধ্যায় বাকি দেওয়া যাবে না
গ) রাতে গাছ থেকে পাতা আনতে গাছের অনুমতি নিতে হবে ইত্যাদি। এ সকল কথা ও কাজ শরীআতের দৃষ্টিতে কতটুকু সঠিক? এ সম্পর্কে আমাদের করণীয় কী? জানতে চাই।
প্রশ্নকারী: আব্দুল লতিফ
ছড়ারপার, বর্ষিজোড়া, মৌলভীবাজার
জবাব: বর্ণিত কথাগুলো প্রচলিত কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। বরং প্রথম ও দ্বিতীয় বাক্য সরাসরি ইসলামী আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। কেননা নগদ ক্রয় করতে অসমর্থ কাউকে বাকি দেওয়া তার প্রতি অনুগ্রহ ও অনুকম্পার শামিল। ইসলাম এমন বিষয়ে সর্বদা উৎসাহিত করেছে। তাই কথাগুলো বাকি না দেওয়ার জন্যে ব্যবহৃত কৌশলগত বাহানা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তাছাড়া গাছের পাতা বা ফল সংগ্রহের ক্ষেত্রে দিনের বেলা যেমন তা সংগ্রহ করা জায়িয, কোনো প্রয়োজনে রাতেও তা সংগ্রহ করতে শরীআতে কোনো বাধা নেই। নিজে মালিক হলে কারো অনুমতি নেয়ারতো কোনো প্রয়োজন নেই। তবে অন্যের মালিকানাধীন হলে দিবা-রাত্র সর্বদা প্রকৃত মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে তা সংগ্রহ করা জরুরী। কোনো ইমানদারের জন্যে এসকল কুসংস্কারমূলক বিষয়ের কোনোটি আমলে নেয়া উচিত নয়। কারো মনে এসকল বিষয়ে কোনো দুর্বলতা থাকলে এগুলোর বিপরীত আমল করবে এবং তৎসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্ণিত নিম্নোক্ত দুআ পাঠ করবে:
اللهم لا طير الا طيرك ولا خير الا خيرك ولا حول ولا قوة الا بالله
-হে আল্লাহ! তুমি অকল্যাণ সৃষ্টি না করলে কোনো কিছুতে অশুভ ফলাফলের আশংকা নেই, তদ্রুপ কোনো কল্যাণও নেই তোমার কল্যাণ ছাড়া। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো মন্দ থেকে বাঁচবার এবং কোনো ভালো কাজ করার কারো কোনো সাধ্য নেই।
কোনো কোনো বর্ণনায় উক্ত দুআর শেষাংশে শব্দগত ভিন্নতা রয়েছে। এ হাদীসটি আল মু’জামুল কাবীর ও মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহসহ বিভিন্ন কিতাবে এসেছে)
জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র