Logo
কদমবুচি করার সময় মাথা সামান্য নিচু হলে শিরক হয় না
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৪ মে, ২০২১

কদমবুচি করার সময় ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মাথা সামান্য নিচু হলে কি শিরক হবে?

প্রশ্নকারী: জুলহাস আহমদ চৌধুরী

জবাব: অবশ্যই না। যেহেতু যাকে কদমবুচি করা হয় তাকে উপাস্য মনে করে এরূপ করা হয় না। উক্ত সামান্য পরিমাণে মাথা নিচু হওয়াটা কেবল কদমবুচির সুবিধার্থে হয়ে থাকে। আর কদমবুচি শরীআতসম্মত বৈধ আমল হিসেবে বহু হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। তাই উক্ত ঈষৎ মাথা নিচু হওয়া রুকু কিংবা সিজদার সাথে বাহ্যিক বা উদ্দেশ্যগত কোনো প্রকারের সাদৃশ্যতা রাখে না। অবশ্য ইবাদতের নিয়তে তথা কাউকে উপাস্য মনে করে রুকু কিংবা সিজদা করলে তা শিরক হিসেবে পরিগণিত।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...