মাত্র কিছুদিন আগে ফ্রান্স সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র জনসমক্ষে প্রকাশের কারণে সারা মুসলিম বিশ্বে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছে। প্রতিটি মুসলিম দেশের নাগরিক সম্মিলিতভাবে বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই কর্মকা-ের বিরোধিতা করেছেন। অনেক মুসলিম দেশের সরকারপ্রধান এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ রাজপথের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বা অবমাননা এটাই প্রথম নয়।
এই ধরনের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রবণতা প্রথম শুরু হয়েছিল ডেনমার্কের ঔুষষধহফং চড়ংঃবহ পত্রিকাটির মাধ্যমে। ২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এই পত্রিকাটি হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ১২টি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে। এই সংবাদ যখন মুসলিম বিশ্বে জানাজানি হয়, তখন সারা মুসলিম জাহান এই আচরণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল।
ডেনমার্কের পত্রিকাটির মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের অবমাননার যে প্রবণতা শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের স্যাটায়ার পত্রিকা ঈযধৎষরব ঐবনফড় ডেনমার্ক থেকে প্রকাশিত কার্টুনগুলো আবারো প্রকাশ করে এবং সেই সাথে তাদের নিজেদের আঁকা আরো কয়েকটি কার্টুনও যুক্ত করে।
পত্রিকাটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যঙ্গ করার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে এই রকম আরো একটি ব্যঙ্গাত্মক প্রচারণা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় অফিসে বোমা হামলা হয় এবং পত্রিকাটির ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়। ২০১২ সালেও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের এই ধারা বজায় ছিল ।
সে সময় হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে এই ধরনের কর্মকা-ের প্রতিবাদ শুধুমাত্র মুসলিমদের পক্ষ থেকেই আসেনি, প্রতিবাদ এসেছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পক্ষ থেকেও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি যখন দুইজন বন্দুকধারী পত্রিকাটির অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি করে পত্রিকাটির দুইজন সম্পাদকসহ মোট ১২ জনকে হত্যা করলে দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে যায়। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, এই দুই বন্দুকধারী গুলি করার সময় “আল্লাহু আকবার” বলে চিৎকার করেছিল। তারা ছিল পরস্পর ভাই এবং আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক। নৃশংস হত্যাকা-টির কারণে রাতারাতি বিশ্ব জনমত চলে যায় মুসলিমদের বিপক্ষে। এর পূর্ব পর্যন্ত অনেকেই ফ্রি প্রেসের সুযোগ নিয়ে পত্রিকাটির এই ধরনের কার্টুন প্রকাশের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু মুসলিমরা এর প্রতিক্রিয়ায় হত্যাকা- ঘটিয়ে ফেললে, সাধারণ মানুষের সহানুভূতি হারায়। যারা এর আগে মুসলিমদের পক্ষে ছিলেন, তারাও এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদ জানিয়ে ঈযধৎষরব ঐবনফড় এর পক্ষাবলম্বন করেন। ফলে পত্রিকাটির জনপ্রিয়তা রাতারাতি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এর আগ পর্যন্ত পত্রিকাটি প্রতিদিন ৬০,০০০ কপি ছাপা হতো। কিন্তু ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হত্যাকা- পরবর্তীতে পত্রিকাটির প্রথম যে কপি ছাপা হয়েছিল, তা প্রায় ৫০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই পত্রিকাটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায় থেকে বিভিন্ন অনুদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সাংবাদিক-পেশাজীবীরা পত্রিকাটির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে “আমি শার্লি” (ও ধস ঈযধৎষরব) রাস্তায় মিছিল করেন। এই স্লোগানটি তখন মুখে মুখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। অথচ মুসলিমদের পক্ষ হতে এই দুই ভাই নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়ে এরকম একটি হত্যাকা- যদি না ঘটাত তাহলে বিশ্ব জনমত এভাবে পত্রিকাটির পক্ষে চলে যেত না।
যাই হোক, ঘটনার শেষ এখানে হলেই ভালো ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। ২০২০ সালে স্যামুয়েল প্যাটি নামক এক ফরাসি স্কুল শিক্ষক তার ক্লাসে শিক্ষার্থীদেরকে ফ্রি প্রেসের উদাহরণ দেখাতে গিয়ে শার্লি হেবদো’র আঁকা কার্টুনগুলো প্রদর্শন করেন। এই সংবাদ একজন দুজন করে ফ্রান্সের মুসলিম সমাজে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এরই প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি বংশোদ্ভূত এক চেচেন নাগরিক কয়েকদিন পর স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যা করে। হত্যাকা-টির প্রতিবাদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ঊসসধহঁবষ গধপৎড়হ প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার দেশের সরকারের ফ্রি প্রেসের নীতিকে সমর্থন জানাতে একটি সরকারি বিল্ডিংয়ে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুনগুলো আবারো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। মুসলিম বিশ্বে ইসলাম ধর্মের অবমাননা নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী যে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, এর নেপথ্যের মূল ঘটনা এটাই।
ঘটনার প্রতিবাদে মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন দেশে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের যে সকল দেশে ফ্রান্সের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, সেই সকল দেশের জনগণ ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করা শুরু করে। অনেক সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষ তাদের ভোক্তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে ফ্রান্সের পণ্য শেলফে প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকে।
পণ্য বয়কটের প্রকৃত ফলাফল যাই হোক, কিছুদিন পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট তার সুর পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় চ্যানেল আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি মুসলিমদের আবেগ-অনুভূতিকে সম্মান করেন। ফলে মুসলিমদের মধ্যে এক ধারণার সৃষ্টি হয় যে, পণ্য বয়কটে বেশ ভালো কাজ হয়েছে।
পণ্য বয়কট কি সমাধান?
ইসলাম ধর্মের অবমাননা অতীতেও যেমন হয়েছে তেমনি ভবিষ্যতেও হতে পারে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, একই রকম ধর্মের অবমাননা যদি ভবিষ্যতেও হয়ে থাকে তাহলে সেই দেশের পণ্য বয়কটই কি উপযুক্ত সমাধান? এই প্রশ্নের আসলে সহজ কোনো উত্তর নেই।
পণ্য বয়কটের মাধ্যমে ধর্মের অবমাননাকারী দেশটিকে কিছুটা চাপে ফেলা যায়, এটা ঠিক। কিন্তু এই দেশটি ফ্রান্স না হয়ে যদি চীন কিংবা আমেরিকা হতো, তাহলে কি মুসলিমরা একইভাবে পণ্য বয়কট করার ডাক দিতে পারত? এটা কিন্তু একটি বড় প্রশ্ন।
বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশ চীন এবং আমেরিকার পণ্যের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। অন্যদিকে পণ্য উৎপাদনের বিচারে ফ্রান্স কিন্তু খুব বেশি জনপ্রিয় দেশ নয়। তাই ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া যতটা সহজ, আমেরিকা কিংবা চীনের পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া এতটা সহজ নয়। আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে সকল পণ্য ব্যবহার করছি তার বেশির ভাগই আমেরিকা কিংবা চীনে তৈরি। শিল্প কারখানাগুলোতেও বেশিরভাগ কাঁচামাল আসে চীন থেকে। আবার আমরা বিদেশ যেতে যে বিমান ব্যবহার করি, তার অধিকাংশ বিমানই কিন্তু আমেরিকাতে তৈরি। আমাদের অফিসগুলোতে যে কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে, তার অনেক কম্পিউটারের মূল উৎপাদক আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। এই সকল কম্পিউটারে যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে, তার প্রায় সকল সফটওয়্যারের মালিক আমেরিকানরা। তাই পণ্য বয়কটের উল্টো প্রভাবও কিন্তু হতে পারে।
আপনার দেশ অন্য একটি দেশের পণ্য বয়কট করার ডাক দিল। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় দেখা গেল সেই দেশটিও প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আপনার দেশের পণ্য বয়কট করা শুরু করল। তখন আপনি কী করবেন? বাংলাদেশের মত একটি বৈদেশিক মুদ্রা ও আমদানি নির্ভর রাষ্ট্রের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সহজ নয়।
ইসলাম ধর্মের অবমাননার কারণে বাংলাদেশের নাগরিকরা যদি ইউরোপের কোনো দেশের পণ্য বয়কট করা শুরু করে, এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সেই দেশের নাগরিকরাও যদি বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য কেনা বন্ধ করে দেয়, তখন আমরা কী করব? আমরা কি তখন এই পণ্য বয়কট চালিয়ে যেতে পারব? মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলির জন্য এই সমস্যাটি অনেক কম। কারণ তারা যে তেল উৎপাদন করে, তার উপর পশ্চিমা বিশ্ব এখনো অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা কিন্তু বেশিদিন থাকবে না।
বর্তমানে তেলের বদলে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে। ফলে সেইদিন খুব বেশি দূরে নয়, যখন পশ্চিমা বিশ্বে তেলের চাহিদা অনেক কমে আসবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের উপর পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলির নির্ভরতাও কমে যাবে অনেক। তাই এমন একটি পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মের অবমাননা হলে মুসলিমদের পণ্য বয়কটের প্রভাব হবে আজকের তুলনায় অনেক কম।
প্রস্তাবিত সমাধান
তাহলে কি আমরা ইসলাম ধর্মের অবমাননায় কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখাব না? কেন দেখাব না। অবশ্যই দেখাব। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভিতরে এবং বাইরে যদি একই ধারার ইসলাম ধর্মের অবমাননা হয়, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়াগুলো হওয়া উচিত সুচিন্তিত এবং বাস্তবধর্মী। হঠাৎ আবেগে ভেসে গিয়ে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে আমাদেরকে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে-
১. ধর্মের অবমাননার প্রতিক্রিয়ায় কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ঠিক নয়। গুলাগুলি কিংবা বোমা ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করা কোনোভাবেই সঠিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে না। বাংলাদেশে ধর্মের অবমাননার বিরুদ্ধে কড়া আইন রয়েছে এবং আইনগুলো যথেষ্ট কার্যকর। সম্প্রতি এই ধরনের বেশ কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে এবং এই সকল রায়ের মাধ্যমে ধর্মের অবমাননাকারীদের কঠিন শাস্তি হয়েছে। তাই কেউ যদি ধর্মের অবমাননা করে, তার বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে এই বিষয়টি প্রশাসনকে রিপোর্ট করা এবং ধর্মের অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়া।
২. ব্যক্তিগত পর্যায়ে এবং সমষ্টিগতভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ একটি যৌক্তিক এবং কার্যকরী প্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রতিবাদের মাধ্যমে বিষয়টির প্রতি সমাজের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং এই কাজটি যে একটি গর্হিত কাজ সে বার্তাটি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
৩. কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিক এবং মহল যদি এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে সেই দেশের দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করে সুন্দর ভাষায় একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ হস্তান্তর করা একটি উত্তম প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এই কাজে যদি স্বনামধন্য কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্ত করা যায়, তাহলে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া বিদেশি মিডিয়াতেও প্রচারিত হবে। ফলে বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের এই উদাহরণ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
৪. কোনো ভিনদেশের নাগরিক বা মহল যদি করে থাকে মনে রাখা উচিত এটি শুধুমাত্র সেই দেশের কিছু নাগরিকের চিন্তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সেই দেশের সকল নাগরিক কিন্তু এই কর্মকা-ের সাথে যুক্ত নয়। তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ধর্মের অবমাননার কর্মকা- সমর্থন করেন না। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যদি কোনো নাগরিক থেকে থাকেন, তাহলে তার পরিবারের সদস্যদেরকে এই কর্মকা-ের জন্য দায়ী করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।
৫. মুসলিম হিসাবে আমাদের সকলের বোঝা উচিত ইসলাম ধর্ম নিয়ে অমুসলিমরা যখন এই ধরনের ধর্ম অবমাননার সাথে যুক্ত হয়, তখন এর মূল কারণ থাকে ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের অজ্ঞতা। অমুসলিমরা ইসলাম সম্পর্কে জানে না বলেই এই ধরনের ধর্মীয় অবমাননাকে সঠিক কাজ হিসেবে মনে করে। তাই এই ধরনের ধর্মের অবমাননার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট প্রতিক্রিয়া হবে যদি মুসলিমরা তাদের ধর্মের বাণী প্রচারে আরো বেশি উদ্যোগী হয়, অমুসলিমদের কাছে ইসলামের শ্বাশত বাণী সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়। বিশ্বব্যাপী ইসলাম সম্পর্কে যে ভুল ধারণার বিকাশ হয়েছে, তার মূল কারণ কিন্তু ইসলামের সঠিক বাণী বিশ্বব্যাপী প্রচারে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা।
বর্তমানের ইন্টারনেটের যুগে এই ব্যর্থতা কাটানোর সুযোগ অনেক বেশি, এবং মুসলিমদের উচিত দলমত নির্বিশেষে এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো। ইসলাম ধর্মের অবমাননার প্রবণতাকে চিরতরে থামিয়ে দিতে ইসলাম ধর্মের বাণী প্রচারই সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র। এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, আইডিয়াস ফর ডেভলপমেন্ট (আইএফডি)