Logo
পুরুষের জন্য নারী কণ্ঠের তিলাওয়াত শোনা অবৈধ
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৩ মে, ২০২১

মহিলাদের কণ্ঠে টিভি বা রেকর্ড প্লেয়ারে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ, নাত শোনা জায়িয কি না?

প্রশ্নকারী: সুয়েব আহমদ

সোবহানীঘাট, সিলেট

মহিলাদের কণ্ঠ গায়র মাহরাম পুরুষদের জন্য ফেৎনায় নিপতিত হওয়ার কারণ হওয়াতে তাদের কণ্ঠের তিলাওয়াত, হামদ, নাত ইত্যাদি শুনা নাজায়িয। পবিত্র কুরআন মজীদে নারীদেরকে গায়র মাহরাম পুরুষের সাথে একান্ত প্রয়োজনে কথা বলার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে যেন তারা মধুর আওয়াজে কথা না বলে, রুক্ষ বা কর্কষ আওয়াজে কথা বলে, যাতে পুরুষরা ফেৎনাগ্রস্ত না হয়।

পবিত্র কুরআন মাজীদে এ সম্পর্কে এসেছে-

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ ۚ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا

-হে নবী পতœীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মতো নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে কথা বলো না। কারণ, এতে যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।” (সূরা আহযাব, আয়াত-৩২)

নামাযে ইমামের ভুল হলে মহিলাদের লুকমা দেওয়ার পদ্ধতি হিসেবে মুখে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার পরিবর্তে হাত দ্বারা তালি বাজানোর কথা হাদীসে বর্ণিত  হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- ولأن في صوتهن فتنة فكره لهن التسبيح

-যেহেতু তাদের কন্ঠস্বরে ফেৎনার আশংকা বিদ্যমান তাই তাসবীহ বলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপছন্দনীয় মনে করেছেন। (আল বাহরুর রাইক, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯)

অনুরূপ মহিলাদের জন্যে নামাযে কিরাত নিঃশব্দে পড়ার বিধান করা হয়েছে। একই কারণে মহিলাদের জন্যে নামাযের আযান, ইকামত দেওয়ার বৈধতা নেই।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...