Logo
স্বপ্নের মধ্যে খতনা হওয়ার বিধান কি?
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৩ মে, ২০২১

স্বপ্নের মধ্যে খতনা হয়ে গেলে পরে আর খতনা করতে হবে কি না? কেউ কেউ বলে থাকেন এক্ষেত্রে খতনা দানকারীর যন্ত্র দ্বারা স্পর্শ করলেই হয়ে যায়। এটা কতটুকু সঠিক?

প্রশ্নকারী: শেখ আব্দুল মুমিন

ঘড়গাও, পৃথিমপাশা, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার

 

জবাব: স্বপ্নযোগে কিংবা জন্মগতভাবে কারো খতনা হয়ে গেলে এবং সে খতনা বাস্তব খতনার মতো সম্পন্ন হয়ে থাকলে খতনা হিসেবে তা যথেষ্ট। এক্ষেত্রে পুনরায় খতনা করার কিংবা যন্ত্র স্পর্শ করানোর প্রয়োজন নেই। এটাই অধিকাংশ মনীষীগণের বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য অভিমত। অবশ্য কেউ কেউ এক্ষেত্রে (কোনো কর্তন ব্যতিত) শুধু যন্ত্রের স্পর্শ করানোকে উত্তম বলেছেন। তারা অন্য একটি বিধানের উপর কিয়াস করে এ রায় দিয়েছেন। আর তা হচ্ছে, যার মাথায় কোনো চুল নেই এমন ব্যক্তির হজ্জ কিংবা ওমরাহ এর ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার ক্ষেত্রে তার মাথায় যন্ত্র চালানোর বিষয়ে ফুকাহায়ে কিরামের সর্বসম্মত রায় রয়েছে। তবে দ্বিতীয় অভিমত উত্তমতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...