Logo
সদ্য বিধবা নারীর ইদ্দতকালীন বিধিনিষেধ
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বর্তমানে আমরা দেখতে পাই কোনো মহিলার স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে সাদা কাপড় পরতে হয় এবং স্বামীর মৃত্যুর চল্লিশ দিন পর্যন্ত স্ত্রীর ঘর থেকে বের হওয়া দূষণীয় মনে করা হয়। এমনকি কেউ কেউ আপন ভাইয়ের সাথেও কথা বলা নিষেধ বলে থাকেন। এ সম্পর্কে সঠিক মাসআলা দলীলসহ সবিস্তারে জানতে চাই।

প্রশ্নকারী:  আফিয়াউল হুসনা
গোলাপগঞ্জ, সিলেট

জবাব: বিধবা নারীর ইদ্দত ও শোক পালনের বিষয় শরীয়তে সাব্যস্ত বিষয়। কোনো মহিলার স্বামী মৃত্যুবরণ করলে মৃত্যুর দিন থেকে নিয়ে চার মাস দশ দিন তথা ১৩০ দিন পর্যন্ত উক্ত মহিলা কারো সাথ বিবাহ বসতে পারবে না, যদি সে গর্ভধারিণী না হয়ে থাকে। আর গর্ভধারিণী হলে সন্তান ভুমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তাকে অনুরূপ ইদ্দত পালন করতে হবে। আর তৎসঙ্গে হিদাদ তথা শোক পালনের নীতিমালা হিসেবে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। যথা:
১। শরীর ও পরিধেয় বস্ত্রে সুগন্ধি ব্যবহার
২। সুন্দর রঙ্গীন চমকানো পোষাক বা কাপড় পরিধান করা
৩। স্বর্ণ, রৌপ্য, মনি-মুক্তা কিংবা এরূপ মূল্যবান পদার্থের তৈরি গহনা বা অলংকারাদি পরিধান
৪। মেহেদীর বা অন্য যে কোনো খেযাব ব্যবহার
৫। সুরমা ব্যবহার
৬। স্বামীর গৃহ থেকে একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বের হওয়া।
উপরে বর্ণিত বিষয়াবলি বিধবা নারীগণ ইদ্দত পালনরত অবস্থায় পরিহার করে চলতে রাসূলুল্লাহ (সা.) নির্দেশনা দিয়েছেন। একান্ত প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া আবশ্যক হলে যেতে পারবেন। বিধবা নারী মাহরামের সাথে কথা বলতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। একান্ত প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে বেগানা পুরুষের সাথে কথা বলা অন্যন্য নারীদের মতো বিধবার জন্যেও জায়িয। সুতরাং আপন ভাইয়ের সাথে কথা বলতে কোনো বাধা নেই। (বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, বাহরুর রায়িক, তাবয়িনুল হাকাইক)আর প্রশ্নে উল্লেখকৃত চল্লিশ দিনের সময় সীমা (বিধবার ইদ্দতের ক্ষেত্রে) আদৌ সঠিক নয়।

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...