প্রশ্ন: নামাযে পুরুষদের জন্যে বুকের উপর হাত বাঁধা এবং রাফউল ইয়াদাইন করা কি সুন্নাত? সুন্নাত না হলে এমনটা করলে কোনো ক্ষতি হবে কি?
রীদা চৌধুরী
সাদাপুর, রাজনগর, মৌলভীবাজার
জবাব দিচ্ছেন-
মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, আমেরিকা।
জবাব: নামায দ্বীনের অপরিহার্য ইবাদাত। এতে মনগড়া নীতির অনুসরণ চলে না। দালিলিক বিশ্লেষণে যা সঠিক বলে প্রমাণিত তাই এক্ষেত্রে অনুসরণীয়। আর উপরোক্ত বিষয় দুটি সুন্নাত হওয়া নিয়ে শরীয়ত বিশেষজ্ঞ ইমামগণের মধ্যে মতভেদ বিদ্যমান। ইমাম শাফিঈ (র.) ও অন্য কোন কোন ইমাম কতিপয় হাদীসের আলোকে যদিও বিষয় দুটিকে সুন্নাত বলেছেন, কিন্তু এর বিপরীতে নাভির নীচে হাত বাধার ও তাকবীরে তাহরীমাহ ব্যতীত অন্য কোথাও রাফউল ইয়াদাইন না করার হাদীস অধিক শক্তিশালী প্রমাণিত হওয়ার কারণে ইমাম আবূ হানীফা (র.) শেষোক্ত আমলদ্বয়কে সুন্নাত বলে রায় দিয়েছেন। তাই অমুজতাহিদের জন্যে বিষয় দুটি নিজ নিজ ইমামের অভিমতের উপর আমলে নেয়া উচিত। কেননা পরস্পর বিপরীতমুখী বর্ণনার ক্ষেত্রে অমুজতাহিদের পক্ষে নিজস্ব মনগড়া কোনো পথ বের করার সুযোগ নেই। এমনকি এটা সরাসরি নফসের অনুসরণের শামিল হওয়াতে পরিত্যাজ্য। পবিত্র কুরআন মজীদে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, فسئلوا أهل الذكر إن كنتم لا تعلمون -তোমাদের জানা না থাকলে জ্ঞানীগনের নিকট জিজ্ঞাসা করো। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-০৭)